দাদপুর, উলুবেড়িয়া

দাদপুর হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমার উলুবেড়িয়া ১ নং সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ধুলাসিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি গ্রাম। গ্রামটি মহকুমা শহর হতে ৭.৪ কিমি এবং জেলা সদর হাওড়া হতে ৩৯.৫ কিমি দূরত্বে অবস্থিত। ২০১১ খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারির তথ্য অনুসারে গ্রামটির অবস্থান কোড হল ৩৩৩০০০।সাম্প্রতিক কালে গ্রামটি সঙ্গীতের যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য পশ্চিমবঙ্গের বাদ্যযন্ত্রের গ্রাম নামে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে।

দাদপুর
গ্রাম
দাদপুর দাদপুর পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২.৫৭° উত্তর ৮৮.০৪° পূর্ব / 22.57; 88.04
দেশ	ভারত
রাজ্য	পশ্চিমবঙ্গ
জেলা	হাওড়া
সরকার
• ধরন	গ্রাম
• শাসক	পঞ্চায়েত পরিচালিত
উচ্চতা	১৫ মিটার (৪৯ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)
• মোট	৯০৫
ভাষা
• দাপ্তরিক	বাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চল	আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন	৭১১৩২২
ওয়েবসাইট	www.howrah.gov.in

ভৌগোলিক উপাত্ত

গ্রামটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হলো ২২.৫৭৫১৪২ উত্তর ৮৮. ০৪৩৫২৪ পূর্ব। সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৫ মিটার (৪৯ ফুট)

জনসংখ্যার উপাত্ত

দাদপুর গ্রামে ২২৭ টি পরিবার বসবাস করে। ভারতের ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুসারে, গ্রামের জনসংখ্যা হল ৯০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮২ জন এবং নারী ৪২৩ জন। বয়স্কদের লিঙ্গানুপাত ৮৭৮ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গড় ৯৫০ তুলনায় কম। একইভাবে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি ৮৩৬ এবং রাজ্যস্তরের ৯৫৬।

সাক্ষরতার হার ৭৮.৬৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার (৫৯.৫% ) এবং রাজ্য স্তরের সাক্ষরতার হারের (৭৬.২৬%) চেয়ে বেশি। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৫. ৪৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭০.৯৪% ।

পরিসংখ্যান

বিবরণ	মোট	পুরুষ	মহিলা
পরিবারের সংখ্যা	২২৭	-	-
জনসংখ্যা	৯০৫	৪৮২	৪২৩
শিশু (০ -৬)	৯০	৪৯	৪১
তফশিলি জাতি	৯০০	৪৭৯	৪২১
তফশিলি উপজাতি	০	০	০
সাক্ষরতার হার	৭৮.৬৫	৮৫.৪৫	৭০.৯৪
শ্রমিক	৩৩০	৩১২	১৮
মূল শ্রমিক	৩১৪
প্রান্তিক শ্রমিক	১৬	১০	৬

অর্থনৈতিক অবস্থা

বাংলার আর পাঁচটা গ্রামের মতই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সবুজে ভরা গ্রাম হয়েও এই গ্রামের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য গ্রাম টিকে অনন্য ও অসাধারণ করে তুলেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ বা সঙ্গীতের সাথে যুক্ত থাকা মানুষের কাছে অত্যন্ত পরিচিত নাম। পশ্চিমবঙ্গের বাদ্যযন্ত্রের গ্রাম দাদপুর। প্রতিটি বাড়িতে তৈরি হয় সঙ্গীত জগতের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন উপকরণ যেমন, সেতার, তানপুরা, সুর বাহার, সরোদ এবং আরো অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র। তৈরি হয় আধুনিক ইলেক্ট্রিক সেতারও। যা দেশ বিদেশের সঙ্গীত জগতে সমাদৃত। গ্রামের শ্রমিক সম্প্রদায়ের মানুষজন বাদ্যযন্ত্র তৈরিতেই নিয়োজিত। সেকারণে অর্থনৈতিক অবস্থা সচ্ছল।