জোন প্লাউরাইট

ব্রিটিশ অভিনেত্রী

জোন অ্যান অলিভিয়ে, ব্যারোনেস অলিভিয়ে[] (বিবাহপূর্ব প্লাউরাইট; জন্ম ২৮ অক্টোবর ১৯২৯), যিনি ডেম জোন প্লাউরাইট ডিবিই নামে অধিক পরিচিত, হলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত ইংরেজ অভিনেত্রী। তার কর্মজীবনের ব্যপ্তি ছিল সাত দশক। এই সময়ে তিনি দুটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও একটি টনি পুরস্কার অর্জন করেছেন, এবং একটি একাডেমি পুরস্কার, একটি এমি পুরস্কার ও দুটি বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন। তিনি মাত্র চারজন অভিনেত্রীর একজন, যিনি একই বছর দুটি গোল্ডেন গ্লোব অর্জন করেছেন।


দ্য লেডি অলিভিয়ে

জন্ম
জোন অ্যান প্লাউরাইট

(1929-10-28) ২৮ অক্টোবর ১৯২৯ (বয়স ৯৫)
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৪৮-২০১৪
দাম্পত্য সঙ্গীরজার গেগ
(বি. ১৯৫৩; বিচ্ছেদ. ১৯৬০)

লরন্স অলিভিয়ে
(বি. ১৯৬১; মৃ. ১৯৮৯)
সন্তান

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা
 
A Taste of Honey (1961) এর ব্রডওয়ে প্রোডাকশনে হেলেনের চরিত্রে অ্যাঞ্জেলা ল্যান্সবারির সাথে (ডানে) জোন প্লাউরাইট

প্লাউরাইট ১৯২৯ সালের ২৮শে অক্টোবর লিংকনশায়ারের ব্রিগে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা উইলিয়াম আর্নেস্ট প্লাউরাইট ছিলেন একজন সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের সম্পাদক, এবং তার মাতা ডেইজি মার্গারেট (বিবাহপূর্ব বার্টন)।[][] তিনি স্কুনথর্প গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেন,[] এবং পরে লন্ডনের ব্রিস্টল ওল্ড ভিস থিয়েটার স্কুলে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

১৯৪৮ সালে ক্রয়ডন শহরে প্লাউরাইটের মঞ্চ অভিনয়ের অভিষেক ঘটে এবং ১৯৫৪ সালে লন্ডন থিয়েটারে তার অভিষেক ঘটে।[] ১৯৫৬ সালে তিনি রয়্যাল কোর্ট থিয়েটারে ইংরেজ মঞ্চ কোম্পানিতে যোগ দেন এবং দ্য কান্ট্রি ওয়াইফ নাটকে মার্জারি পিঞ্চওয়াইফ চরিত্রে কাজ করেন। তিনি ইউজিন আয়োনেস্কোর নাটক দ্য চেয়ার্স-এ জর্জ ডিভাইনের সাথে, জর্জ বার্নার্ড শ'র মেজর বারবারাসেন্ট জোন নাটকে অভিনয় করেন। লরন্স অলিভিয়ের সাথে তার বিবাহের ফলে তিনি ১৯৬৩ সালের পর থেকে ন্যাশনাল থিয়েটারে অলিভিয়ের কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েন।

১৯৯০-এর দশকে তিনি নিয়মিত চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৯২ সালে এনচেন্টেড এপ্রিল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি সেরা চলচ্চিত্র পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। একই বছরে তিনি এইচবিওর টেলিভিশন চলচ্চিত্র স্ট্যালিন-এ অভিনয় করে সেরা টিভি পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং সীমিত ধারাবাহিক বা টিভি চলচ্চিত্রে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার এনচেন্টেড এপ্রিলস্ট্যালিন-এর কাজের জন্য প্রাপ্ত গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মধ্য দিয়ে তিনি সিগুর্নি উইভারের (১৯৮৮ সালের কাজের জন্য) পর দ্বিতীয় অভিনেত্রী হিসেবে একই বছরে দ্বৈত গোল্ডেন গ্লোব বিজয়ে কৃতিত্ব অর্জন করেন। পরবর্তীকালে হেলেন মিরেন (২০০৬ সালের কাজের জন্য) এবং কেট উইন্সলেট (২০০৮ সালের কাজের জন্য) এই কৃতিত্বের অংশীদার হন। ১৯৯৪ সালে তিনি চলচ্চিত্রে নারী ক্রিস্টাল পুরস্কার লাভ করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. ক্রেৎজমার, হার্বার্ট (২৮ আগস্ট ২০১৪)। Snapshots: Encounters with Twentieth-Century Legends (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসবিএন 9781849547987। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২০ 
  2. "Joan Plowright Biography" (ইংরেজি ভাষায়)। ইয়াহু! মুভিজ। ২২ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২০ 
  3. "Joan Plowright Biography (1929-)" (ইংরেজি ভাষায়)। ফিল্ম রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২০ 
  4. "Star Pupils Revealed at Scunthorpe Telegraph" (ইংরেজি ভাষায়)। ১ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২০ 
  5. ম্যাকে, অ্যান্ড্রু (২৩ এপ্রিল ২০১০)। "Joan Plowright - interview transcript" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ব্রিটিশ লাইব্রেরি। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০২০ 
  6. "Entertainment | Plowright steals the limelight"বিবিসি নিউজ। ৩১ ডিসেম্বর ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০ 
  7. "Past Recipients: Crystal Award"উইমেন ইন ফিল্ম। ৩০ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা