জ্যোতিষ ঘোষ
জ্যোতিষ ঘোষ (১১ ডিসেম্বর ১৮৮৩ – ১৩ মার্চ ১৯৭১) ভারতকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য স্বাধীনতা আন্দোলনে শ্রী অরবিন্দের সহযোগী ছিলেন। তার পরিচিতি ছিল মাস্টার মশাই নামে।[১][২]
জ্যোতিষ ঘোষ | |
---|---|
জন্ম | ১১ ডিসেম্বর ১৮৮৩ ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গ পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর মহকুমার দত্তপাড়া গ্রামে |
মৃত্যু | ১৩ মার্চ ১৯৭১ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
আন্দোলন | ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন |
জীবনী
সম্পাদনাজ্যোতিষ ঘোষের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর মহকুমার দত্তপাড়া গ্রামে। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এম.এ পাশ করে প্রথমে পাটনার বাঁকিপুর কলেজে, পরে হুগলির মহসিন কলেজ, কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ও বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজে অধ্যাপনা করেন।[১] প্রথমদিকে অধ্যাপনায় কর্মজীবন শুরু করে তিনি পরবর্তীতে জাতীয়তাবাদী কর্মে লিপ্ত হন এবং রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ইংরেজ সরকারের প্রশাসক হারবার্ট হোপ রিসলে কর্তৃক ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে জারি করা- রিসলে সার্কুলারের[৩] বিরোধিতা করেন এবং ছাত্রদের রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার অধিকার অর্জনের জন্য সচেষ্ট হন। সেকারণে তিনি ব্রিটিশ শাসকের রোষে পড়েন। অরবিন্দ ঘোষের সহযোগী হয়ে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ হতে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিযোগে তিনি কয়েক দফায় কুড়ি বৎসর কারাদণ্ড ভোগ করেন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি মান্দালয় জেলে সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে ছিলেন। জেলে অত্যাচারের কারণে তিনি তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি চুঁচুড়া দেশবন্ধু স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। ওই বছরেই তিনি চট্টগ্রাম যুক্ত সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ব্রহ্মদেশে যে বিদ্রোহ শুরু হয়, সেই বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুগপৎ যোগাযোগ রেখে বাংলায় বৈপ্লবিক উত্থানের চেষ্টা করে অসফল হন। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। পরে তিনি প্রাদেশিক ফরোয়ার্ড ব্লকের সভাপতি হন। ১৯৪৬ এবং ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি রাজ্য বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার রচিত গ্রন্থটি হল- লাইফ ওয়ার্ক অফ শ্রী অরবিন্দ।[১]
জীবনাবসান
সম্পাদনাজ্যোতিষ ঘোষ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মার্চ পরলোক গমন করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ২৫৭ আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ Marxist Indiana, Item no. 230, Jyotish Chandra Ghosh,
- ↑ "The Incarnate Word"। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১১।