দি ইংলিশ টিচার (ইংরেজি: The English Teacher) হল ভারতীয় লেখক আর. কে. নারায়ণের একটি উপন্যাস। এটি ১৯৪৫ সালে প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসটি স্বামী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস্‌ (১৯৩৫), দ্য ব্যাচেলর অফ আর্টস্‌ (১৯৩৭) ও দি ইংলিশ টিচার উপন্যাসত্রয়ীর তৃতীয় উপন্যাস।

দি ইংলিশ টিচার
The English Teacher
প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকআর. কে. নারায়ণ
দেশভারত
ভাষাইংরেজি
প্রকাশকআইরি অ্যান্ড স্পটিসউডি
প্রকাশনার তারিখ
১৯৪৫
মিডিয়া ধরনমুদ্রণ
পৃষ্ঠাসংখ্যা১৮৪
ওসিএলসি৬৩০৫০৮৫
823
এলসি শ্রেণীPR9499.3.N3 E5 1980
পূর্ববর্তী বইদ্য ব্যাচেলর অফ আর্টস্‌ 

এই উপন্যাসকে নারায়ণ তাঁর স্ত্রী রাজামকে উৎসর্গ করেছিলেন। এটি শুধুমাত্র একটি আত্মজীবনীমূলক উপন্যাসই নয়, বরং এতে নারায়ণের অনুভূতির গভীরতাও প্রকাশিত হয়েছে। এই উপন্যাসের কাহিনিটি কৃষ্ণ নামে এক ইংরেজি শিক্ষকের জীবনের অভিজ্ঞতা এবং তাঁর অন্তরের শান্তি ও আত্মবিকাশ লাভের কাহিনি।[]

কাহিনি সারাংশ

সম্পাদনা

কৃষ্ণ অ্যালবার্ট মিশন কলেজের এক ইংরেজি শিক্ষক। তাঁর জীবন খুবই সাধারণ ও একঘেঁয়ে। কিন্তু যেদিন তাঁর স্ত্রী সুশীলা ও তাঁর মেয়ে লীলা তাঁর সঙ্গে থাকতে আসেন, সেদিন থেকে তাঁর জীবনধারা পরিবর্তিত হয়ে যায়। তাঁদের দেখভালের দায়িত্ব এসে পড়ে কৃষ্ণের উপর। কৃষ্ণ একজন যথার্থ স্বামী হওয়ার চেষ্টা করেন এবং পরিবারের দায়দায়িত্ব নিতে শেখেন। তিনি অনুভব করেন, তাঁর জীবন খানিকটা ভালো হয়েছে এবং বুঝতে পারেন যে, কলেজে পড়ানোর চেয়েও জীবনে অনেক কিছু শেখার আছে। একদিন তাঁরা নতুন বাড়ির সন্ধানে যান। একটি নোংরা শৌচাগারে যাওয়ার পর সুশীলা টাইফয়েডে আক্রান্ত হন। কয়েক সপ্তাহ তিনি শয্যাশায়ী থাকেন। সুশীলার অসুস্থতার সময় কৃষ্ণ ভাবতেন যে, সুশীলা সেরে উঠবেন। কিন্তু সুশীলা মারা যান। কৃষ্ণ ভেঙে পড়েন। তিনি আত্মহত্যার চিন্তাও করেন। কিন্তু মেয়ে লীলার কথা ভেবে আত্মহত্যা করতে পারেন না। কিছুদিন পরে তিনি এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির চিঠি পান। সেই চিঠি থেকে তিনি বুঝতে পারেন, সুশীলা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন এবং তিনি কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে চান। কৃষ্ণ আনন্দিত হন। সেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিটি আধ্যাত্মিক জগতে সুশীলার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে দাঁড়ান। লীলা স্কুলে ভর্তি হয়। সেখানে কৃষ্ণের সঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের আলাপ হয়। তিনি সজ্জন ব্যক্তি। নিজস্ব পদ্ধতিতে তিনি ছাত্রছাত্রীদের নীতিশিক্ষা দেন ও তাদের খুব যত্ন করেন। কিন্তু তিনি নিজের পরিবারবর্গের দিকে নজর দেন না। একদিন এক জ্যোতিষী তাঁকে জানায় যে, তিনি মারা যাবেন। তাই তিনি পরিবারবর্গকে ত্যাগ করেন। কিন্তু জ্যোতিষীর কথা সত্যি হয় না। প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে কৃষ্ণ আনন্দের যাত্রাপথটি চিনতে পারেন। ধীরে ধীরে তিনি নিজেই সুশীলার সঙ্গে যোগাযোগ করার পথটি জেনে ফেলেন।

প্রকাশনা

সম্পাদনা

চিকাগোর ইউনিভার্সিটি অফ চিকাগো প্রেস থেকে ১৯৮০ সালে এই বইটি পুনঃপ্রকাশিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে এই বইটির সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। মিচিগান স্টেট কলেজ প্রেস থেকে ১৯৫৩ সালে বইটি গ্রেটফুল টু লাইফ অ্যান্ড ডেথ নামে প্রকাশিত হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Iranga Fernando, www.wmich.edu/dialogues/texts/englishteacher