টরন্টো উইমেন'স বুকস্টোর

টরন্টো উইমেন বুকস্টোর ২০১২ সালের নভেম্বরে বন্ধ হওয়ার আগে কানাডার বৃহত্তম অলাভজনক নারীবাদী বইয়ের দোকান ছিল। এটি মূলত বর্ণাঢ্য নারীদের দ্বারা পরিচালিত ও কর্মী ছিল, এবং নারীবাদী ও নিপীড়ন বিরোধী রাজনীতির প্রচারের জন্য নারী লেখিকাদের কল্পকাহিনী, কবিতা ও অ-ফিকশন বিক্রি করেছিল।

২০১২ সালের অক্টোবরে একটি চক এ-ফ্রেম চিহ্ন বইয়ের দোকান বন্ধ করার ঘোষণা দেয়

ইতিহাস

বইয়ের দোকানটি অনানুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে ডুপন্ট স্ট্রিটে একটি মহিলা সংস্থান কেন্দ্রে বইয়ের একক শেলফ হিসাবে শুরু হয়েছিল, এবং ১৯৭৩ সালে কেনসিংটন মার্কেটের একটি সাইটে একটি বইয়ের দোকান হিসাবে খোলা হয়েছিল, যেখানে এটি একজন নারীবাদী প্রিন্টিং প্রেস ও একটি আত্মরক্ষা সমষ্টির সাথে যুক্ত ছিল।

বইয়ের দোকানটি একটি আকস্মিক অগ্নিবোমা হামলায় ২৯ জুলাই ১৯৮৩-এ প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, যা আসলে হেনরি মরজেন্টালারের প্রতিবেশী গর্ভপাত ক্লিনিকে আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। ধীরগতির বীমা বন্দোবস্তের সাথে একীভূত পণ্যদ্রব্যের ক্ষতি ও পুনরায় খোলার বিলম্ব বইয়ের দোকানের অর্থের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছিল। একটি ফায়ার সেল, যেখানে বইয়ের দোকানটি আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ পণ্যগুলি এর উদ্দেশ্যের জন্য সমর্থকদের কাছে বিক্রি করেছিল, বইয়ের দোকানটি একটি নতুন স্থান ৭৩ হারবার্ড সেন্টে পুনরায় খোলার জন্য পর্যাপ্ত মূলধন সরবরাহ করেছিল। সেই সময়ে দোকানের একজন কর্মচারী এর ফায়ারবোম্বিং, জেনিন ফুলার, পরে ভ্যাঙ্কুভারে চলে যান, যেখানে তিনি লিটল সিস্টার'স বুক এবং আর্ট এম্পোরিয়ামের ম্যানেজার হন এবং কানাডা কাস্টমসের বিরুদ্ধে স্টোরের চলমান যুদ্ধে কানাডার সবচেয়ে প্রভাবশালী সেন্সরশিপ বিরোধী কর্মী হিসাবে বিশিষ্টতা অর্জন করেন। পরে ১৯৯২ সালের মে মাসে মরজেন্টালারের ক্লিনিকে দ্বিতীয় অগ্নিবোমা হামলায় দোকানটি আরও মাঝারি ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

১৯৯৩ সাল নাগাদ, বৃহত্তর চেইন বইয়ের দোকান থেকে কঠোর প্রতিযোগিতার ফলে টরন্টোর উইমেন'স বুকস্টোরটি ক্ষতির মুখে পড়েছিল। একই সময়ে অন্যান্য অনেক স্বাধীন বইয়ের দোকানে অনুরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল।