ঠাকুরপুর জামে মসজিদ

ঠাকুরপুর জামে মসজিদ চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ ও অন্যতম প্রাচীন ইসলামিক স্থাপত্য নিদর্শন। মসজিদটি চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের পার্শ্ববর্তী ঠাকুরপুর গ্রামে অবস্থিত। ঠাকুরপুর জামে মসজিদটি বর্তমানে পীরগঞ্জ জামে মসজিদ হিসেবেই সুপরিচিত।[১]

ইতিহাস সম্পাদনা

এই মসজিদের মূল অংশ নির্মাণের ব্যাপারে প্রকৃত তথ্য পাওয়া না গেলেও স্থানীয় প্রবীণদের ভাষ্য মতে, ১৬৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাধক পুরুষ হযরত আফু শাহ্ ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দ্যেশ্যে ঠাকুরপুরে এসে খানকাহ্ স্থাপন করেছিলেন। জনশ্রুতি আছে, তিনি জ্বীনদের সাহায্য নিয়ে এক রাতের মধ্যেই মসজিদটি নির্মাণ করেন। সে কারণে স্থানীয় অনেকেই এই মসজিদটি ‘জিনের মসজিদ’ হিসেবে অভিহিত করেন।[১]

প্রতি বছরের বাংলা মাসের ১২ ফাল্গুন বার্ষিক ইছালে ছওয়াব ও হালকায়ে জিকিরের তথা বার্ষিক ওরশ আয়োজন করে এলাকাবাসী। খাতা-কলমে এবার ৮৮ বছর হলেও প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান প্রায় ৩শ বছর ধরে হয়ে আসছে।[২] দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটি দেখার জন্য এখানে আসেন।

অবকাঠামো সম্পাদনা

প্রায় ৩০ বিঘা জমির উপর স্থাপিত ঠাকুরপুর জামে মসজিদে প্রবেশ করলেই আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত একটি প্রবেশ তোরণ চোখে পড়বে। মসজিদের পিছনে রয়েছে একটি বড় পুকুর, আরও রয়েছে সারি সারি নারকেল গাছ এবং কবরস্থান। এ মসজিদের মূল কাঠামো অক্ষুণ্ণ রেখেই পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়েছে। সম্প্রসারণের পাশাপাশি মসজিদটিতে আধুনিকায়নের ছোঁয়াও লেগেছে বিভিন্ন সময় দায়িত্বে থাকা কমিটির নেতৃবৃন্দের বিশেষ উদ্যোগে। প্রধান ফটকটি টাইলস দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে যেমন, তেমনই মসজিদের অভ্যন্তর অংশেও লাগানো হয়েছে টাইলস। তবে ভিতরের পুরাতন ওই অংশটি রয়েছে এখনও আগের মতোই।[১][২]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "চুয়াডাঙ্গায় এক রাতে তৈরি জিনের মসজিদ!"dhakamail.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-১৪ 
  2. "ঠাকুরপর জামে মসজিদ"chuadangasadar.chuadanga.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]