দেওয়াস বরিষ্ঠ রাজ্য

দেওয়াস বরিষ্ঠ রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ মধ্য ভারত এজেন্সিতে অবস্থিত এই রাজ্যটি প্রতিষ্ঠা পায় মারাঠা সাম্রাজ্যের সময় কালে প্রথম তুকোজী রাও পাওয়ারের মাধ্যমে৷ ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে শেষ ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধের পর ১২ই ডিসেম্বর রাজ্যটি ব্রিটিশ করদে পরিণত হয়৷

দেওয়াস রাজ্য (বরিষ্ঠ শাখা)
देवास
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য
১৭২৮–১৯৪৮
পতাকা
আয়তন 
• ১৯০১
১,১৬০ বর্গকিলোমিটার (৪৫০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা 
• ১৯০১
৬২,৩১২
ইতিহাস 
• প্রতিষ্ঠিত
১৭২৮
১৯৪৮
পূর্বসূরী
উত্তরসূরী
মারাঠা সাম্রাজ্য
ভারত
বর্তমানে যার অংশমধ্যপ্রদেশ, ভারত

ইতিহাস সম্পাদনা

পেশোয়া বাজিরাও মারাঠাদের পাওয়ার বংশের দুজন বিশ্বস্ত সেনাধ্যক্ষ ভাই তুকোজীরাও এবং জীবাজীরাও শাসনকার্য স্বাভাবিক করার জন্য মালব অঞ্চলের প্রেরণ করেন। তুকোজীরাও ১৭২৮ খ্রিস্টাব্দে এই রাজ্যের পত্তন ঘটান।[১] দুই ভাই শাসনের সুবিধার্থে মালব অঞ্চল নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন তাদের বংশধররাই ছিলেন যথাক্রমে দেওয়াস বরিষ্ঠ এবং দেওয়াস কনিষ্ঠ রাজ্যের পরবর্তী রাজ উত্তরসূরী। ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দের পর প্রতিটি উপশাখা তাদের নিজেদের অঞ্চল পৃথক দেশীয় রাজ্য হিসেবে শাসন করা শুরু করে। রাজ্য দুটি একে অপরের সঙ্গে দারুণভাবে বিজড়িত ছিল, উভয়ের রাজধানী দেওয়াস শহরটি একটি মূল সড়কের ভিত্তিতে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল, যার দুদিকে দুটি আলাদা প্রশাসনিক অঞ্চল, আলাদা ব্যবস্থাপনা এবং আলাদা বৈদ্যুতিন পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়। দুটি রাজ্যের রাজাধিরাজ একই শহরের দুটি পৃথক স্থানে রাজবাড়ী নির্মিত করে বসবাস করতেন ও দুটি পৃথক অঞ্চলে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন।‌[২]

দেওয়াস রাজ্যের বরিষ্ঠ শাখাটি ৪৪৬ মা (১,১৬০ কিমি) অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ছিল এবং ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে রাজ্যটির মোট জনসংখ্যা ছিল ৬২,৩১২ জন।[৩] ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে উভয় দেওয়াস রাজ্য মধ্য ভারত এজেন্সির অন্তর্গত মালব এজেন্সিতে ছিল। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর দেওয়াস রাজ্যের রাজা ভারতের মধ্য ভারত রাজ্যের অংশীভূত হয়। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে এটি নবগঠিত মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়।

