নরনারায়ণ
মহারাজ নরনারায়ণ অবিভক্ত কোচ রাজ্য কামতাপুরের তৃতীয় ও অন্তিম রাজা ছিলেন। তার আগের রাজা ছিলেন দেউতাক বিশ্বসিংহ। নরনারায়ণের শাসনকালে কোচ রাজ্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেতে্রর উচ্চ শিখরে আরোহণ করেছিলেন। তিনি নারায়ণী [১] নামে একধরনে রূপোর মুদ্রার প্রচলন আরম্ভ করেছিলেন। শ্রীমন্ত শংকরদেবের নববৈষ্ণব ধর্মকে তিনিই প্রথম রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছিলেন। তিনি সাহিত্য -সংস্কৃতিরও একজন উল্লেখযোগ্য পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তার শাসনকালে পুরুষোত্তম বিদ্যাবাগীশ প্রয়োগ রত্নমালা নামে সংস্কৃত ব্যাকরণ লিখেছিলেন।
নরনারায়ণ | |
---|---|
রাজত্ব | ১৫৫৪-১৫৮৬ |
উত্তরসূরি | লক্ষ্মীনারায়ণ |
রাজবংশ | কোচ রাজবংশ |
পিতা | বিশ্বসিংহ |
মাতা | হেমপ্রভা দেবী(গৌড়ের রাজকন্যা) |
১৫৮১ সালে তার ভাইপো রঘুদেব (চিলারায়ের পুত্র) নরনারায়ণের অধীনে রাজ্যর পূর্ব প্রান্ত কোচ হাজোতে শাসনভার গ্রহণ করেন। কিন্তু নরনারায়ণের মৃত্যুর পর তিনি নিজের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ও নরনারায়ণের পুত্র লক্ষ্মীনারায়ণ রাজ্যের পশ্চিম প্রান্ত কোচবিহারএ শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
নরনারায়ণের স্মৃতিতে আসামে ব্রহ্মপুত্র নদীর দু'পারের যোগীঘোপা ও পঞ্চরত্ন সংযোগী সেতুর নাম নরনারায়ণ সেতু রাখা হয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনা- Rai Barma, Hemant Kumar (১৯৮৮)। "Narayani Currency"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-২৫।
নরনারায়ণ কোচ রাজ্য
| ||
রাজত্বকাল শিরোনাম | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী বিশ্বসিংহ |
কামতার রাজা | উত্তরসূরী লক্ষ্মীনারায়ণ |