দুলারি (অভিনেত্রী)

ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী

দুলারি (আসল নাম অম্বিকা গৌতম; ১৮ই এপ্রিল ১৯২৮ - ১৮ই জানুয়ারি ২০১৩) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি মুলত হিন্দি চলচ্চিত্রে একজন প্রধান অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করেছিলেন। তিনি তাঁর পুরো চলচ্চিত্র জীবনে প্রায় ১৩৫টিরও অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন; যার মধ্যে জব পেয়ার কিসি সে হোতা হ্যায় (১৯৬১), মুঝে জীনে দো (১৯৬৩), তিসরি কসম (১৯৬৭), পড়োশন (১৯৬৮) এবং দিওয়ার (১৯৭৫) উল্লেখযোগ্য।

দুলারি
জন্ম
অম্বিকা গৌতম

(১৯২৮-০৪-১৮)১৮ এপ্রিল ১৯২৮
মৃত্যু১৮ জানুয়ারি ২০১৩(2013-01-18) (বয়স ৮৪)
পুনে, মহারাষ্ট্র, ভারত
অন্যান্য নামরাজদুলারি, অম্বিকা জগতাপ
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৪৪–২০০০
দাম্পত্য সঙ্গীজে.বি. জগতাপ
সন্তান

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

দুলারি ১৯২৮ সালের ১৮ই এপ্রিল তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে (বর্তমানে মহারাষ্ট্রের পুনেতে) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর আসল নাম হচ্ছে অম্বিকা গৌতম। তিনি উত্তর প্রদেশের আওধ অঞ্চলের কান্যকুবজ ব্রাহ্মণ ছিলেন। তাঁর ডাক নাম ছিল রাজদুলারি এবং পরে তিনি তাঁর নাম হতে "রাজ" শব্দটি সরিয়ে কেবল দুলারি রাখেন; যার দ্বারা তিনি পরবর্তীতে অধিক পরিচিতি লাভ করেছিলেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

বাবার অসুস্থতার কারণে কাজের সন্ধানে বাধ্য হয়ে দুলারি বোম্বে টকিজ প্রযোজিত হামারি বাত (১৯৪৩)-এ অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন এবং পরের ছয় দশকে তিনি প্রায় ১৩৫টিরও বেশি চলচ্চিত্রে প্রধান অভিনেত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর চলচ্চিত্র জীবনের সর্বশেষ তিনি গুড্ডু ধনোয়া পরিচালিত জিদ্দি নামক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[১]

১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জীবন জ্যোতি তে অভিনীত চরিত্রটি তাঁর সবচেয়ে স্মরণীয় চরিত্র ছিল। তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো ছিল পতি সেবা, রঙিন কাহানী (১৯৪৫)। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি গুজরাতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন; যার মধ্যে চুন্দি আনে চোখা (১৯৫৭), মঙ্গল ভেরা (১৯৪৮) উল্লেখযোগ্য।[২] তাঁর অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল কার্যভার (গুজরাতি চলচ্চিত্র), আঁখ কা তারা, আখরি ডাকু, দরিন্দা, আহুতি, নাস্তিক, দিল্লাগি এবং দরওয়াজা[২]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

১৯৫২ সালে তিনি সাউন্ড রেকর্ডবিদ জে.বি. জগতাপের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং যার ফলে তিনি নয় বছর ধরে অভিনয় জগৎ থেকে দূরে ছিলেন।[১][৩]

মৃত্যু সম্পাদনা

তিনি ৮৪ বছর বয়সে মহারাষ্ট্রের পুনের এক বৃদ্ধাশ্রমে মারা যান। তিনি আলৎসহাইমারের রোগে ভুগছিলেন এবং দু'বছর ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। প্রবীণ অভিনেত্রী ওয়াহিদা রেহমান তাঁর বিষয়টি উত্থাপন করার পর তাঁর জীবনের শেষ বছরগুলোতে সিনেমা ও টিভি আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিএনটিএএ) তাঁকে সকল প্রকারের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছিল। তিনি তাঁর কন্যা চারুলতা জগতাপ এবং নাতি-নাতনির (যাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বাস করেছেন) সহায়তায় জীবিত ছিলেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Search for actress Dulari ends with news of her death"The Times Of India। ৮ মে ২০১৩। ১৪ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৩ 
  2. "Dulari - İnterview on Cineplot"। ২২ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০ 
  3. ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে J.B. Jagtap (ইংরেজি)

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা