দ্য কিলার্স (হেমিংওয়ের ছোটগল্প)

বই

"দি কিলার্স" (ইংরেজি: The Killers, অনুবাদ'খুনীরা') হল আর্নেস্ট হেমিংওয়ে রচিত একটি ছোটগল্প। এটি ১৯২৭ সালে স্ক্রিবনার্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। পরে এটি মেন উইদাউট উইমেন, দ্য স্নোস অব কিলিমাঞ্জারোদ্য নিক অ্যাডামস স্টোরিজ ছোটগল্প সংকলনগুলোতেও প্রকাশিত হয়। লেখকের নিজের অভিজ্ঞতা, তার ব্যঙ্গাত্মক রচনাশৈলীর ব্যবহার, মৃত্যু, বন্ধুত্ব ও জীবনের লক্ষ্য বিষয়ক বিষয়বস্তু নিয়ে রচিত "দ্য কিলার্স" হেমিংওয়ের অন্যতম প্রসিদ্ধ ছোটগল্প হিসেবে বিবেচিত।

হেমিংওয়ের ১৯২৩ সালের পাসপোর্টে রক্ষিত ছবি

গল্পটি হেমিংওয়ের বিখ্যাত নিক অ্যাডামস চরিত্রটি নিয়ে রচিত, যেখানে হেমিংওয়ে নিক অ্যাডামসের কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের চিত্র তুলে ধরেছেন। গল্পের মূল কাহিনিতে দেখা যায় একদল অপরাধী একটি রেস্তোরাঁয় ঢুকে একজন সুয়েডীয় মুষ্টিযোদ্ধা ওলে আন্দ্রেসনের খোঁজ করছে, ওলে কেন লুকিয়ে আছে তা অজানা, খুব সম্ভবত কোন লড়াইয়ে জয়ী হয়েছিল।

ইতিহাসবেত্তাগণ দালিলিক প্রমাণ দেখান যে এই কাজের মূল শিরোনাম ছিল "দ্য ম্যাটাডর্স"।[১] "দি কিলার্স" হেমিংওয়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সাড়াজাগানো একটি রচনা।

গল্প সংক্ষেপ সম্পাদনা

১৯২০-এর দশকে ইলিনয়ের সামিটে এই গল্প সংগঠিত হয়। দুজন পেশাদার খুনী, ম্যাক্স ও অ্যাল, জর্জ পরিচালিত হেনরি'স লাঞ্চরুমে প্রবেশ করে। তারা মূল খাদ্যতালিকার বাইরে একটি খাবার চায়, এবং পরে শূকরের মাংস ও ডিম চায়। অ্যাল রান্নাঘরে প্রবেশ করে এবং নিক অ্যাডামস ও পাচক স্যামকে বেঁধে ফেলে। ম্যাক্স ও জর্জের মধ্যে আলাপচারিতা হয়, যেখানে প্রকাশ পায় যে তারা দুজন সুয়েডীয় মুষ্টিযোদ্ধা ওলে আন্দ্রেসনকে খুন করতে এসেছে। আন্দ্রেসনকে পাওয়া যায়নি, ফলে তারা দুজন চলে যায়। জর্জ আন্দ্রেসনকে এই দুজন ব্যক্তি সম্পর্কে সতর্ক করতে নিককে মিসেস বেল পরিচালিত হার্শ'স বর্ডিং হাউজে পাঠায়। নিক আন্দ্রেসনকে বিছানায় শোয়া অবস্থায় পান এবং তাকে সবকিছু জানায়। আন্দ্রেসন কিছু বলে না এবং নিককে কিছু করতে মানা করেন, যেহেতু তাদের কিছু করার নেই। নিক রেস্তোরাঁয় চলে যায় এবং জর্জকে আন্দ্রেসনের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানায়। যখন জর্জকেও এই ব্যাপারে আর উদ্বিগ্ন দেখায় না, নিক শহর ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

উপযোগকরণ সম্পাদনা

এই ছোটগল্পটি কয়েকটি চলচ্চিত্র ও কমিক বইয়ের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে:

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. টাইলার, লিসা (২০০১)। "Student Companion to Ernest Hemingway"। নিউ ইয়র্ক: গ্রিনউড প্রেস। পৃ. ৭৮।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা