দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় বায়ু শক্তি
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় বায়ু শক্তি, বিগত এক দশকের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য শক্তির উৎস হয়ে উঠেছে। আগস্ট ২০১৪ এর একটি হিসাব অনুযায়ী মোট ১৪৭৩ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে,যা কিনা এই রাষ্ট্রের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ২৭ শতাংশ।[১] এটি পুরো অস্ট্রেলিয়ায় স্থাপিত বায়ু বিদ্যুতের প্রায় অর্ধেক।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় বায়ু বিদ্যুতের এই উন্নয়ন কয়েকটি নিয়ামক দ্বারা অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রাও অন্তর্ভুক্ত, এ অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিপণনকারীদের নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুতের একটি অংশ উৎপাদন করতে হতো,বড় মাপের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সরকার থেকে উৎসাহমূলক কর মওকুফ এবং একটি সহায়তাপুর্ণ নিয়ন্ত্রণী শাসন ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও এ রাজ্যের গর্জনশীল চল্লিশা এর কাছাকাছি অবস্থানে থাকার কারণে উন্নত বায়ু সম্পদ কাজে লাগিয়ে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প বিস্তারের সুযোগ ছিল। ২০০৯ সালের মাঝে, রাজ্যের নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আরও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্যে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সরকার কর্তৃক RenewablesSA নামক প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লোড ফ্যাক্টর(কিংবা ক্যাপাসিটি ফ্যাক্টর) সাধারণত ৩২-৩৮ শতাংশের মধ্যে থাকে। এর মানে হল,একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাধারণত তার উল্লিখিত ক্ষমতার ৩২-৩৮ শতাংশ গড়ে বছরে উৎপাদন করতে পারে।[২]
এক নজরে বায়ু প্রকল্প
সম্পাদনা২০০৩ সালে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র বড় বায়ু টার্বাইন ছিল কুবার পেডির একটি ০.১৫ মেগাওয়াট ইউনিট। ২০০৪ এর শুরুর দিকে নির্মিত বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষমতা ছিল ৩৪ মেগাওয়াট। [২]
২০১০ এর ডিসেম্বর নাগাদ দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় ১০১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার তেরোটি কর্মক্ষম বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল,২০১৪এর আগস্ট নাগাদ যা ১৪৭৩ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়,যা কিনা মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ২৭ শতাংশ।[১] ২০১৫ এর শেষ পর্যন্ত বৃহৎ পরিসরের নতুন বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিকল্পনা চলছিলো,কিন্তু শুধু একটাই নির্মাণাধীন ছিল, এটি হর্নসডেল বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্যে নিয়ন্ত্রক দিয়েছে, সরকার ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা নীতি প্রয়োগ করেছে যাতে বায়ু প্রকল্পও রয়েছে।[৩] ২০০৯ এর জুনে প্রধানমন্ত্রী মাইক রান দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২০২০ সালে ৩৩ শতাংশ নির্ধারণ করেন,যা ২০২০ সালের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ২০ শতাংশ থেকে বেশি।[৩]
