দাগেস্তানের ইতিহাস

ইতিহাসের বিভিন্ন দিক

ঐতিহাসিকভাবে দাগেস্তান (ককেশিয় আলবেনিয়া) উত্তর ককেশাসের পূর্ব অংশে পাহাড়ী রাজ্যসমূহের একটি যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। উত্তর এবং দক্ষিণের বিশ্ব সভ্যতার  সংযোগস্থলে অবস্থিত, দাগেস্তান বহু রাজ্যের স্বার্থের সংঘাতের নাট্যমঞ্চ ছিল এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ১৯ শতকের গোড়ার দিকে পারস্য (ইরান) এবং রাশিয়া সাম্রাজ্যের মধ্যে বিবাদ।

ঐতিহাসিকভাবে দাগেস্তান নাম দ্বারা পূর্ব ককেশাসকে বোঝায় যা ১৮৬০ সালে রাশিয়ান সাম্রাজ্য কর্তৃক অধিকৃত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় দাগেস্তান ওব্লাস্ট। বর্তমানে অধিকতর স্বায়ত্তশাসিত দাগেস্তান প্রজাতন্ত্র একটি বৃহত্তর অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত, ১৯২১ সালে তেরেক ওব্লাস্টের পূর্ব অংশকে অন্তর্ভুক্ত করে দাগেস্তান স্বায়ত্তশাসিত সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

সাসানীয় পারস্যের শাসন এবং ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে খাজার আক্রমণ সম্পাদনা

 
দাগেস্তানের দারবান্দ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান সাসানীয় দুর্গের জন্য বিখ্যাত।

১০০ বছরেরও বেশি সময় যুদ্ধের পর সাসানীয় সাম্রাজ্য ষষ্ঠ শতাব্দীতে পূর্ব ককেশাস জয় করে, এর ফলে দাগেস্তানের সমগ্র অঞ্চল পারস্যের অধিনে আসে।

৫৫২ সালে "খাজার" উত্তর-পূর্ব ককেশাস আক্রমণ করে এবং দাগেস্তানের উত্তরের নিম্নভূমি দখল করে নেয়। পার্সিয়ার শাহ প্রথম খসরু (৫৩১-৫৭৯) এর রাজত্বকালে যাযাবরদের নতুন অভু্যত্থান থেকে তাঁর সম্পত্তি রক্ষার জন্য দারবান্দে প্রতিরক্ষামূলক দুর্গ নির্মাণের কাজ শুরু হয়, যা কাস্পিয়ান সাগর এবং ককেশীয় পর্বতমালার মধ্যে একটি সরু পথ বন্ধ করে দেয়।[১] প্রথম খসরু গুমিক দুর্গের মালিক ছিলেন।[২] এর আধুনিক নাম "দারবান্দ" একটি ফার্সি শব্দ (دربند দারবান্দ) যার অর্থ "প্রবেশপথ", যা খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দীর শেষ দিকে অথবা ৬ষ্ঠ শতাব্দীর শুরুতে একই যুগে ব্যবহৃত হয়েছিল, সে সময় পারস্যের সাসানীয় রাজবংশের প্রথম কাবাদ এই শহরটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

এনসাইক্লোপিডিয়া ইরানিকা অনুসারে, প্রাচীন ইরানি ভাষার উপাদানসমূহ দাগেস্তান এবং দারবান্দ শহরের জনগণের প্রতিদিনের কথাবার্তায় বিশেষত সাসানীয় যুগের মধ্যে প্রবেশ করাো হয়েছিল এবং অনেকগুলি বর্তমানেও রয়েছে।[৩] প্রকৃতপক্ষে, দারবান্দ এবং পূর্ব ককেশাসে সাধারণভাবে ইচ্ছাকৃত "পারস্যকরণ" নীতি প্রথম খসরো থেকে সাফাভি রাজবংশের প্রথম ইসমাইল এবং মহান আব্বাস পর্যন্ত বহু শতাব্দী ধরে খুঁজে পাওয়া যায়।[৩] "দারবান্দ-নামা" অনুসারে পরবর্তীকালে দুর্গ নির্মাণের পর প্রথম খসরু "পার্সিয়া থেকে এখানে অনেক লোককে স্থানান্তরিত করে",[৪] এবং প্রায় ৩,০০০ পরিবারকে পার্সিয়ার অভ্যন্তর থেকে দারবান্দ এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে স্থানান্তরিত করে।[৩] এই বিবরণটি স্প্যানিশ আরব হামিদ মোহাম্মাদ গার্নাতি কর্তৃক সংশোধিত বলে মনে করা হয়, যিনি ১১৩০-এ বিবরণ দেন যে বারবন্দ বহু ফার্সি ভাষী জনগণ সহ অনেক নৃগোষ্ঠী দ্বারা জনবসতিপূর্ণ ছিল।[৫]

