ডোরেমন: নোবিতা নো নানকাই দাইবোকেন

১৯৯৬ সালে ৎসুতোমু শিবায়ামা পরিচালিত চলচ্চিত্র

ডোরেমন: নোবিতা নো নানকাই দাইবোকেন (ドラえもん のび太の南海大冒険, Doraemon Nobita no Nankai Daibōken) হল বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির দু:সাহসিক চলচ্চিত্র যা ৭ মার্চ ১৯৯৮ সালে জাপানে মুক্তি পায়। এটি একই নামের ১৮তম ভলিউমের উপর ভিত্তি করে নির্মিত। এটি ডোরেমনের ১৯তম চলচ্চিত্র। এটি ১৯৯৮ মাইনচি চলচ্চিত্র পুরষ্কারে সেরা অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার জিতে এবং জাপানি মিডিয়া আর্টস উৎসবের সেরা অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র বিভাগেরও মনোনীত হয়েছিল। এটি ফুজিও.এফ ফুজিওর মৃত্যুর পরে প্রথম ডোরেমন চলচ্চিত্র।

ডোরেমন: নোবিতা নো নানকাই দাইবোকেন
পরিচালকৎসুতোমু শিবায়ামা
প্রযোজকজুন কাজি
জুনিচি কিমুরা
তোশিহিদে ইয়ামাডা
প্রযোজনা
কোম্পানি
আসাৎসু
ভাষাজাপানি

পটভূমি

সম্পাদনা

নোবিতা নোবি এবং তার বন্ধুরা বিদ্যালয়ের কার্যসূচী হিসেবে সমুদ্র বিষয়ে আলোচনা করছে। জলদস্যু্দের জীবন ও গুপ্তধন বিষয়ে আগ্রহী, নোবিতা সেরকম গুপ্তধন খুজে বের করতে ডোরেমন এর নিকট সাহায্য চায়। ডোরেমন প্রথমে বর্তমান সময়ে টিকে থাকা জলদস্যুদের পাশাপাশি গুপ্তধনের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে, তবে সম্প্রতি আবিষ্কৃত গুপ্তধনের খবর জানতে পেরে সে নোবিতাকে গোপন ধন অনুসন্ধানে তার সমুদ্র ভ্রমণে সাহায্য করে। শিজুকা মিনামোটো, তাকেশি "জিয়ান" গোদা এবং সুনিও হোনেকাওয়াকে সাথে নিয়ে এসে তারা ডোরামন গ্যাজেট দিয়ে জাহাজ এবং সামুদ্রিক বিপদের সিমুলেটর খেলতে প্রশান্ত মহাসাগরে ঘোরাফেরা করতে থাকে।

তবে ডোরাইমন সময়ের বিকৃতি অনুভব করে যা এই গ্রুপটিকে ষোড়শ শতাব্দীতে নিয়ে যায় ও তখন সত্যিকারের বিপজ্জনক ঘটনা এবং সমুদ্রের দানবগুলির উপস্থিতি শুরু হয়। একটি ঘূর্ণিপাক তাদের জাহাজটিকে ধ্বংস করে দিলে, নোবিতা ডুবে যায় এবং পরে নিখোঁজ হয়, তবে অন্যরা ষোড়শ শতাব্দীর জলদস্যুরা একটি বিশাল জলদস্যু জাহাজে উঠে রক্ষা পায়। ঘূর্ণিঝড়ের ঘটনার পরে ডোরেমনের কয়েকটি গ্যাজেট বাদে বাকি সমস্ত হারিয়ে যায়, ফলে তাঁদের বাধ্য হয়ে জলদস্যুদের তাদের কমরেডকে উদ্ধারে সহায়তা করতে হয়, বেটি নামে এক মহিলা জলদস্যু যে তার ভাই এবং বাবাকে হারিয়েছে, হলেন কোম্পানির নেতা। যদিও ডোরেমনের গুপ্তধনের মানচিত্রটি অর্ধেক কেটেছিটে গেছে, তবে জলদস্যুরা দেখতে পায় যে তাদের মানচিত্রটিও ডোরেমনের মানচিত্রের মতোই এক।

এদিকে, ডুবে যাওয়া নোবিতাকে একটি ডলফিন উদ্ধার করে একটি দ্বীপে নিয়ে যায় যেখানে বেটির ছোট ভাই জ্যাক থাকে। যদিও ভাষার ভিন্নতার কারণে নোবিতা জ্যাকের সাথে কথোপকথন করতে অক্ষম, তবে নোবিতা শিখেছে যে ডলফিনের নাম রাফিন এবং জ্যাকও নোবিতার মতো করেই নিজের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জলদস্যুরা অবশেষে সেই দ্বীপে এসে নোবিতা এবং জ্যাকের সন্ধান শুরু করে। একে একে, জলদস্যু এবং ডোরেমনের বন্ধুরা আক্রমণ করে দ্বীপের বাসিন্দাদের বন্দী করে। ডোরেমন তখন এটির সাথে ২২শ শতাব্দীতে নির্মিত একটি জলদস্যু সিমুলেটারের অস্বাভাবিক মিল খুঁজে পায়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা