দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা

১৭৬৫ সালে লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাব থেকে দেওয়ানি সনদ প্রাপ্ত হলে যে শাসন প্রণালীর উদ্ভব হয়, তা ইত

দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা ১৭৬৫ সালে লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাব থেকে দেওয়ানি সনদ প্রাপ্ত হলে যে শাসন প্রণালীর উদ্ভব হয়, তা ইতিহাসে দ্বৈত শাসন নামে পরিচিত। মীর জাফরের মৃত্যুর পর লর্ড ক্লাইভ ১৭৬৫ সালে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহারউড়িষ্যা দেওয়ানি লাভ করে। এ সময় কিছু শর্ত সাপেক্ষে মীরজাফরের পুত্র নাজিম-উদ-দৌলাকে বাংলার সিংহাসনে বসানো হয়। শর্ত মোতাবেক নাজিম-উদ-দৌলা তাঁর পিতা মীর জাফরের ন্যায় ইংরেজদের বিনা শুল্কে অবাধ বাণিজ্য করার সুযোগ দেবেন এবং দেশীয় বণিকদের অবাধ বাণিজ্যের সুবিধা বাতিল করবেন। এই ব্যবস্থার ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠে এবং বাংলার নবাব সামান্য বৃত্তিভোগী কর্মচারীতে পরিণত হন। ১৭৭২ সালে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা ব্রিটিশ সরকারের গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস কর্তৃক চিরতরে জন্য বাতিল বলে ঘোষণা করেন।তারপর রাজা হন,এই ব্যবস্থা কে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা বলে।[১][২][৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "দ্বৈত শাসন | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৫ 
  2. "1882 - The Good Old Days of Honourable John Company"www.bl.uk। ২০১৫-০৯-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৫ 
  3. "দ্বৈত শাসনব্যবস্থা"। ২ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।