নরওয়ে–ফিলিপাইন সম্পর্ক
নরওয়ে–ফিলিপাইন সম্পর্ক হল নরওয়ে এবং ফিলিপাইন রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। ম্যানিলাতে নরওয়ের দূতাবাস অবস্থিত, পক্ষান্তরে অসলোতে রয়েছে ফিলিপাইনের দূতাবাস।
নরওয়ে |
ফিলিপাইন |
---|
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯০০ সাল থেকেই নরওয়ে এবং ফিলিপাইনের মধ্যে সামুদ্রিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক বিদ্যমান।[১]
২রা মার্চ, ১৯৪৮ সালে নরওয়ে এবং ফিলিপাইনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। নিকোলাই আল প্রথম কূটনীতিক হিসেবে ফিলিপাইনে নরওয়েকে প্রতিনিধিত্ব করে। তিনি চীনের নানকিংয়ের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতই নরওয়ের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতেন। ম্যানিলাতে অবস্থিত একটি কনস্যুলেটের মাধ্যমে নরওয়ে প্রতিনিধিত্ব করত, যা পরবর্তীতে কনস্যুলেট জেনারেলের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয় ১৯৫২ থেকে ১৯৫৬ সালের দিকে। ১৯৬৭ সালে নরওয়ের দূতাবাস স্থাপিত হয়। একই সাথে সিবুতে একটি কনস্যুলেট অফিসও রয়েছে। ফিলিপাইনে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হলেন এরিক ফোর্নার।[২][৩]
১৯৮৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থিত ফিলিপাইনের দূতাবাসের এক্তিয়ার ছিল নরওয়ের উপর। ১৯৮৬ সালের জুন মাসে সুইডেনের স্টকহোমে অবস্থিত দূতাবাসের নিকট এ এক্তিয়ার হস্তান্তরিত হয়। অধিক সংখ্যক নরওয়েইয়ানের চাপে এবং শক্তি ও সামুদ্রিক খাতে সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালের ৩০শে এপ্রিল নরওয়ের অসলোতে ফিলিপাইনের দূতাবাস স্থাপিত হয়।[৩]
সম্পর্ক
সম্পাদনানিরাপত্তা ক্ষেত্র
সম্পাদনানরওয়ে ফিলিপাইনের শান্তিচুক্তির সাথে যুক্ত, যার মধ্যে মোরো এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্রোহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নরওয়ে জিপিএইচ-এমআইএলএফ শান্তি প্রক্রিয়ার আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ দলের সদস্য। জিপিএইচ-সিপিপি-এনপিএ-এনডিএফ শান্তি প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত তৃতীয় উপদেষ্টা রাষ্ট্র।[৪]
বাণিজ্যিক সম্পর্ক
সম্পাদনানরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জেন্স স্টোল্টেনবার্গ এবং রাষ্ট্রপতি বেনিঙ্গো তৃতীয় অ্যাকুইনো ভিয়েতনামের লাওসে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে স্টোল্টেনবার্গ আর্কটিক খোলা হলে নরওয়ের সাথে ফিলিপাইনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্ভাবনার দ্বারও খুলে যাবে তিনি জানান। তখন আম, কলা সহ বিভিন্ন দ্রব্য এশীয় দেশ থেকে আমদানি করা যাবে।[৪]
২০১১ সালে নরওয়ে ও ফিলিপাইনের মধ্যে মোট ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছিল।[৪]
ফিলিপাইন্স নরওয়ে বিজনেস কাউন্সিল (পিএনবিসি) ফিলিপাইন ও নরওয়ের বাণিজ্যিক সম্প্রদায়কে এক করেছে। এই সংস্থা ৪৫টিরও বেশি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানকে একত্র করতে পেরেছে। নরওয়ে দূতাবাস এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিল এবং বর্তমান কাউন্সিলের সভায় প্রতিনিধিত্ব করছে।[৫]
কর্ম পরিবেশ
সম্পাদনা২০১২ সাল পর্যন্ত নরওয়ের মালিকানা ভিত্তিক এবং নরওয়ের বিভিন্ন কোম্পানি পরিচালিত জাহাজে প্রায় ৩৫,০০০ ফিলিপিনো নাবিক কাজ করছেন। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী স্টোল্টেনবার্গ এবং রাষ্ট্রপ্রতি অ্যাকুইনোর সাথে ভিয়েতনামের লাওসে একটি দ্বিপাক্ষিক সাক্ষাৎ চলাকালীন স্টোল্টেনবার্গ ফিলিপিনো মেডিকেল কর্মীদের এবং অন্যান্য উচ্চদক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের নরওয়েতে কাজের সুযোগের কথা জানান।[৪]
অধিবাসী
সম্পাদনাফিলিপাইনে প্রায় ৩,০০০ নরওয়েইয়ান বসবাস করছেন, যারা ব্যবসা, দাতব্য কাজে অংশগ্রহণ করছেন কিংবা পরিবারের সাথে বসবাস করছে। আর নরওয়েতে রয়েছে ১৮,০০০ ফিলিপিনো।[৫]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Philippines-Norway Relationsস"। ২৩ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "ম্যানিলাতে অবস্থিত নরওয়ের দূতাবাস"।
- ↑ ক খ "Philippines-Norway Relations"। Philippine Embassy - Oslo, Norway। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ "Norway pledges continued support to peace process"। Sun Star। ৬ নভেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "Bilateral Relations"। Norway the Official Site in the Philippines। Royal Norwegian Embassy in Manila। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪।
টেমপ্লেট:নরওয়ের বৈদেশিক সম্পর্ক টেমপ্লেট:ফিলিপাইনের বৈদেশিক সম্পর্ক