৭ম-৮ম খ্রিস্টাব্দে আরব আক্রমণ সম্পাদনা

মুসলিমদের পারস্য বিজয়ের পর দাগেস্তান ইরানি থেকে আরব শাসনের অধীনে চলে যায়। এই সময়কালটি ১৫০ বছরের যুদ্ধ নামে পরিচিত যাতে উত্তর-পূর্ব ককেশাসের সম্প্রদায় আরব এবং খাজারদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। খলিফা উমর ইবনে খাত্তাবের রাজত্বকালে ৬৪৩ সালে আবদুর রহমান ইবনে রাবীর নেতৃত্বে আরব বাহিনী দারবন্দ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি দখল করে। ৬৫২ সালে আবদুর রহমান ইবনে রাবী খাজার শহর বালাঞ্জার অবরোধের সময় নিহত হন।[৬][৭] ৬৬২ সালে খাজাররা দাগেস্তান আক্রমণ করে। ৬৯৮ সালে খলিফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের ভাই মুহাম্মাদ ইবনে মারওয়ান দারবন্দ দখল করেন।[৮] ৭০৫ সালে খলিফা প্রথম আল-ওয়ালিদের ভাই মাসলামাহ ইবনে আব্দুল মালিক আবারও একবার দারবান্দ অধিকার করেন।

৭২২ সালে খলিফা দ্বিতীয় ইয়াজিদ দারবান্দের দুর্গ রক্ষার জন্য সেনাপতি আল-দজারাহ আল হাকামিকে প্রেরণ করেন। ঐতিহাসিক আল-তাবারি আল-দজারাহর অভিযান সম্পর্কে লিখেছেন: "দক্ষিণ দাগেস্তানে খাজারদের পরাজিত করে আরবরা দাগেস্তানের পাহাড়ে চলে যায়, খামজিন ও গুমিকের জনগণের প্রতিরোধকে পরাভূত করে এবং তাদের কর্তৃত্বের অধীনতা অস্বীকার করার জন্য শাস্তিমূলক অভিযানে কাইতাগ এবং তাবাসারনকে আক্রমণ করে এবং তছনছ করে"। ঐতিহাসিক বালামি লিখেছেন যে ৭২৩ সালে প্রধান সেনাপতি আল-দজারাহ "তাঁর এক নিকটতম সেনাপতিকে ডাকেন, তাকে তিন হাজার যোদ্ধা দেন এবং তাকে বলেন: কাইতাগে গমন করুন, সেখানে যাওয়ার পথে যা পাবেন সমস্ত কিছু ধ্বংস করুন, আপনাকে যারা প্রতিরোধ করবে তাদের সকলের সাথে লড়াই করুন এবং সূর্যোদয়ের আগেই আমার কাছে ফিরে আসুন "।[৯] ৭২৩ সালে আল-দজারাহর নেতৃত্বে আরব বাহিনী দাগেস্তান অঞ্চল দিয়ে যায় এবং বালাঞ্জার দখল করে। ৭৩০ সালে আল-দজারাহ মার্জ আর্দাবিলের যুদ্ধে নিহত হন।[১০]

