নসরুল্লাহ খাঁ (আনু. ১৫৬০ - আনু. ১৬২৫) মধ্যযুগের একজন বাঙালি কবি। এ পর্যন্ত তার চারটি কাব্যগ্রন্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেগুলো হচ্ছে জঙ্গনামা, মুসার সাওয়াল, শরীয়ত নামাহিদায়িতুল ইসলাম[১] জঙ্গনামাশরীয়ত নামা গ্রন্থে তার সুদীর্ঘ আত্মবিবরণী দেখা যায়। শরীয়ত নামায় লিখিত আত্মবিবরণী থেকে জানা যাচ্ছে যে, কবির পূর্ব পুরুষ হামিদুদ্দীন খান গৌড় দরবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। আধুনিক দক্ষিণ চট্টগ্রামের “বাহার ছড়াহ” নামক স্থানে তিনি বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। কবি নসরুল্লাহ নিঃসন্তান ছিলেন, কিন্তু তার পিতৃব্যের বংশধরেরা এখনো বাঁশখালি থানার জলদি গ্রামে বসতি স্থাপন করে আছেন। তার কাব্যে সন্দ্বীপ বিজয়ী ফতেহ খানের (১৬০৯) উল্লেখ আছে। বংশ তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, কবি ষোড়শ শতকের শেষ ও সপ্তদশ শতকের প্রথম দিকে জীবিত ছিলেন।[২]

নসরুল্লাহ খাঁ
জন্ম১৫৬০ (আনুমানিক)
সুলতানী বাংলা
মৃত্যু১৬২৫ (আনুমানিক)
আন্দোলনবাঙালি কবি

মুসলিম সাহিত্য সম্পাদনা

১৬০০ সালের পরবর্তীকালে বাংলার মুসলিম সাহিত্যে একটি স্বর্ণ যুগ দেখা যায়। সেই যুগের বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের দান খুব গুরুত্বপূর্ণ। দৌলত কাজী, আলাওল, মোহাম্মদ খান, সৈয়দ সুলতান, নসরুল্লাহ খাঁ প্রভৃতি অসংখ্য কবি সেই সময়ে জন্মগ্রহণ করেন এবং বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদান রাখেন।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা- ২০৮।
  2. তুরী, রতন কুমার (ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬)। "চট্টগ্রামের কবিদের অবদানে উজ্জ্বল মধ্যযুগ"দৈনিক পূর্বকোণ। চট্টগ্রাম: জসিম উদ্দীন চৌধুরী। ২০১৭-০২-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-১১ 
  3. আবদুল করিম, প্রাচীন মুসলিম সাহিত্যের ক্রমবিকাশ ও বৈশিষ্ট্য: চট্টগ্রাম জেলা সাহিত্য সম্মিলনে সভাপতির অভিভাষণ,আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ রচনাবলী, আবুল আহসান চৌধুরী সম্পাদিত, ৩য় খণ্ড (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ২০১৩) পৃ. ২৫৯।