শাসকবর্গ সম্পাদনা

 
দেওয়াস বরিষ্ঠ রাজ্যের শাসক হিস হাইনেস মহারাজা তৃতীয় তুকোজীরাও পাওয়ার

রাজা সম্পাদনা

  • ১৭২৮ – ১৬ নভেম্বর ১৭৫৪ প্রথম তুকোজীরাও পাওয়ার
  • ১৬ নভেম্বর ১৭৫৪ – ২৪ মার্চ ১৭৮৯ প্রথম কৃষ্ণজী রাও পাওয়ার
  • ১৬ নভেম্বর ১৭৫৪ – ১৭৫৬ রাণী সাবিত্রীবাঈ (স্ত্রী) -রাজপ্রতিনিধি
  • ২৪ মার্চ ১৭৮৯ – ২৮ সেপ্টেম্বর ১৮২৭ দ্বিতীয় তুকোজীরাও পাওয়ার
  • ২৪ মার্চ ১৭৮৯ – ৪ অক্টোবর ১৭৯৪ রাণী গঙ্গাবাঈ (স্ত্রী) -রাজপ্রতিনিধি
  • ২৮ সেপ্টেম্বর ১৮২৭ – ২৬ জুলাই ১৮৬০ রুকমানগড় তুকোজীরাও পাওয়ার "খাসি সাহেব"
  • ২৮ সেপ্টেম্বর ১৮২৭ – ১৮৩৫ ভবানীবাঈ রাজে সাহেব (স্ত্রী) -রাজপ্রতিনিধি
  • ২৬ জুলাই ১৮৬০ – ১২ অক্টোবর ১৮৯৯ দ্বিতীয় কৃষ্ণজীরাও পাওয়ার "বাবা সাহেব"
  • ২৬ অক্টোবর ১৮৬০ – ২৩ মার্চ ১৮৬৭ মহারাণী যমুনাবাঈ (স্ত্রী) -রাজপ্রতিনিধি
  • ১২ অক্টোবর ১৮৯৯ – ১ জানুয়ারি ১৯১৮ তৃতীয় তুকোজীরাও পাওয়ার "কেশো রাও" ও "বাপু সাহেব" (১৯১১ ১২ই ডিসেম্বর থেকে স্যার তৃতীয় তুকোজীরাও পাওয়ার)

মহারাজা সম্পাদনা

  • ১ জানুয়ারি ১৯১৮ – ২১ ডিসেম্বর ১৯৩৭ স্যার তৃতীয় তুকোজীরাও পাওয়ার (১৯৩৪ ২৬শে জুলাই তিনি ফরাসি অধিকৃৃত পুদুচেরি পলায়ন করেন)
  • ২১ ডিসেম্বর ১৯৩৭ – ২৩ মার্চ ১৯৪৭ প্রথম বিক্রম সিংহরাও পাওয়ার "নানা সাহেব" (১৯৪১ ১২ই জুন থেকে স্যার প্রথম বিক্রম সিংহরাও পাওয়ার)
  • ১১ আগস্ট ১৯৪১ – ১৫ মে ১৯৪৩ মহারাণী প্রমিলাবাঈ (স্ত্রী) -রাজপ্রতিনিধি (প্রথমবার)
  • ২৩ মার্চ ১৯৪৭ – ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ মহারাণী প্রমিলাবাঈ (স্ত্রী) -রাজপ্রতিনিধি (দ্বিতীয় বার)
  • ২৩ মার্চ ১৯৪৭ – ২১ জানুয়ারি ১৯৯৪ তৃতীয় কৃষ্ণজীরাও পাওয়ার "আব্বা সাহেব"
  • ২১ জানুয়ারি ১৯৯৪ – ১৯ জুন ২০১৫ চতুর্থ তুকোজীরাও পাওয়ার
  • ১৯ জুন ২০১৫ – বর্তমান দ্বিতীয় বিক্রম সিংহরাও পাওয়ার

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Mayer, Adrian C. (১৯৬০)। Caste and Kinship in Central India: A Village and Its Region: International library of sociology and social reconstruction। University of California Press। পৃষ্ঠা 13আইএসবিএন 9780520017474। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  2. Lethbridge, Sir Roper (১৮৯৩)। The golden book of India: a genealogical and biographical dictionary of the ruling princes, chiefs, nobles, and other personages, titled or decorated, of the Indian empire। Macmillan। পৃষ্ঠা 116। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  3.   One or more of the preceding sentences একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনেচিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Dewas"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ8 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 137।