তিতাস গ্যাসক্ষেত্র
তিতাস গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি এবং বর্তমান (২০০০) সময় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস উৎপাদনকারী ক্ষেত্র। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত এই গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে দৈনিক ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আহরণ করা হয়। এটি বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত হয়। গ্যাসক্ষেত্র এলাকার ভূ-কাঠামো গম্বুজ আকৃতির, যার আয়তন প্রায় ৬৪ বর্গ কিলোমিটার।[১] গ্যাস উৎপাদিত বালুকণাগুলির স্তর অধিকাংশই ২,৬১৬ মিটার থেকে ৩,১২৪ মিটার গভীরতার মধ্যে। তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের মোট অনুমিত মজুদ প্রায় ৪.১৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট যার মধ্যে উত্তোলনযোগ্য মজুদ ২.১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (প্রেক্ষিত ২০০০)। ২০০০ সালের শেষ পর্যন্ত এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে মোট ১.৭২ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে যা মোট উত্তোলনযোগ্য মজুদের প্রায় ৭৫ ভাগ।
তিতাস গ্যাসক্ষেত্র | |
---|---|
তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের অবস্থান | |
দেশ | বাংলাদেশ |
অঞ্চল | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা |
সমুদ্রতীরাতিক্রান্ত/ডাঙাবর্তী | ডাঙাবর্তী |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৫৫′০০″ উত্তর ৯০°৫৭′০০″ পূর্ব / ২৩.৯১৬৬৬৭° উত্তর ৯০.৯৫° পূর্ব |
পরিচালক | বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড |
ক্ষেত্রের ইতিহাস | |
আবিষ্কার | ১৯৬২ |
উৎপাদন সূচনা | ১৯৬৮ |
উৎপাদন | |
বর্তমান গ্যাস উৎপাদন | ৩০০ নিযুত cubic feet per day (৮.৫ নিযুত cubic metres per day) |
Estimated gas in place | ৪.১৩×১০ ৯ ঘনফুট (১১৭×১০ ৬ মি৩) |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে। ১৯৬৪ সালের ২০ নভেম্বর, গ্যাসক্ষেত্রটি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।[২] এখান থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় এপ্রিল ১৯৬৮ সালে। ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এখানে ১৪টি কূপ খনন করা হয়েছে। ২০০৬ সালে বিজিএফসিএল তিতাস নদীর নিকটবর্তী তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে গ্যাসের ছিদ্রপথ খুঁজে পায়। ২০১৯ সালে একটি অগ্নিকাণ্ডের কারণে এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে আধা ঘন্টার জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "প্রাকৃতিক সম্পদ"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৩ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "এক নজরে তিতাস গ্যাসক্ষেত্র"। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৬ জুন ২০১৮। ১৩ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৯।