জোড়াবাগান
জোড়াবাগান হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরের উত্তরাংশের একটি অঞ্চল।
জোড়াবাগান | |
---|---|
কলকাতার অঞ্চল | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
শহর | কলকাতা |
ওয়ার্ড |
|
মেট্রো স্টেশন | গিরিশ পার্ক |
লোকসভা কেন্দ্র | কলকাতা উত্তর |
বিধানসভা কেন্দ্র | জোড়াসাঁকো, শ্যামপুকুর |
উচ্চতা | ৩৬ ফুট (১১ মিটার) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ১,২৯,৭০১ |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন কোড | ৭০০ ০০৬ |
এলাকা কোড | +৯১ ৩৩ |
নাম-ব্যুৎপত্তি
সম্পাদনা‘জোড়াবাগান’ শব্দের অর্থ ‘দুটি বাগান’। এই অঞ্চলে গোবিন্দরাম মিত্র ও উমিচাঁদের দুটি বাগানবাড়ি ছিল। সেই থেকেই এই অঞ্চলের নামকরণ হয় ‘জোড়াবাগান’।[১]
ইতিহাস
সম্পাদনাজোড়াবাগান পুরনো সুতানুটি জনপদের অংশ ছিল। ১৬৯০ সালে এখানকার সুতানুটির ঘাটে জব চার্নক পদার্পণ করেছিলেন। বেনিয়াটোলা ও শোভাবাজার ঘাটের মাঝে মোহনটনের সেই ঘাটটি এখন আর নেই। এখানে একটি বিরাট গাছের তলায় জব চার্নক বিশ্রাম করেছিলেন বলে মনে করা হয়।[২]
ভূগোল
সম্পাদনাজোড়াবাগান অঞ্চলের নিমতলা মহাশ্মশান কলকাতার অন্যতম প্রধান শ্মশানঘাট।[২] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের শেষকৃত্য এই ঘাটে সম্পন্ন হয়। এই ঘাটের পাশে রবীন্দ্রনাথের একটি সমাধিসৌধও আছে। বর্তমানে নিমতলা মহাশ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লিতে শবদাহ করা হয়।
জনপরিসংখ্যান
সম্পাদনাজোড়াবাগান থানা এলাকাটি কলকাতা পৌরসংস্থার ১৯ (আহিরীটোলা-বেনিয়াটোলা), ২০ (জোড়াবাগান, নিমতলা ঘাট), ২১ (জোড়াবাগান, কিয়দংশ উত্তর বন্দর থানা এলাকার অন্তর্গত), ২৪ (পাথুরিয়াঘাটা, মালাপাড়া) ও ২৫ (জোড়াসাঁকোর অংশ বিশেষ) নিয়ে গঠিত। ২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, এই এলাকার জনসংখ্যা ১২৯,৭১০। এদের মধ্যে ৭৭,৩৬৭ জন পুরুষ ও ৫২,৩৩৪ জন মহিলা। এই অঞ্চলের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক।[৩] জোড়াবাগান অঞ্চলটি মূলত হিন্দিভাষী মাড়োয়ারি জনবহুল।
জোড়াবাগান
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Cotton, H.E.A., Calcutta Old and New, 1909/1980, p 104, General Printers and Publishers Pvt. Ltd.
- ↑ ক খ Cotton, H.E.A., p. 282
- ↑ "Provisional Population Totals, Table 4"। Population, Decadal Growth Rate, Density and General Sex Ratio by Residence and Sex, West Bengal/ District/ Sub District, 1991 and 2001। Census Commission of India। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১০।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিভ্রমণ থেকে জোড়াবাগান ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।