ঝিল
ঝিল এক প্রকারের লম্বা আকৃতির জলাশয়, যা বিল অপেক্ষা ক্ষুদ্রাকৃতির। এগুলো সাধারণতঃ চারিপাশে আবদ্ধ হয়ে থাকে এবং সারাবছর তাতে কিছুটা হলেও পানি থাকে। প্রকৃতপক্ষে এটি প্রবহমান কোন নদীর পরিত্যক্ত খাত।[১]
ব্যুৎপত্তি
সম্পাদনাঝিল মূলতঃ একটি আঞ্চলিক শব্দ, যা প্রকৃতপক্ষে একটি অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ।[১]
উৎপত্তি
সম্পাদনাঝিল দুটি উপায়ে সৃষ্টি হয়ঃ[১]
- নদী গতিপথ পরিবর্তন করায় পুরাতন গতিপথে ধীরে ধীরে পলিসঞ্চিত হয়ে পথের মুখ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মূলনদী হতে সম্পূর্ণরূপে বিছিন্ন হয়ে ঝিলে পরিণত হয়;
- নদী বাঁকা পথ পরিবর্তন করে সরল পথে প্রবাহিত হওয়ায় পুরাতন পথটির দুদিক বন্ধ হয়ে বিছিন্ন হয়ে ঝিলে পরিণত হয়।
অবস্থান
সম্পাদনাঝিল সাধারণতঃ নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় বলে যেসব অঞ্চলে নদীর গতি দ্রুত পরিবর্তিত হয় সেসব অঞ্চলে ঝিল দেখা যায়; যেমনঃ ভারতীয় উপমহাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের গাঙ্গেয় বদ্বীপ এলাকা।[১]
ব্যবহার
সম্পাদনাঝিলগুলো বর্ষা মৌসুমে গভীরভাবে প্লাবিত হওয়ায় এগুলো হতে প্রচুর মৎস্য আহরণ করা হয় এবং শুষ্ক মৌসুমে কৃষিকাজ ও গবাদি পশুর চারণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[১]
কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঝিল
সম্পাদনাভারতীয় উপমহাদেশে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঝিল রয়েছে; এগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলোঃ
- হাতিরঝিল - ঢাকা, বাংলাদেশ;
- বিক্রমগড় ঝিল - দক্ষিণ কলকাতা, ভারত;
- বেরি ঝিল - মৌলভীবাজার, বাংলাদেশ;
- সাঁতরাগাছি ঝিল - হাওড়া, ভারত।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ মোহা. শামসুল আলম (জানুয়ারি ২০০৩)। "ঝিল"। সিরাজুল ইসলাম। [[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৮। ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ঝিল - বাংলাপিডিয়া হতে সংকলিত নিবন্ধ।