তানতোয়ি ইয়াহিয়া

তানতোয়ি ইয়াহিয়া (জন্ম: ২৯ নভেম্বর ১৯৬০) হচ্ছেন ইন্দোনেশিয়া এর একজন উপস্থাপক,[১] দেশাত্মবোধক গায়ক এবং উদ্যোক্তা। তিনি হু ওয়ান্টস টু বি এ মিলিয়নার? এর ইন্দোনেশিয়ান সংস্করণটি উপস্থাপনা করার জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত। ২০০৯ সাল থেকে, তানতোয়ি ইয়াহিয়া দক্ষিণ সুমাত্রা এর প্রতিনিধিত্বকারী গোলকার পার্টি থেকে পিপলস রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউন্সিল এর হয়ে ইন্দোনেশিয়ান সংসদের সদস্য হয়ে আছেন।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

তানতোয়ি ইয়াহিয়া ১৯৬০ সালের ২৯ অক্টোবর দক্ষিণ সুমাত্রা এর পালেম্ব্যাং শহর এ জন্মগ্রহণ করেন এবং উক্ত শহরেই বসবাস করেন। তার পিতা জীবিকা নির্বাহ নরার জন্য স্ক্র্যাপ প্লাস্টিক বিক্রয় করতেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে, তার পিতা তানতোয়ি ইয়াহিয়াকে ইংরেজি কোর্স এর জন্য পাঠিয়েছিলেন, বিশ্বাস করেছিলেন যে তার পুত্রের সাফল্যের জন্য এটি আবশ্যক।[২]

তানতোয়ি ইয়াহিয়া ১৯৯০ সালে তার স্ত্রী দেবী আন্দায়ানী এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ছেলে সন্তান মোহাম্মদ আদজানি প্রসূণ ইয়াহিয়া ২০০১ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তানতোয়ি ইয়াহিয়া হচ্ছেন টেলিভিশনের উপস্থাপক হেল্মিয়া ইয়াহিয়া এর বড় ভাই।

টেলিভিশন সম্পাদনা

তানতোয়ি ইয়াহিয়া এর প্রথম সফল টিভি অনুষ্ঠান "গীতা রেমেজা" এর মাধ্যমে তিনি তার প্রথম সাফল্য দেখেন।[২] তার সেরা পরিচিত কর্মজীবন যদিও ২০০১ সালে এসেছিলেন, সেই বছর থেকে ২০০৬ পর্যন্ত, তানতোয়ি ইয়াহিয়া হু ওয়ান্টস টু বি এ মিলিয়নার? এর ইন্দোনেশিয়ান সংস্করণটি উপস্থাপনা করেন, যেটি আরসিটিআই এ সম্প্রচার করা হয়েছিল।[২][৩] পরের বছর তিনি ডিআরএলআর বা নং ডীল ইন্দোনেশিয়ায়ও আয়োজন করেন, সেটিও আরসিটিআই এ সম্প্রচার করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে তিনি আর ইউ স্মার্টার দেন এ ফিফথ গ্র্যাডার? এর স্থানীয় অভিযোজন আয়োজন করেছেন, এই সময় এটি গ্লোবাল টিভি এ প্রচার করা হয়েছিল, কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার সংসদীয় নির্বাচনে তার নির্বাচনী জয়ের ফলে ২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ নির্বাচনে এর সমাপ্তি ঘটে।

দেশাত্মবোধক সঙ্গীত সম্পাদনা

তানতোয়ি ইয়াহিয়া ২০০০ সালে রিন্টো হারাহাপ এর প্রথম দেশাত্মবোধক গান, "গোন, গোন, গোন" মুক্তি দেন।[৪] এটি তার প্রথম অ্যালবাম "কান্ট্রি ব্রিজ" দ্বারা অনুসরণ করা হয়, যা ৩০০,০০০ কপি বিক্রিত হয়েছিল।[৪] তার সঙ্গীত সাফল্য তাকে টেলিভিশনের "কান্ট্রি রোড স্পেশাল" মিউজিক শো এর উপস্থাপকে পরিণত করে।[২] তিনি "ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গায়ক" হিসাবে অভিহিত হন।[৩] ইন্দোনেশিয়া এর অলরাউন্ডার পিটার এফ গনিথাকে তার জনপ্রিয়তা সম্পর্কে একটি সাক্ষ্য হিসাবে তিনি তানতোয়ি ইয়াহিয়াকে তার কন্যার বিয়েতে সেলিন ডিওন এর পাশে গাইতে বলেছিলেন।[২] তিনি বলেন যে দেশের সঙ্গীত হচ্ছে তার "দ্বিতীয় ধর্ম"।[৫] তানতোয়ি ইয়াহিয়া ইন্দোনেশিয়ার কান্ট্রি মিউজিক ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা।[৬] তানতোয়ি ইয়াহিয়া ক্যাসেট ডিস্ট্রিবিউশন এবং ইভেন্ট আয়োজক কেপি প্রোডাকশনস পরিচালনা করেন যার দ্বারা ইন্দোনেশিয়ান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস এবং প্যানাসনিক অ্যাওয়ার্ডস সংগঠিত হয়।[৭] ২০০৫ সালে, তানতোয়ি ইয়াহিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ আইজেনহাওয়ার ফেলোশিপের একটি মাল্টি-ন্যাশান প্রোগ্রামের অধীনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দেশব্যাপী সঙ্গীত শিল্পের ন্যাশভিলে উপস্থিত হয়েছিলেন।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "PDI-P remains indecisive on Rano Karno's candidacy despite surveys"The Jakarta Post। ১০ মে ২০১১। ১৮ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. "Tantowi, a man of a million talents", The Jakarta Post, ৬ আগস্ট ২০০২, ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা 
  3. "Tantowi Yahya: The Voice of Indonesian Country Music", Country Music Online, ৬ জুলাই ২০০৫ 
  4. "Tantowi Yahya profile", Merdeka.com 
  5. "Tantowi Yahya: 'Music is my second religion'", The Jakarta Post, ২৮ জুন ২০০৮, ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা 
  6. "Tantowi says sayonara to showbiz", The Jakarta Post, ১২ আগস্ট ২০০৯, (সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  7. "Guess What? Tantowi Yahya", The Jakarta Post, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০০০, ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা 
  8. "Tantowi Yahya warms to United States", The Jakarta Post, ১৩ মে ২০০৫, ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা