ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ
ঢাকা রোমান ক্যাথলিক মহাধর্মপ্রদেশ (লাতিন: Archidioecesis Dhakensis)[১] বাংলাদেশের ক্যাথলিক গির্জার প্রধান লাতিন মেট্রোপলিটন ধর্মপ্রদেশ। এটি অদ্যাবধি রোমান ধর্মপ্রচার সংঘের ওপর নির্ভরশীল।
ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ Archidioecesis Dhakensis | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | বাংলাদেশ |
যাজকীয় প্রদেশ | ঢাকা |
স্থানাঙ্ক | |
পরিসংখ্যান | |
আয়তন | ১৪,১৯৩ বর্গকিলোমিটার (৫,৪৮০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা - মোট - ক্যাথলিক | (২০১৩ হিসাবে) ২,৩৩,৩৯,৯৪৫ ৬২,৭৮০ (০.৩%) |
প্যারিশ | ১৮ |
তথ্য | |
গোষ্ঠীনাম | রোমান ক্যাথলিক |
কৃত্য | রোমান রাইট |
স্থাপিত | ১৯ অক্টোবর ১৯৮২ (মহাধর্মপ্রদেশ হিসেবে) |
ক্যাথেড্রাল | সন্ত মারির ক্যাথেড্রাল, ঢাকা |
পৃষ্ঠপোষক সন্ত | ইমাকুলেট কনসেপশন |
ধর্ম পুরোহিত | ১২৫ |
বর্তমান নেতৃত্ব | |
পোপ | ফ্রান্সিস |
আর্চবিশপ | প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, সিএসসি |
মেট্রোপলিটনের প্রধান ধর্মযাজক | প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, সিএসসি |
সহকারী | দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশ ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশ রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ সিলেট ধর্মপ্রদেশ |
সহায়ক বিশপ | শরৎ ফ্রান্সিস গোমেজ |
এমেরিটাস বিশপ | থিওটোনিয়াস গোমেজ, সিএসসি |
মহাধর্মপ্রদেশের মেরীয় মাতৃ গির্জা এবং আর্চবিশপের কার্যালয় হলো ঢাকা শহরে অবস্থিত সন্ত মেরির ক্যাথেড্রাল। বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ মেট্রোপলিটান ধর্মপ্রদেশ হওয়ায় এটি দেশের প্রধান যাজকশাসিত এলাকা। ঢাকার আর্চবিশপ হলেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও। প্যাট্রিক ডি’রোজারিও পূর্বে চট্টগ্রামের বিশপ ছিলেন। তিনি পোপ পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট কর্তৃক ২০১০ সালের নভেম্বরে সহায়ক আর্চবিশপ পদে নিযুক্ত হন এবং ২০১১ সালের অক্টোবরে আর্চবিশপ পাউলিনাস কস্তার স্থলাভিষিক্ত হন।
যাজকীয় প্রদেশ
সম্পাদনানিম্নোক্ত ধর্মপ্রদেশগুলো ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ যাজকীয় প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত:
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ধর্মমহাপ্রদেশ থেকে বের হয়ে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা যাজকীয় প্রদেশ মিলে নতুন মেট্রোপলিটান চট্টগ্রাম রোমান ক্যাথলিক ধর্মমহাপ্রদেশ গঠন করে।
ইতিহাস
সম্পাদনাপোপ একাদশ পিউস ১৮৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বঙ্গীয় ধর্ম প্রচারক সম্প্রদায় গঠন করেন।[১] এটি ১৮৮৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর পূর্ব বঙ্গ ধর্মপ্রদেশ হিসেবে রূপান্তরিত হয়।[১] ১৮৮৭ সালে এর যাজকীয় প্রদেশের নামানুসারে ডাক্কা ধর্মপ্রদেশ হিসেবে পুনর্নামকরণকৃত হয়।[১] এর অংশ থেকে পৃথক হয়ে ১৯২৭ সালে চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশ গঠিত হয়, যা ২০১৭ সালে ধর্মমহাপ্রদেশে উন্নীত হয়।
