তলী মসজিদ

ভারতের মসজিদ

তলী মসজিদ (১৬৭১ খ্রিস্টাব্দ), এটি দামরি মসজিদ নামেও পরিচিত, ভারতের হায়দ্রাবাদের কারওয়ানে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটা গোলকোন্ডা দুর্গ থেকে চারমিনার যাওয়ার পথে ২ কিমি সামনে অবস্থিত। আবদুল্লাহ কুতুব শাহের শাসনামলে (১০৮২ হিজরি) মীর মুসা খান মহলদার মসজিদটি নির্মাণ করেন।[১]

তলী মসজিদ
Medieval-era granite mosque surrounded by palm trees
তলী মসজিদ, ২০১৯
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থাসক্রিয়
অবস্থান
অবস্থানহায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানা, ভারত
স্থানাঙ্ক১৭°২২′২৯″ উত্তর ৭৮°২৬′২০″ পূর্ব / ১৭.৩৭৪৬১° উত্তর ৭৮.৪৩৮৯৭° পূর্ব / 17.37461; 78.43897
স্থাপত্য
স্থপতিমীর মুসা খান মহলদার
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইন্দো-ইসলামি স্থাপত্য
সম্পূর্ণ হয়১৬৭১
বিনির্দেশ
মিনার
মিনারের উচ্চতা২০ মিটার

ইতিহাস সম্পাদনা

সুলতান আবদুল্লাহ কুতুব শাহের শাসনামলে ১৬৭১ খ্রিস্টাব্দে মীর মুসা খান মহলদার মসজিদটি নির্মাণ করেন। এটি কুতুবশাহী স্থাপত্যের অন্যতম সেরা নিদর্শন। মসজিদটি নির্মাণে তিনি হায়দ্রাবাদের মক্কা মসজিদ এবং সুলতান আবদুল্লাহ কুতুব শাহের রাজকীয় স্থপতি ব্যবহার করেছিলেন।[২]

রাজকীয় নথিতে "গুলজার-ই-আসফিয়া" নামে একটি অধ্যায় রয়েছে। এখানে উল্লেখ রয়েছে যে রাজকীয় স্থপতি যখন মক্কা মসজিদ নির্মাণ করছিলেন, তখন তাকে এতে ব্যয় করা প্রতি টাকার জন্য একটি করে দামরি/দমদি (মুদ্রা) দেওয়া হয়েছিল। এইভাবে সংগৃহীত অর্থ মুসা খান তলী মসজিদ নির্মাণে ব্যয় করেছিলেন। তাই এই মসজিদটিকে দামরি মসজিদও বলা হয়।[৩]

স্থাপত্য সম্পাদনা

 
সামনে সম্মুখভাগে বিস্তারিত stucco কাজ

মসজিদটি একটি উঁচু স্তম্ভসহ একটি উঁচু প্লাটফর্মের উপর নির্মিত। এটি দুটি হলে বিভক্ত; বাহিরের হলটিতে পাঁচটি খিলানযুক্ত প্রবেশদ্বার রয়েছে। বাহিরের পাঁচটি খিলানের মধ্যে কেন্দ্রীয় খিলানটি সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত। কেন্দ্রীয় খিলানটি বাকি চারটির চেয়ে একটু চওড়া এবং অলঙ্কৃত।[১]:৬৬–৬৭

প্রার্থনা কক্ষের শিলালিপি থেকে জানা যায় যে মুসা খান (যিনি শেষ কুতুব শাহী সুলতান, আবুল হাসান কুতুব শাহ গোলকুণ্ডার সিংহাসনে আরোহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন) মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। গোলকুন্ডা দুর্গের মুসা বুর্জও তিনিই নির্মাণ করেছিলেন।[১]:৬৬–৬৭

অবনতি সম্পাদনা

দ্য হিন্দুর মতে তলী মসজিদের আশেপাশের জমি রাজনৈতিক প্রভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা দখল করে নিয়েছে[৪] এবং দূষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মসজিদের মিনারগুলি তার খোদাই করা সৌন্দর্য হারাচ্ছে।[৫]

চিত্রশালা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Bilgrami, Syed Ali Asgar (১৯২৭)। Landmarks of the Deccan। Asian Educational Services। আইএসবিএন 81-206-0543-8 
  2. India: past & present, 2003, আইএসবিএন ৮১-৭৬৪৮-৪৫৫-৫ISBN 81-7648-455-5, by Prakash Chander, Page-148
  3. Toli Masjid in Hyderabad India
  4. "'Toli Masjid land encroached'"The Hindu। Chennai, India। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. "Indian Ecological Society"। ৮ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০২২