ধর্ম বিষয়ক অধিদপ্তর
ধর্ম বিষয়ক অধিদপ্তর (তুর্কি: Diyanet İşleri Başkanlığı; সাধারণত দিয়ানেট নামে পরিচিত) তুরস্কের একটি সরকারি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যা উসমানীয় খিলাফত বিলুপ্তির পূর্বে শাইখুল ইসলাম দ্বারা পরিচালিত কিছু প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের জন্য ১৯২৪ সালে তুরস্কের সংবিধানের ১৩৬ অনুচ্ছেদের অধীনে মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের আদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[২][৩][৪] আইন দ্বারা নির্দিষ্ট দিয়ানেটের দায়িত্ব হল "ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস এবং উপাসনা সম্পর্কিত বিষয়াবলি পরিচালনা করা"।[৪] এটি দেশের ৮৫ হাজার মসজিদ এবং বিদেশে ২ হাজারের বেশি মসজিদে প্রদত্ত সাপ্তাহিক খুতবার একটি খসড়া তৈরি করে। এটি শিশুদের কুরআন শিক্ষা প্রদান করে এবং তুরস্কের সকল ইমামকে প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ করে, যারা সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিবেচিত হয়।[৫] ২০০৬ থেকে শুরু করে এর ভিত্তি আরও মজবুত করা হয়, ২০১৫ সাল নাগাদ এর বাজেট চারগুণ বৃদ্ধি করা হয়,[৬][৭] এবং কর্মীদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে প্রায় ১৫০,০০০ হয়েছে।[৬] ২০১৯ সালে এর বাজেট অনুমান করা হয়েছে €১.৭ বিলিয়ন ($১.৮৭ বিলিয়ন), যা তুর্কি সরকারের অনেক মন্ত্রণালয়ের চেয়ে বেশি।[৮] তুরস্কজুড়ে এর ১ হাজার শাখা রয়েছে এবং এটি ১৪৫টি দেশে শিক্ষামূলক, সাংস্কৃতিক এবং দাতব্য কার্যক্রম অফার করে।[৮] ২০১২ সালে দিয়ানেট টিভি চালু হয়,[৯] যা বর্তমানে ২৪ ঘন্টা সম্প্রচারিত হচ্ছে।[৬] এটি প্রাথমিক বয়সে এবং বোর্ডিং স্কুলে কুরআন শিক্ষাকে প্রসারিত করেছে; এখন এটি চাহিদা সাপেক্ষে ফতোয়া জারি করে।[৯]
গঠিত | ৩ মার্চ ১৯২৪ |
---|---|
ধরন | ইসলামি শিক্ষা, ধর্মীয় প্রশাসন |
সদরদপ্তর | আঙ্কারা, তুরস্ক |
দাপ্তরিক ভাষা | তুর্কী |
সভাপতি | আলি এরবাস |
বাজেট | $২ বিলিয়ন (2020)[১] |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
সভাপতির তালিকা
সম্পাদনানিম্নলিখিত ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেছেন: [১০]
নাম | মেয়াদ | |
---|---|---|
শুরু হল | শেষ | |
মেহমেত রিফাত বোরেকি | ১৯২৪ | ১৯৪১ |
মেহমেত সেরেফেত্তিন ইয়াল্টকায়া | 1942 | 1947 |
আহমেত হামদি আকসেকি | 1947 | 1951 |
ইয়ুপ সাবরি হায়ারলিওগ্লু | 1951 | 1960 |
ওমের নাসুহি বিলমেন | 1960 | 1961 |
হাসান হুসনু এরদেম | 1961 | 1964 |
মেহমেত তেভফিক গের্কেকার | 1964 | 1965 |
ইব্রাহিম বেদরেটিন এলমালি | 1965 | 1966 |
আলী রিজা হাকসেস | 1966 | 1968 |
লুৎফি দোগান | 1968 | 1972 |
লুৎফি দোগান | 1972 | 1976 |
সুলেমান আতেস | 1976 | 1978 |
তাইয়ার আলতিকুলাক | 1978 | 1986 |
মোস্তফা সাইত ইয়াজিসিওগলু | 1986 | 1992 |
মেহমেত নুরি ইলমাজ | 1992 | 2003 |
আলি বারদাকোগলু | 2003 | 2010 |
মেহমেত গোর্মেজ | 2010 | 2017 |
আলী এরবাশ [১১] | 2017 | - |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Turkey's top religious body to spend $11 billion by 2023"। Ahval News। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Kurumsal"।
- ↑ "Turkish Constitution | Anayasa Mahkemesi"।
- ↑ ক খ Establishment and a Brief History, Presidency of Religious Affairs
- ↑ "Top cleric delivers Friday sermon in Mardin"। hurriyetdailynews.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-২১।
- ↑ ক খ গ Lepeska, David (১৭ মে ২০১৫)। "Turkey Casts the Diyanet"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "2006 Mali Yilin Bütçesi" (তুর্কি ভাষায়)। Alo Maliye। ২০০৮-১০-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-২২।
- ↑ ক খ "Diyanet: The Turkish religious authority that makes millions"। DW। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ ক খ Cornell, Svante (২০১৫-১০-০৯)। "The Rise of Diyanet: the Politicization of Turkey's Directorate of Religious Affairs"। turkeyanalyst.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-২৭।
- ↑ Former presidents ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৮-০৪-২৩ তারিখে, Presidency of Religious Affairs (তুর্কি ভাষায়)
- ↑ "Prof. Dr. Ali ERBAŞ"।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- "Women issuing fatwas", Qantara.de
- "The Diyanet of Turkey and Its Activities in Eurasia After the Cold War"
- Smith, Thomas W. "Between Allah and Atatürk: Liberal Islam in Turkey[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] " PDF
- Matsuzato, Kimitaka; Sawae, Fumiko. Rebuilding a Confessional State: Islamic Ecclesiology Turkey, Russia and China, Religion, State & Society, Vol. 38, No. 4, December 2010. *
- İştar Gözaydın,"Religion as Soft Power in the International Relations of Turkey ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে". www.ispionline.it
- Ahmet Erdi Öztürk, "Turkey's Diyanet under AKP rule: from protector to imposer of state ideology?"
- Ahmet Erdi Öztürk, "Transformation of the Turkish Diyanet both at Home and Abroad: Three Stages"