জোসেফ প্লাতো

বেলজীয় পদার্থবিজ্ঞানী

জোসেফ অঁতোয়ান ফের্দিনঁ প্লাতো (ফরাসি: Joseph Antoine Ferdinand Plateau, ১৪ অক্টোবর ১৮০১ – ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৮৩) একজন বেলজীয় পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতবিদ ছিলেন।

জোসেফ প্লাতো
১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে প্লাতো
জন্ম(১৮০১-১০-১৪)১৪ অক্টোবর ১৮০১
মৃত্যু১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৮৩(1883-09-15) (বয়স ৮১)
জাতীয়তাবেলজীয়
মাতৃশিক্ষায়তনলিয় বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণসাবানের বুদবুদের পদার্থবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা (প্লাতোর বিধিসমূহ), প্লাতোর সমস্যা
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
প্রতিষ্ঠানসমূহজেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়
ডক্টরাল উপদেষ্টাআদলফ কোতলে

প্লাতো অক্ষিপটের (রেটিনা) উপরে আলোর পশ্চাৎ-প্রতিক্রিয়ার উপর মৌলিক গবেষণা সম্পন্ন করেন। তিনি চলমান চিত্রের দৃষ্টিবিভ্রম প্রদর্শনকারী প্রথম কয়েকজন বিজ্ঞানীদের একজন (মতান্তরে প্রথম বিজ্ঞানী) ছিলেন।[২] তিনি এ ব্যাপারে একটি ডক্টরেট অভিসন্দর্ভ রচনা করেন। এ কাজে তিনি একে অপরের বিপরীত দিকে ঘূর্ণায়মান দুইটি চাকতি ব্যবহার করেন। একটি চাকতিতে পরপর অঙ্কিত অনেকগুলি ছবি ছিল, যেগুলির প্রতিটি পূর্ববর্তীটির তুলনায় সামান্য ভিন্ন ছিল এবং অত্যন্ত ক্ষুদ্র চলন নির্দেশ করত। অন্য চাকতিটিতে নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য পরপর নিয়মিতভাবে ছিদ্র করা ছিল। এই যন্ত্রটিতেই সম্ভবত প্রথম পর্দাতে কোনও কিছুর প্রাণবন্ত চলন মসৃণভাবে দর্শককে দেখানো সম্ভব হয়। সেই হিসেবে এটি আধুনিক চলচ্চিত্র প্রযুক্তির আদিপুরুষ। এ কারণে প্লাতোকে "চলচ্চিত্রের জনক" আখ্যা দেওয়া হয়ে। প্লাতো ১৮২৯ সালে এই যন্ত্র নির্মাণ করেন। পরে ফ্রান্সের কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এগুলি বাজারজাত করা শুরু করে ও এর নাম দেয় ফেনাকিস্তিস্কোপ (phenakistiscope)। ফেনাকিস্তিস্কোপ কথাটি লাতিন থেকে নেওয়া, এর অর্থ "চোখকে ধোঁকা দেওয়া"।

তবে প্লাতোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক অবদান ছিল পৃষ্ঠতল টান নামক ভৌত ঘটনাটির আবিষ্কার।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. (Van der Mensbrugghe 1885, পৃ. 389): in this reference, written by his son in Law, Ghent is written Gand, which is its French name.
  2. "Goethe's Theory of Colours"theoryofcolor.org। ৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৯Note to Paragraph 23