পোপ দ্বাদশ পিউস ১৯৫০ সালের ১৫ জুলাই ঢাকা ধর্মপ্রদেশকে মহাধর্মপ্রদেশে উন্নীত করেন।[১] ১৯৫২ সালের ১৭ জানুয়ারি হাফলং ধর্মপ্রচার প্রদেশ গঠনের জন্য ঢাকা ধর্মপ্রদেশের আয়তন আরও কমে যায়। এর মাঝে পোপ দ্বিতীয় জন পল ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকা সফর করেন। পোপ দ্বিতীয় জন পল ১৯৮২ সালের ১৯ অক্টোবর ঢাকা ধর্মমহাপ্রদেশ নামে এর পুনর্নামকরণ করেন।[২] ১৯৮৬ সালের নভেম্বর মাসে পোপ দ্বিতীয় জন পল পুনরায় ঢাকা সফর করেন। ঢাকা ধর্মমহাপ্রদেশের অংশবিশেষ নিয়ে ১৯৮৭ সালের ১৫ মে ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশ এবং ২০১১ সালের ৮ জুলাই সিলেট ধর্মপ্রদেশ গঠিত হয়।
বিশপ
সম্পাদনাঢাকার বিশপদের সবাই রোমান রাইটের অনুসারী এবং লাতিন ধর্ম সংঘের অন্তর্ভুক্ত।
যাজক
সম্পাদনাপূর্ব বঙ্গে প্রেরিত ভিকারদের তালিকা
সম্পাদনা- থমাস ওলিফে (১৮৫০ - ১৮৫৫), পশ্চিমবঙ্গে ধর্মপ্রচারে নিযুক্ত
- ফাদার লুইস ভারিতে, সিএসসি (১৮৫৫ - ১৮৬০), ধর্ম প্রচারকদের অনুকূলে নিযুক্ত
- পিয়েরে দুফাল, সিএসি (১৮৬০ - ১৮৭৬); পদত্যাগ করেন; ১৮৭৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গ্যালভেস্টনের সহায়ক বিশপ নিযুক্ত হন।
- জিওর্দানো ব্যালসিপার, ওএসবি (১৮৭৮ - ১৮৮৬)
ঢাকার বিশপদের তালিকা
সম্পাদনা- অগাস্টিন লুয়েজ, সিএসসি (১৮৯০ - ১৮৯৪)
- পিটার জোসেফ হার্থ, সিএসসি (১৮৯৪ - ১৯০৯), ফিলিপাইনের নুয়েভা সেগোভিয়ার বিশপ নিযুক্ত হন
- ফ্রেডরিক লিনবর্ন, সিএসসি (১৯০৯ - ১৯১৫)
- আমাঁদ-থিওফাইল-জোসেফ লেগ্রাঁদ, সিএসসি (১৯১৬ - ১৯২৯)
- টিমোথি জোসেফ ক্রাউলি, সিএসসি (১৯২৮ - ১৯৪৫)
- লরেন্স লিও গ্রেনার, সিএসসি (১৯৪৭ - ১৯৫০ নিচে দেখুন)
ডাক্কা'র আর্চবিশপদের তালিকা
সম্পাদনা- লরেন্স লিও গ্রেনার, সিএসসি (উপরে দেখুন ১৯৫০ - ১৯৬৭)
- থিওটোনিয়াস অমল গাঙ্গুলী, সিএসসি (১৯৬৭ - ১৯৭৭)
ঢাকার আর্চবিশপদের তালিকা
সম্পাদনা- মাইকেল রোজারিও (১৯৭৭ - ২০০৫)
- পাউলিনাস কস্তা (২০০৫ - ২০১১)
- প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, সিএসসি (২০১১ - বর্তমান (২০১৬ থেকে কার্ডিনাল)
সহকারী বিশপদের তালিকা
সম্পাদনা- টিমোথি জোসেফ ক্রাউলি, সিএসসি (১৯২৭ - ১৯২৯)
- থিওটোনিয়াস অমল গাঙ্গুলি, সিএসসি (১৯৬৫ - ১৯৬৭)
- প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, সিএসসি (২০১০ - ২০১১); পরবর্তীতে কার্ডিনাল
সহায়ক বিশপদের তালিকা
সম্পাদনা- থিওটোনিয়াস অমল গাঙ্গুলী, সিএসসি (১৯৬০ - ১৯৬৫)
- থিওটোনিয়াস গোমেজ, সিএসসি (১৯৯৬ - ২০১৪)
- শরৎ ফ্রান্সিস গোমেজ (২০১৬ - বর্তমান)
পরিসংখ্যান
সম্পাদনা২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী ঢাকা ধর্মমহাপ্রদেশের ১২,০০০ বর্গকিলোমিটারে ৬৪,৯৬০ জন ক্যাথলিক (মোট জনসংখ্যা ২,৩৫,৩৯,২৮০ জনের মধ্যে ০.৩%) বাস করেন। ঢাকা ধর্মমহাপ্রদেশের অধীনে মোট ১৮টি প্যারিশ, ১১৫ জন যাজক (৪২ জন ডায়োসিসান, ৭৩ জন ধর্মীয়) সংবলিত ১৪টি মিশন, ৬৯৫ জন ধর্মযাজক (১৩২ জন ব্রাদার, ৫৬৩ জন সিস্টার) এবং ১৭ জন সেমিনারিয়ান রয়েছে।
বছর | ক্যাথলিক জনসংখ্যা | ধর্মপ্রদেশীয় যাজক | প্যারিশ |
---|---|---|---|
২০০০ | ৭০,৮২১ | ৪২ | ১৯ |
২০১৫ | ৬২,৭৮০ | ৫২ | ১৮ |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Archdiocese of Dhaka"। ক্যাথলিক-হায়ারার্কি। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Dhaka (Archdiocese) in Catholic Hierarchy