দীঘিপাড়া কয়লা ক্ষেত্র
দীঘিপাড়া কয়লা ক্ষেত্র বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জের দীঘিপাড়ায় অবস্থিত একটি কয়লা ক্ষেত্র। এটি ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর[১][২] আবিষ্কার করেন। দীঘিপাড়া হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় কয়লাখনি যেখান থেকে কয়লা তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
অবস্থান | |
---|---|
অবস্থান | দীঘিপাড়া, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর,বাংলাদেশ |
দেশ | বাংলাদেশ |
উৎপাদন | |
উৎপাদন | ৮৬৫ মিলিয়ন টন [১][২] |
মালিক | |
কোম্পানি | পেট্রোবাংলা |
ইতিহাস
সম্পাদনাকয়লা ক্ষেত্রটি আবিষ্কারের দীর্ঘ ২২ বছর পর বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে খনিটি উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়। এটির উন্নয়ন ও তদারকির দায়িত্বে আছেন দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ। ১৯৯৫ সালে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর উপজেলায় দীঘিপাড়া কয়লাখনিটি আবিষ্কার করে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। এরা খনির সম্ভাব্য মোট আয়তন নির্ধারণ করেছে ২৪ বর্গকিলোমিটার। এই খনিটির উন্নয়নে ২০০৫ সালে পেট্রোবাংলাকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে পেট্রোবাংলা খনির ৪ হাজার হেক্টর ভূমি বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী দীঘিপাড়া এলাকায় বিভিন্ন স্তরে প্রায় ৮৬৫ মিলিয়ন টন কয়লার মজুদ রয়েছে।[৩] বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জার্মানির মিরবাগ কনসালটিং ইন্টারন্যাশনাল ও ফুগরো এবং অস্ট্রেলিয়ার রাঞ্জ পিনকোক মিনারকো এর যৌথ কনসোর্টিয়ামের চুক্তি হয়। যেখানে, জরিপে মোট ব্যয় ধরা হয় ১৬৭ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ ১ জুন ২০১৭ হতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত মোট ২৭ মাস ছিল।[৪] চুক্তির আওতায় আগে সংগ্রহ করা সকল তথ্য পরীক্ষা করা, তৃতীয় মাত্রার ভূকম্পন (থ্রি-ডি সাইসমিক) জরিপ, টপোগ্রাফিক সমীক্ষা, অনুসন্ধান কূপ খনন, খনির নকশা এবং প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। দীঘিপাড়ায় সর্বোচ্চ ৪৩৪.৪৯ মিটার এবং সর্বনিম্ন ৩২৩ মিটার গভীরে ৭২.৩৬ মিটার থেকে ৪৭.২৯ মিটার পুরুত্বের কয়লার স্তর আছে। দীঘিপাড়া কয়লাখনিতে কয়লা ছাড়াও প্রায় ২০০ টন সিলিকা বালু এবং সাদামাটি আছে। এই সিলিকা বালু ও সাদামাটি গ্লাস ফ্যাক্টরিতে এবং সাদামাটি সিরামিক কাজে ব্যবহার করা যাবে।[১][২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "দীঘিপাড়া খনি থেকে কয়লা তোলার উদ্যোগ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৭।
- ↑ ক খ গ "দীঘিপাড়া কয়লা খনি উন্নয়নে সমীক্ষা,সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আজ চুক্তি"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-৩০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন"। ২৪ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "দীঘিপাড়া কয়লা খনিতে নতুন করে সমীক্ষা করা হবে"। মানবকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-৩১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]