জোয়ানা এলিজাবেথ কেলি ওবিই (জন্ম নাম বিডেন; ১৯১০-২০০৩) ব্রিটিশ কারাগারের একজন গভর্নর এবং বেসামরিক কর্মচারী ছিলেন। তিনি হলওয়ে কারাগার সহ ব্রিটেনের কারাগারগুলির দায়িত্বে ছিলেন, যেখানে তিনি বন্দীদের সাজা চলাকালীন তাদের ওপর ব্যবহারের উপায় পরিবর্তন করেছিলেন। তাকে গভর্নর থেকে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছিল, সেখানে তিনি হলওয়ে কারাগারের পুনর্নির্মাণের তদারকি করেছিলেন যাতে সেখানে আরও ভাল অবস্থা আনা যায়। কিন্তু সেই ধারণাগুলি কখনই বাস্তবায়িত হয়নি।

জীবন সম্পাদনা

কেলি বর্তমান পাকিস্তানের মুরী নামে একটি পাহাড়ি স্থানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যেখানে তার পিতা, লেফটেন্যান্ট-কর্নেল উইলিয়াম বিডন ৫১তম শিখ ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে ছিলেন। তার মা, জোয়ানা এলিজাবেথ কেলি একজন শিল্পী ছিলেন। তাঁর ছোটবেলায় তার বাবাকে ইরাকে হত্যা করা হয়। তিনি কেন্টে হেইস কোর্ট বোর্ডিং স্কুলে শিক্ষালাভ করেন এবং কেমব্রিজের গিরটন কলেজে অর্থনীতি পড়েন।

১৯৩৪ সালে তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক হার্পার কেলিকে বিয়ে করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার স্বামী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এবং তিনি ব্রিটেনে ফিরে আসেন। যুদ্ধের শেষে তিনি তার স্বামীর নতুন জীবনসঙ্গীকে দেখে অবাক হয়েছিলেন। তিনি তার বিবাহের প্রতিজ্ঞাকে পবিত্র বলে মনে করেন এবং তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি পুনরায় বিয়ে করবেন না।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

ইংল্যান্ডে ফিরে আসার পর সামাজিক কাজ তার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। তিনি ১৯৩৯ সালে ওয়াইডব্লিউসিএ যুব ক্লাবের নেতা হয়েছিলেন।[১] তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ খ্রিস্টান ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে, তিনি তার অবসর সময়ে ভাই এডওয়ার্ডকে সাহায্য করতেন।[২]

হলওয়ের গভর্নর হবার আগে পর্যন্ত, কেলি এইচএম প্রিজন আসখাম গ্রেঞ্জের ডেপুটি গভর্নর এবং গভর্নর হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।[১] হলওয়েতে, তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে দীর্ঘমেয়াদী বন্দিরা সর্বোত্তম বাসস্থান অর্জন করেছে এবং তাদের নিজস্ব ক্রোকারিজ, ছবি এবং পর্দা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কারাগারটিতে বন্দীদের "পারিবারিক" গোষ্ঠী, গ্রুপ থেরাপি এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সহায়তা করা হত।[২]

মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার সম্পাদনা

তিনি ২০০৩ সালে মারা যান[৩] এক্সচেকারের চ্যান্সেলর জর্জ অসবর্ন ২০১৫ সালে ঘোষণা করেছিলেন যে হলওয়ে কারাগার বন্ধ হয়ে যাবে এবং আবাসিক ভবনের জন্য বিক্রি করা হবে।[৪] তার কিছু কাগজপত্র এলএসই লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Sutherland, Annie (৬ মে ২০০৩)। "Joanna Kelley"The Independent। ২০২২-০৬-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২০ 
  2. "Joanna Kelley"The Timesআইএসএসএন 0140-0460। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২০ 
  3. "Kelley [née Beadon], Joanna Elizabeth (1910–2003), prison administrator"অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি (অনলাইন সংস্করণ)। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস।  (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন।) (Subscription or UK public library membership required.)
  4. "Holloway Prison to close and be sold off for housing"Evening Standard। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৬ 
  5. histprisonhealth (২০১৮-০২-০২)। "Suffragette Diary"Exploring the history of prisoner health। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২০