ঝাবুয়া জেলা

মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা

ঝাবুয়া জেলা হল ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলাঝাবুয়া শহরটির জেলা সদর। জেলাটি ইন্দোরের বিভাগের অন্তর্গত।

ঝাবুয়া জেলা
মধ্যপ্রদেশের জেলা
মধ্যপ্রদেশে ঝাবুয়া জেলার অবস্থান
মধ্যপ্রদেশে ঝাবুয়া জেলার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যমধ্যপ্রদেশ
বিভাগঝাবুয়া
সদর দপ্তরঝাবুয়া
সরকার
আয়তন
 • মোট৩,৭৮২ বর্গকিমি (১,৪৬০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১০,২৫,০৪৮
 • জনঘনত্ব২৭০/বর্গকিমি (৭০০/বর্গমাইল)
জনসংখ্যার উপাত্ত
 • সাক্ষরতা৪৪.৪৫%
 • যৌন অনুপাত৯৮৯
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
ওয়েবসাইটhttp://jhabua.nic.in District Admin

ভূগোল সম্পাদনা

ঝাবুয়া জেলা মধ্যপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এটি গুজরাটের পাঁচমহল, বড়োদরা জেলা, রাজস্থানের বাঁশওয়ারা জেলা এবং মধ্য প্রদেশের আলিরাজপুর, ধর ও রতলাম জেলা দ্বারা ঘেরা রয়েছে।[১]

জেলায় গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ৮০০ মিমি। জেলাটি পাঁচটি তহশিলে এবং ছয়টি কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ব্লকে বিভক্ত।[১]

২০০৮ সালের মে মাসে, ঝাবুয়া জেলাটি, আলিরাজপুর ও ঝাবুয়া নামে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। আলিয়ারাজপুর, জোবাত, উদয়গড়, ভবড়া, সোনডাভা ও কাঠিওয়াদা হ'ল নতুন জেলা আলিরাজপুরের ছয়টি ব্লক। ঝাবুয়া জেলা এখন হাবুয়া, মেঘনগর, রানাপুর, রামা, থান্ডলা এবং পেটলাবাদ, মোট ছয়টি ব্লক নিয়ে গঠিত।

অর্থনীতি সম্পাদনা

ঝাবুয়া জেলাটি অত্যন্ত খরা-প্রবণ এবং অবনমিত বর্জ্যভূমি। এখানকার মহিলারা বাঁশজাতীয় পণ্য, পুতুল, জপমালা-গহনা এবং অন্যান্য জিনিসসহ সুন্দর জাতিগত জিনিসগুলি তৈরি করে যা দীর্ঘকাল ধরে সারা দেশে বসার ঘরগুলি সজ্জিত করে চলেছে। পুরুষেরা যুগ-যুগান্তে "তীর-কামথি" ব্যবহার করে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ করে চলছে, যা তাদের আধিপত্যবাদ এবং আত্মরক্ষার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০০৬ সালে পঞ্চয়েত রাজ মন্ত্রণালয় শেওপুরকে দেশের ২৫০টি পিছিয়ে পড়া জেলার (মোট ৬৪০টির মধ্যে) একটি হিসাবে চিহ্নিত করেছে।[২] এটি মধ্য প্রদেশের ২৪টি জেলার মধ্যে একটি যা বর্তমানে ব্যাকওয়ার্ড রিজিন্স গ্রান্ট ফান্ড প্রোগ্র্যামের তহবিলের কর্মসূচির (বিআরজিএফ) তহবিল থেকে অনুদান পেয়ে থাকে।[২]

জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা

জনসংখ্যা সম্পাদনা

 
রামনগরের জেলা আদালত

২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুসারে ঝাবুয়া জেলা মোট জনসংখ্যা ছিল ১,০২৫,০৪৮ জন[৩] যা সাইপ্রাস[৪] অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা রাজ্যের জনসংখ্যার সমান।[৫] জনসংখ্যার হিসাবে জেলাটি ভারতে ৪৪০তম স্থানে রয়েছে (মোট ৬৪০টির এর মধ্যে)।[৩] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৮৫ জন লোক বসবাস করে (প্রতি বর্গমাইলে ৭৪০ জন)।[৩] ২০০১-২০১১ এর দশকে ঝাবুয়ার জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৩০.৫৮% শতাংশ।[৩] লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৯৮৯ জন নারী রয়েছে।[৩] সাক্ষরতার হার ৪৪.৪৫%।[৩]

২০১১ ভারতের জনগণনা অনুসারে ঝাবুয়া জেলার (আলিরাজপুরের বিচ্ছেদ বিবেচনা করে) মোট জনসংখ্যা ছিল ৭৮৪,২৮৬ জন যার মধ্যে ৩৯৬,১৪১ পুরুষ এবং ৩৮৮,১৪৫ মহিলা। জনসংখ্যার ৯১ শতাংশ গ্রামীণ এবং ৮৫.৬০ শতাংশ উপজাতি ও ৩ শতাংশ তফসিলি বর্ণের।[১] আলিরাজপুর বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ঝাবায়া জেলার লিঙ্গ অনুপাত ছিল ৯৯৯ এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল ২০৬ বর্গ কিলোমিটার।[৬]

ঝাবুয়া প্রধানত একটি আদিবাসী জেলা এবং উচ্চ হারে নিরক্ষরতা এবং দারিদ্র্যতায় ভুগছে। প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। ভিল ও ভিলালার জনগোষ্ঠী জেলার অভ্যন্তরে বাস করে।

ভাষাসমূহ সম্পাদনা

২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনার সময় ঝাবুয়া জেলার ৮৫.২৬% জনগণ ভিলি ভাষা, ১৩.৮৭% হিন্দি এবং ০.৪১% গুজরাটি ভাষায় কথা বলে।[৭]

মূল ভাষাগুলির মধ্যে বরেলি রথী, ভিল ভাষায় প্রায় ৬৪,০০০ সদস্য দ্বারা কথিত এবং এটি দেবনাগরী লিপিতে লেখা হয়েছে[৮] ও ভিলালীতে ১,১৫০,০০০ সদস্য দ্বারা ভাব বিনিময় হয়।[৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Jhabua"। District administration। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২০ 
  2. Ministry of Panchayati Raj (সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। এপ্রিল ৫, ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১১ 
  3. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৭ 
  4. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Comoros 794,683 July 2011 est. 
  5. "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১৩-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০South Dakota 814,180 
  6. "Population, decadal growth rate, sex ratio and density – States/Union territories and Districts : 2001"Table 1। Education for all in India, Source:Registrar General of India, Government of India, New Delhi। ২০০৯-০৯-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-১২ 
  7. 2011 Census of India, Population By Mother Tongue
  8. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bareli, Rathwi: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮ 
  9. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bhilali: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০