উৎপাদন ক্ষমতা (মেগাওয়াট) |
বায়ু প্রকল্প | প্রস্তুতকারক | ধাপ | উৎপাদন ক্ষমতা
(মেগাওয়াট) |
উৎপাদন |
---|---|---|---|---|---|
৩৬৯ | স্নোটাউন বায়ু প্রকল্প | ট্রাষ্ট পাওয়ার | ১ | ৯৯ | ২০০৮ |
২ | ২৭০ | নভেম্বর ২০১৪ | |||
৩৫০ | হেলেট বায়ু প্রকল্প |
এজিএল এনার্জি | ১ | ৯৫ | মার্চ ২০০৭ |
২ | ৭১ | ২০০৯ | |||
৪ | ১৩২ | জুন ২০০৮ | |||
৫ | ৫২ | ২০১২ | |||
২৭৮.৫ | লেক বনি বায়ু প্রকল্প |
ইনফিগেন এনার্জি | ১ | ৮০ | মার্চ ২০০৫ |
২ | ১৫৯ | সেপ্টেম্বর ২০০৮ | |||
৩ | ৩৯ | ২০১০ | |||
১১১ | ওয়াটারলু বায়ু প্রকল্প | এনার্জি অস্ট্রেলিয়া | - | ১১১ | ২০১০ |
৯১ | ওয়াট লি পয়েন্ট বায়ু প্রকল্প |
এজিএল হাইড্র | - | ৯১ | জুন ২০০৫ |
৭০ | মাউন্ট মিলার বায়ু প্রকল্প | মেরিডিয়ান এনার্জি | - | ৭০ | ফেব্রুয়ারি ২০০৬ |
৬৬ | ক্যাথেড্রাল রক্স বায়ু প্রকল্প | এনার্জি অস্ট্রেলিয়া/ একিওনা |
- | ৬৬ | ২০০৫ |
৫৬ | ক্লিমেন্টগ্যাপ বায়ু প্রকল্প | প্যাসিফিক হাইড্র | - | ৫৬ | ফেব্রুয়ারি ২০১০ |
৪৬ | কানুডা বায়ু প্রকল্প | জিডিএফ সুয়েজ/মিতসুই | - | ৪৬ | মার্চ ২০০৫ |
৩৪ | স্টার ফিস হিল বায়ু প্রকল্প | রাচ অস্ট্রেলিয়া | - | ৩৪ | জুলাই ২০০৩ |
চলমান বায়ু প্রকল্প
সম্পাদনাআরও দেখুনঃ দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় বায়ু প্রকল্পের তালিকা
স্নোটাউন বায়ু প্রকল্প (৩৬৯ মেগাওয়াট)
সম্পাদনাএটি অবস্থিত দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার মধ্য উত্তর বরুঙ্গা পর্বতশ্রেণীতে, প্রদেশের রাজধানী এডিলেডের উত্তরে প্রায় ১৫০ কি.মি. এর ভেতর। স্নোটাউন বায়ু প্রকল্পের ৯৮.৭ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথমধাপ ২০০৮ সালে নির্মাণ শেষ হয়। ২৭০ মেগাওয়াটের ২য় ধাপ ২০১৪ এর নভেম্বরে শেষ হয়। [৫]
হেলেট বায়ু প্রকল্প (৩৫০ মেগাওয়াট)
সম্পাদনাহেলেট বায়ু প্রকল্প চারধাপে নির্মিত হয়ঃ হেলেট ১ (ব্রাউন হিল বায়ু প্রকল্প নামেও পরিচিত), হেলেট ২ (হেলেট হিল) হেলেট ৪ (উত্তর ব্রাউন হিল) এবং হেলেট ৫ (ব্লাফ র্যাঞ্জ)। প্রস্তাবিত হেলেট ৩ (এমটি ব্রায়ান) বায়ু প্রকল্প ২০১২ সালে এজিএল থামিয়ে দেয়।
হেলেট ১ ৪৫টি সাজলন ২.১ মেগাওয়াট এস৮৮ টার্বাইন এর সমন্বয়ে গঠিত(মোট ৯৫ মেগাওয়াট) এবং ২০০৮ এর জুনে তৈরি সম্পন্ন হয়। হেলেট ২ ৩৪টি সাজলন ২.১ মেগাওয়াট টার্বাইন (মোট ৭১.৪ মেগাওয়াট) এবং ২০০৯ এর শেষে তৈরি সম্পন্ন হয়। হেলেট ৪ ৬৩ টি টার্বাইনের সমন্বয়ে গঠিত এর মোট ক্ষমতা ১৩২ মেগাওয়াট এবং এটি ২০১১ এ পুরোদমে কাজ শুরু করে।হেলেট ৫ ২৫ টি সাজলন ২.১ মেগাওয়াট টার্বাইন এর সমন্বয়ে গঠিত, এটির নির্মাণ ২০১২ এর প্রথমভাগে শেষ হয়।
লেক বনি বায়ু প্রকল্প (২৭৮.৫ মেগাওয়াট)
সম্পাদনালেক বনি বায়ু প্রকল্প তিন ধাপে নির্মিত হয়। ধাপ ১ ৪৬টি ১.৭ মেগাওয়াট টার্বাইন এর সমন্বয়ে গঠিত (মোট ৮০.৫ মেগাওয়াট, এটি ২০০৫ এর মার্চে নির্মাণ শেষ হয়। দ্বিতীয় ধাপের কাজ ২০০৬এর নভেম্বর এ শুরু হয় এবং এপ্রিল ২০০৮ এর মধ্যে শেষ হয়। ধাপ ২ ৫৩টি ৩ মেগাওয়াট টার্বাইন এর সমন্বয়ে গঠিত (মোট ১৫৯ মেগাওয়াট)।ধাপ ৩ ১৩টি ৩মেগাওয়াট টার্বাইন এর সমন্বয়ে গঠিত (মোট ৩৯ মেগাওয়াট)। যখন এই তিনটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়, তখন এগুলোর সমন্বিত উৎপাদন ছিল ২৭৮.৫ মেগাওয়াট। যা ছিল অস্ট্রেলিয়ার সর্ব বৃহৎ। [৬]