৭৩০–৭৩১ সালে খলিফা হিশাম ইবনে আব্দুল মালিকের ভাই মাসলামাহ ইবনে আব্দুল মালিকের কথাও উল্লেখ করেছেন, সাতটি লোহার প্রবেশদ্বার তৈরি করে ”সর্বোত্তম উপায়ে দারবান্দকে সুরক্ষিত করেছিলেন’’ ’’এবং তার সেনাবাহিনীর সাথে কুমুখের দিকে যাত্রা করেছিলেন"।[১১][১২] ৭৩২ সালে খলিফা হিশামের চাচাতো ভাই মারওয়ান ইবনে মুহাম্মদ শক্তিশালী দুর্গগুলি বশীভূত করে পার্বত্য দাগেস্তানের শাসকদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করেন। নবম শতাব্দীর ইরানি লেখক ইবনে হায়াৎ জানান যে "গুমিক" এবং "খুঞ্জাখ" দখল করার পর মারওয়ান "সেখান থেকে চলে গিয়ে তুমেনের দেশে প্রবেশ করেন"।[১৩] আল-বালাজুরীর মতে, মারওয়ান ১২০,০০০ সেনাবাহিনীর অধিনায়ক হিসাবে খাজারের অধিকৃত অঞ্চল আক্রমণ করেন।[১৪] খাজার সেনাবাহিনী একের পর এক পরাজয় বরন করে। মারওয়ান সামান্দার শহর দখল করেন।[১৫] ৭৯৭ সালে খাজাররা দাগেস্তান আক্রমণ করে।[১৬]

পারস্য আধিপত্য এবং রাশিয়ার চূড়ান্ত বিজয় সম্পাদনা

ষোড়শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে পারসিকরা (সাফাভিদের অধীনে) এই অঞ্চলে তাদের শাসন পুনরায় দৃঢ় করে, যা একটানা ১৯ শতকের প্রথমদিক পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ষোড়শ এবং সপ্তদশ শতাব্দীতে বৈধ ঐতিহ্যগুলি সংহিতাবদ্ধ করা হয় এবং পার্বত্য সম্প্রদায় (দজামাত) যথেষ্ট পরিমাণে স্বায়ত্তশাসন লাভ করে, এবং কুমিক শাসক (শামহাল) রুশো-পারস্য যুদ্ধে (১৬৫১-৫৩) রাশিয়ার পরাজয়ের পরেও জারের সুরক্ষা চেয়েছিল। আঠারো শতকে পিটার দ্য গ্রেট যখন রুশো-পারস্য যুদ্ধের সময় (১৭২২-২৩) উপকূলবর্তী দাগেস্তান দখল করে রাশিয়ানরা এই অঞ্চলটিতে তাদের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করে। যদিও গঞ্জা চুক্তি অনুসারে এই অঞ্চলগুলি ১৭৩৫ সালে পারসিকরা ফিরে পায়।

আঠারো শতকে আবারিস্তান খানাতের পুনরুত্থান ঘটে, যা এমনকি দাগেস্তান অভিযানের সময় একটি নির্দিষ্ট সময়ে পারস্যের নাদের শাহের আক্রমণকে প্রতিহত করতে ও শিরবান ও জর্জিয়ার উপর কর আরোপ করে। ১৭৪৭ সাল থেকে ইরান শাসিত দাগেস্তানের অংশটি দারবান্দ এর কেন্দ্রের সাথে দারবান্দ খানাতের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ১৭৯৬ সালের পারসিক অভিযানের ফলস্বরূপ ১৭৯৬ সালে রাশিয়া দারবান্দ দখল করে। তবে অভ্যন্তরীণ শাসন-সংক্রান্ত সমস্যার কারণে রাশিয়ানরা আবারও পুরো ককেশাস থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়, ফলে আবারও এই অঞ্চল ইরানের পুনঃদখলে আসে।

১৮০৬ সালে খানাতটি রাশিয়ানরা দখলে নেয় তবে রুশো-পারস্য যুদ্ধের (১৮০৪-১৮১৩) পরে দাগেস্তানের উপর রাশিয়ার শক্তি নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি হয়নি এবং পারস্য রাশিয়ার কাছে এই অঞ্চলটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে। ১৮১৩ সালে যুদ্ধে রাশিয়ার জয়ের পর গুলিস্তানের চুক্তি অনুসারে কাজার ইরানকে প্রধান শহর দারবান্দ সহ দক্ষিণ দাগেস্তানকে সাথে ককেশাসের অন্যান্য বিস্তীর্ণ অঞ্চলসমূহ রাশিয়ার কাছে সমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়।[১৭] ১৮২৮ সালের তুর্কমেনচিয়া চুক্তি দাগেস্তানের উপর অনির্দিষ্টকালের জন্য রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণকে সংহত করে এবং ইরানকে সামরিক সমীকরণ থেকে সরিয়ে দেয়।[১৮]

