নাওবাখতি পরিবার

পারিবারিক নাম

আন নাওবাখতি পরিবার ( আরবি: ٱلنَّوْبَخْتِيّ; ফার্সি: نوبختی , Nowbakhtī; অর্থ 'পুনর্জন্ম' বা 'সৌভাগ্য') [১] ছিল শিয়া ইসলামি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন এবং বিজ্ঞানের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বের পরিবার ও তাদের নামের উপাধি। শব্দটি নওবখত, নুবুখ্ত, নিবাখ্ত, নয়বখ্ত বানানে প্রচলিত আছে। নাওবখত পরিবার বা গোত্রের অনেক সদস্য নক্ষত্রের বিজ্ঞানে নিজেদেরকে আলাদা আসনে অধিষ্ঠিত করেন [২] এবং এই পরিবারটি দ্বাদশ ইমামের একটি ছোটোখাট জাগরণের পরে ইমামিয়াহ শিয়া বিশ্বাসের বিকাশে অবদান রাখেন। [৩]

গোত্রটির ধর্মতাত্ত্বিক কৃতিত্বের মধ্যে রয়েছে মুতাজিলা যুক্তিবাদী মতবাদকে ইসনা আশারিয়া শিয়া মতবাদের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে একত্র করা, জাদুবিদ্যার ব্যাখ্যা করা এবং সন্দেহভাজনদের শিয়াদের বিরুদ্ধে ইমামি মতবাদকে রক্ষা করা। [৪]

উল্লেখযোগ্য সদস্য সম্পাদনা

  1. নাওবখত আহওয়াজি; তিনি আল-মানসুরের আব্বাসীয় দরবারে একজন পার্সিক জ্যোতিষী ছিলেন। [৫] আবু সাহল ও তিমাদ তার ছেলে।
  2. আল হাসান ইবনে সাহল ইবনে নাওবাখত।
  3. আবু সাহল আল ফাদল ইবনে নাওবাখত; তিনি নাওবাখত আল ফারিসির পুত্র।[৬] তিনি আল রশিদের দরবারে একজন চিকিত্সক এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন।[৬]
  4. আবু মুহাম্মাদ আল-হাসান ইবনে মুসা আল-নওবাখতি; একজন বিখ্যাত শিয়া পন্ডিত ও ধর্মতত্ত্ববিদ। ফিরাক আল-শিয়া (শিয়ার শাখা) বইয়ের জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিত। ইমামি কালামের প্রতিষ্ঠাতা তার চাচা আবু সাহল ইসমাঈল ইবনে আলি আল-নাওবাখতি।[৭][৮]
  5. আবু সাহল ইসমাঈল ইবনে আলী নওবাখতি; শিয়া ইসলামের একজন পণ্ডিত ও ইমামিয়াদের নেতা (মৃত্যু ৩১১ হি.[৭] / ৯২৩-২৪ খ্রি.)। ইমামি কালামের প্রতিষ্ঠাতা তার ভাগ্নে আবু মুহাম্মদ আল-হাসান ইবনে মুসা আল-নবখতি।[৭]
  6. আবু আল-কাসিম আল-হুসাইন ইবনে রুহ আল-নাওবাখতি। বারো ইমামিয়া শিয়া ইসলামে ইমাম আল-মাহদির তৃতীয় উপদেষ্টা ছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Hitti 1949, পৃ. 307।
  2. Hitti 1949, পৃ. 307, n.3।
  3. Newman 2013, পৃ. 16।
  4. Newman 2013, পৃ. 20।
  5. Nadīm (al-) 1970, পৃ. 1071।
  6. Encyclopedia of Arabic literature 
  7. Encyclopedia of Arabic literature 
  8. an-Naubaḫtī, al-Ḥasan ibn Mūsā (১৯৩১)। firaq al-Shi'a ('The sects of the Shia') (আরবি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 115।