ওয়াটারলু বায়ু প্রকল্প (১১১ মেগাওয়াট)
সম্পাদনাওয়াটারলু বায়ু প্রকল্প ১১১ মেগাওয়াট প্রকল্প যা $৩০০মিলিয়ন ব্যয়ে ২০১০ সালে নির্মিত।[৪] সাইত্রিসটি ভেস্টাস ভি৯০ ৩ মেগাওয়াট টার্বাইন প্রকল্পের ১৮ কিমি ব্যাপী বিস্তৃত,যা ৩৩ কিলোভোল্ট কেবল নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে প্রকল্পের সাব স্টেশন এর সাথে যুক্ত। এই প্রকল্পটি ক্লের শহরের ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ - পূর্বে ও এডেলাইডের ১০০ কিমি উত্তরে।
ওয়াটল পয়েন্ট বায়ু প্রকল্প(৯১ মেগাওয়াট)
সম্পাদনাওয়াটল পয়েন্ট বায়ু প্রকল্প ইয়র্ক পেনিনসুলার এডিথবার্গের নিকট অবস্থিত.২০০৫ সালের জুন মাসে যখন এটি আনুষ্ঠানিকভাবে খোলে তখন ৯১ মেগাওয়াট সমৃদ্ধ এই প্রকল্পটি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় প্রকল্প ছিল। $১৬৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পে ৫৫টি টার্বাইন আছে।
মাউন্ট মিলার বায়ু প্রকল্প (৭০ মেগাওয়াট)
সম্পাদনামাউন্ট মিলার বায়ু প্রকল্প কউয়েল ও ক্লেভ শহরে একটি উঁচু পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত। এটি ভ্যাল্লা এর ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে। উঁচু পাহাড়ের দিকে ৩৫টি টার্বাইন যা বায়ুর ব্যবহার করে ৭০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। এই প্রকল্পের কাজ ২০০৪ এর শেষের দিকে শুরু হয়ে ২০০৫ এর ডিসেম্বরে শেষ হয়। ফেব্রুয়ারি ২০০৬ এ উৎপাদন শুরু হয়।[২]
ক্যাথেড্রাল রক্স বায়ু প্রকল্প (৬৬ মেগাওয়াট)
সম্পাদনাক্যাথেড্রাল রক্স বায়ু প্রকল্প দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার আয়রি প্যানিন্সুলার দূরবর্তী উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত। এটি পোর্ট লিঙ্কন থেকে ৩০ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে। এর ৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষম ৩৩ টি টার্বাইন রয়েছে। ২০০৪ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং২০০৫এর শেষে প্রথম টার্বাইন কাজ শুরু করে। ২০০৭ সালে এটি পুরোদমে কাজ শুরু করে।
ক্লিমেন্টগ্যাপ বায়ু প্রকল্প (৫৬ মেগাওয়াট)
সম্পাদনা২০১০ এর ফেব্রুয়ারি তে প্যাসিফিক হাইড্রো ৫৬.৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ক্লিমেন্টগ্যাপ বায়ু প্রকল্প শুরু হয়। এই প্রকল্পটি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার মধ্য - উত্তর এ অবস্থিত।এই প্রকল্পে ২৭ x ২.১ মেগাওয়াট সাজলন টার্বাইন রয়েছে, যা ৩০০০০ ঘরের জন্যে যথেষ্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।[৭]
কানুডা বায়ু প্রকল্প (৪৬ মেগাওয়াট)
সম্পাদনাকানুডা বায়ু প্রকল্প মিলিসেন্ট থেকে ১৬ কিলোমিটার দক্ষিণে প্রকল্পের চারন ভূমি তে অবস্থিত। এটি একটি $৯২.৫ মিলিয়ন ডলার প্রকল্প, যার ক্ষমতা ৪৬ মেগাওয়াট।এই প্রকল্প ২৩টি ২ মেগাওয়াট ভেস্তা টার্বাইনের সমন্বয়ে গঠিত।এই প্রকল্প ২০০৫ এর মার্চে উৎপাদনে যায়।[৮]
স্টার ফিস হিল বায়ু প্রকল্প (৩৪.৫ মেগাওয়াট)