আধুনিক ইতিহাস সম্পাদনা

রাশিয়ার সাম্রাজ্যিক সরকার পার্বত্যাঞ্চলবাসীদের হতাশ এবং উৎপীড়িত করেছে। অধীক পরিমানে কর ধার্য, সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ এবং দুর্গ নির্মাণ (মাখচালা সহ) ইত্যাদি কারণে গাজী মোহাম্মদ (১৮২৮-৩২), গামজাত বেক (১৮৩২-১৮৩৪) এবং শামির (১৮৩৪-৫৯) এর নেতৃত্বে দাগেস্তানের মুসলিম ইমামতের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষুব্ধ পার্বত্যাঞ্চলবাসী বিদ্রোহ করে। এই ককেশীয় যুদ্ধ ১৮৬৪ সাল অবধি চলে, তখন শামিলকে আটক করা হয় এবং আবারিস্তানের খানাত বিলুপ্ত হয়।

 
সের্গেই প্রকুদিন-গরস্কির তোলা দাগেস্তানি মানুষে ছবি, ১৯০৭ থেকে ১৯১৫ সাল নাগাদ

দাগেস্তান এবং চেচনিয়া রুশো-তুর্কি যুদ্ধের (১৮৭৭-৭৮) ফলে উপকৃত হয় এবং শেষবারের মতো রুশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে একসাথে বিদ্রোহ ঘোষণা করে (চেচনিয়া উনবিংশ শতকের শেষভাগে ও বিংশ শতকের বিভিন্ন সময় আবারও বিদ্রোহ করে)। ১৯১৭ সালে ২১ ডিসেম্বর ইঙ্গুশেতিয়া, চেচনিয়া এবং দাগেস্তান একত্রে রাশিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ইউনাইটেড মাউন্টেইন ডুয়েলারস অব দ্য নর্থ ককেসাস নামে একটি একক রাষ্ট্র গঠন করে (উত্তর ককেসিয় পার্বত্য প্রজাতন্ত্র নামেও পরিচিত) যাকে বিশ্বের প্রধান শক্তিশালী দেশগুলো স্বীকৃতি দান করে। নতুন রাষ্ট্রের রাজধানী তেমির-খান-শুরাতে (দাগেস্তান) স্থানান্তরিত হয়।[১৯][২০][২১] রাষ্ট্রের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন বিশিষ্ট চেচনিয় রাজনীতিবিদ তাপা চেরমোয়েভ, দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ইঙ্গুশ রাজনীতিবিদ ভাসান-গিরেয় ঝাবাগিয়েভ তিনি ১৯১৭ সালে গৃহীত দেশটির সংবিধানের রচয়িতা ছিলেন, ১৯২০ সালে তিনি তৃতীয়বারের জন্য আবারও নির্বাচিত হন।

বলশেভিক বিপ্লবের পরে উসমানীয় সেনাবাহিনী আজারবাইজান এবং দাগেস্তান দখল করে এবং অঞ্চলটি উত্তর ককেসীয় পার্বত্য প্রজাতন্ত্র নামক ক্ষণস্থায়ী রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে সাদা আন্দোলন এবং স্থানীয় জাতীয়তাবাদীদের লড়াইয়ের পর বলশেভিকরা বিজয় অর্জন করে এবং ১৯২১ সালের ২০ জানুয়ারি দাগেস্তান স্বায়ত্তশাসিত সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়। তবে পরবর্তীতে জোসেফ স্টালিনের শিল্পায়ন পরিকল্পনায় মূলত দাগেস্তান উপেক্ষিত হয় এবং অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে, এর ফলে প্রজাতন্ত্রটি রাশিয়ার দরিদ্রতম অঞ্চলে পরিণত হয়।

১৯৯৯ সালে শামিল বাসায়েভ এবং ইবনে আল-খাত্তাবের নেতৃত্বে চেচনিয়ার একটি ইসলামিক সংগঠন "স্বাধীন দাগেস্তান ইসলামী রাষ্ট্র" প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দাগেস্তান আক্রমণ করে।