সম্পাদনাস্টার ফিস হিল বায়ু প্রকল্প ফ্লুরিয়ো পেনিনসুলার "(Fleurieu Peninsula)" কাছে কেপ জারভিসে অবস্থিত। এতে ১.৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৩ টি টার্বাইন রয়েছে, যার মধ্যে ৮টি স্টার ফিশ হিলে,১৫ টি কাছের সল্ট ক্রিক হিলে। এরা সমন্বিত ভাবে ৩৪.৫ মেগাওয়াট উৎপাদন করে।স্টার ফিস হিল বায়ু প্রকল্প ২০০৩ এর সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করে,এটি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার একটি অন্যতম প্রধান বায়ু প্রকল্প।
প্রভাব
সম্পাদনারাজ্যের নবায়ন যোগ্য শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুত উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হ্রাস ঘটিয়েছে।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় বায়ু শক্তির দ্রুত উন্নয়ন এর নির্মাণ এবং পরিচালনার জন্যে সরাসরি অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। অক্টোবর ২০১১ পর্যন্ত এ খাতে ২.৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে যার ফলে বিভিন্ন ভাবে প্রায় ৩০০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।[৯] বায়ু প্রকল্পের উপর চালানো অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, একটি ৫০ মেগাওয়াট এর নির্মাণ এর ভূমি মালিক কে বছরে $২৫০,০০০ ডলার পরিসোধ করে,এর শ্রমিকেরা $১.২ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত স্থানীয় ভাবে খরচ করে এবং ৳৮০,০০০ ডলার সামাজিক প্রকল্পে অবদান রাখে।[১০]
বায়ু প্রকল্প উন্নয়নের জন্য অনুমোদন প্রক্রিয়া নীতিসমূহ কিছু কমিউনিটি দলের বিরোধিতার স্বীকার হয়েছে। গ্রামের কিছু অধিবাসীদের দ্বারা কিছু দাবি উত্থাপিত হয়েছে যারা অভিযোগ করে বায়ু প্রকল্প গুলো সম্পত্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর বেশ কিছু অসন্তোষ জনক প্রভাব পড়েছে।[১১]
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় নবায়ন যোগ্য বিদ্যুৎ যেমন বায়ু বিদ্যুত, সৌর বিদ্যুতের অংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরো বিদ্যুতের দাম নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা এসোসিয়েশন এর ২০১২ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, উন্নত বিশ্বের দেশ জার্মানি এবং ডেনমার্ক এর পরই দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিদ্যুতের দাম সর্বোচ্চ,আর এভাবে বাড়তে থাকলে নিকট ভবিষ্যতে দাম সবচেয়ে বেশি হবে।[১২] জার্মানি এবং ডেনমার্কের কথা উল্লেখ করে তৎকালীন বিরোধি দলীয় নেতা আইসবেল রেডমন্ড রাজ্যের বিদ্যুতের দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে- নবায়ন যোগ্য বিদ্যুতের উন্নয়নের নীতিকে দায়ী করে।[১৩] অপরদিকে, বায়ু বিদ্যুতে "মেরিট অর্ডার" প্রভাব পরিলক্ষিত করা গেছে, যেখানে বিদ্যুৎ বিপণনকারীরা তুলনামুলক কম দামের বিদ্যুৎ দামি বিদ্যুতের আগেই কিনে। এটিও বিদ্যুতের খুচরো পর্যায়ের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত।[১৪] অস্ট্রেলিয়ান এনার্জি মার্কেট অপারেটর এর সংগৃহীত তথ্য আনুযায়ী সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পাইকারী বিদ্যুতের দাম অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ।[১৫] ২০১৩ সালের সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিদ্যুৎ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দাম বৃদ্ধির মূল কারণ ছিল সঞ্চালন ও বণ্টন নেটওয়ার্কের মূল্য বৃদ্ধি।[১৬]