রুশ সামরিক বাহিনী আক্রমণকারীদের প্রতিহত করে এবং চেচনিয়া ফেরৎ পাঠায়। এর প্রতিশোধ স্বরূপ রাশিয়ার সেনাবাহিনী ঐ বছরের শেষের দিকে পুনরায় চেচনিয়ায় অভিযান পরিচালনা করে। দাগেস্তান প্রজাতন্ত্র ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পুনরায় সহিংসতার শিকার হয়। অনেকের মতে এই সহিংসতার ফলে দাগেস্তান একটি সাম্প্রদায়িক গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে চলে গিয়েছিল।[২২] মাখাচকালা, কাস্পিস্ক, দারবান্দ, খাসাভিউর্ত, কিজলিয়ার, সেরগোকালা, উন্তসুকুল এবং সুমাদা প্রভৃতি এলাকা বিদ্রোহের উর্বর ভূমি হয়ে উঠার পাশাপাশি দাগেস্তান বর্তমানে উত্তর ককেসাস অঞ্চলে সহিংসতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Al-Tabari (d. in 923) informs about the participation of three Sassanid rulers – Peroz I (457-484), Kavadh I (488-531) and Khosrau I (531-579) in the construction of fortifications in Derbent. (М. Т. Гаджимурадов, Л. П. Магомедов. История Дагестана. М. 2007. С. 47.)
  2. Ибн Рустэ. Из книги драгоценных камней. (Пер. Караулова Н. А.) — Тифлис. 1903; Баладзори. Книга завоеваний стран. — Баку. 1927. С. 7.
  3. "DAGESTAN"। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৫ 
  4. Saidov and Shikhsaidov, pp. 26-27
  5. Bol’shakov and Mongaĭt, p. 26
  6. Ат-Табари. Тарих ар-русуль ва-л-мулук. Сер. 1. С. 2667
  7. In these events, Salman ibn Rabi, brother of Abd al-Rahman, is mentioned sometimes; Ат-Табари. Указ. соч. Сер. 1. С. 2890; Ибн ал-Асир. Ал-камиль фи-т-тарих. Каир, 1934. Т. 3. С. 66.
  8. Мовсес Каланкатваци. История страны алуанк. Ереван, 1984. С. 160.
  9. Балами. Тарих-е Табари. — Тегеран, 1958.
  10. In 705 caliph Al-Walid I sent his brother Maslama Ibn Abd al-Malik to capture Derbent. In 725, caliph Hisham removed al-Djarrah al-Hakami and appointed the ruler of greater part of Caucasus his brother Maslama Ibn Abd al-Malik. In 729 caliph appointed al-Djarrah a second time and removed Maslama Ibn Abd al-Malik. In 730, caliph appointed Maslama Ibn Abd al-Malik as a ruler again. In 732, caliph appointed Marwan Ibn Muhammad the ruler of Caucasian territories. Marwan Ibn Muhammad (744—750) was the last caliph of Umayyad dynasty. (Балазури, с. 19—20; ал-Якуби, с. 8—9; ал-Куфи, VIII, с. 80—82, 141 — 142, 210; Ибн ал-Асир, V, с. 70, 90, 95.).
  11. Г. Р. Оразаев. Дербент-наме. Дагестанские исторические сочинения. М. Наука. 1993.
  12. Тарихи Дербенд-наме. Историч. хроника / Под ред. М. Алиханова-Аварского, вступ. ст. и комментарии А.Р. Шихсаидова. — Махачкала, ИД «Эпоха», 2007.
  13. Бейлис В. М. Сообщения Халифы ибн Хаййата ал-'усфури об арабо-хазарских войнах в VII - первой половине VIII в. // Древнейшие государства Восточной Европы. 1998. М.,2000. С.43.
  14. Ал-Белазури. Китаб футух ал-булдан. Лейден, 1866. С. 207; Ал-Куфи. Книга завоеваний. Баку, 1981. С. 49.
  15. Левонд. Патмутюн. СПб., 1887. С. 113-114.
  16. А. К. Бакиханов. Гюлистан и Ирам. Период второй 644-1258.
  17. Timothy C. Dowling Russia at War: From the Mongol Conquest to Afghanistan, Chechnya, and Beyond pp 728 ABC-CLIO, 2 dec. 2014 আইএসবিএন ১৫৯৮৮৪৯৪৮৪
  18. Aksan, Virginia. (2014). Ottoman Wars, 1700-1870: An Empire Besieged page 463. Routledge. আইএসবিএন ৯৭৮-১৩১৭৮৮৪০৩৩
  19. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২০ 
  20. Russian Civil War Polities
  21. Общественное движение ЧЕЧЕНСКИЙ КОМИТЕТ НАЦИОНАЛЬНОГО СПАСЕНИЯ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৪-০২-২৩ তারিখে
  22. Nick Paton Walsh, “Dagestan Edged Closer to Civil War” The Guardian