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সরকার বিবৃতি দিয়েছে যে, অস্ট্রেলীয় সরকারের কার্বন কর নীতির (জুলাই ২০১২ থেকে জুন ২০১৪) কারণে অন্য অঙ্গরাজ্যের তুলনায় এখানে অর্ধেক দাম বাড়ে, বায়ু এবং গ্যাস ভিত্তিক বেশি ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকায়।[১৭]
২০১১ এর নবায়নযোগ্য জ্বালানি পরিকল্পনা
সম্পাদনাঅক্টোবর ২০১১ সালে,দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য সরকার একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি পরিকল্পনা উন্মুক্ত করে, এর মধ্যে :[৯][১৮]
- একটি নবায়নযোগ্য শক্তির সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা, ২০২০ সাল নাগাদ রাজ্যের ৩৩ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়ন যোগ্য উৎস থেকে আসবে।
- কয়লা ভিত্তিক নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপর নিষেধাজ্ঞা
- বেশি বেশি সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অনুমোদনে স্থানীয় সরকারের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি।
- বায়ুশক্তি সহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে সঞ্চালন লাইন সক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় খোজা।
- প্রস্তুতকারী এবং বাড়ির মালিকের পারস্পরিক চুক্তি ছাড়া বাড়ির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বায়ু শক্তি প্রকল্প অনুমোদিত নয়।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Government of South Australia: "Wind energy in South Australia" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে, updated 4 August 2014, retrieved 4 November 2014
- ↑ ক খ গ "Wind power and wind farms in South Australia"। ২৭ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০০৯।
- ↑ ক খ Government of South Australia (8 December 2010).
- ↑ ক খ New, Robert (November 2010).
- ↑ Vorrath, Sophie: "South Australia’s 270MW Snowtown takes wind energy to new highs", in RenewEconomy, 3 November 2014
- ↑ "Wind power and wind farms in South Australia: Wind in the Bush"। ২৭ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০০৯।
- ↑ Clements Gap Wind Farm opened ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে EcoGeneration, 25 February 2010.
- ↑ Wind Prospect (undated).
- ↑ ক খ South Australia's renewable energy plan wins praise
- ↑ "Benefits of wind energy in Australia"। ১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ South East residents join wind power protest[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "SA power prices to be highest in the world"। ১১ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Heat blamed for high SA electricity prices
- ↑ South Australia's big win with wind
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Electricity and gas prices to jump 18% in SA
- ↑
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Wind power in South Australia: Wind in the Bush ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে