জেনি স্যান্ডিসন

ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড়

 

জেনি স্যান্ডিসন
দেশ ভারত
জন্ম১৯১০
খড়্গপুর, বঙ্গ (এখন পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
পেশাদারিত্ব অর্জন১৯২৭ (অপেশাদার)
অবসর গ্রহণ১৯৩৮
একক
পরিসংখ্যান১৪০–২৩ (৮৫.৯%)
শিরোপা২০+
গ্র্যান্ড স্ল্যাম এককের ফলাফল
উইম্বলডনপ্রথম রাউণ্ড (১৯২৯, ১৯৩০)
মিশ্র দ্বৈত
দলগত প্রতিযোগিতা

জেনি স্যান্ডিসন (জন্ম ১৯১০) ছিলেন একজন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান টেনিস খেলোয়াড়। তিনি বাংলার (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) খড়গপুরে, জন্মগ্রহণ করেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯২৭ সালের জানুয়ারিতে জেনি তাঁর প্রথম টুর্নামেন্ট খেলেন। তিনি বেঙ্গল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছিলেন এবং ফাইনালে পৌঁছেছিলেন। ফাইনালে তিনি ইএস গ্রাহামের কাছে হেরে যান।[১] তিনিই প্রথম মহিলা যিনি ১৯৩০ থেকে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য মহিলাদের একক টেনিসের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন।[২] তিনি একবার ১৯৩০ সালে, সুরবিটনে সারে চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টে বেটি নুথালকে পরাজিত করেছিলেন।[৩] জেনি ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম খেলোয়াড় যিনি ১৯২৯ সালে উইম্বলডনে খেলেন কিন্তু প্রথম রাউন্ডে হেরে যান। ১৯২৯ এবং ১৯৩০ সালে তিনি দুবার উইম্বলডনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়েছিলেন।[৪][৫]

১৯২৯ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডে থাকার সময় জেনি একজন টাইপিস্ট হিসাবে নিজের খরচ চালিয়ে ছিলেন। ১৯৩০ সালের ৪ঠা অক্টোবর জেনি কলকাতায় ফিরে আসেন মালবেরা জাহাজে চড়ে সমুদ্র যাত্রা করে। তাঁর বাকি জীবনে তিনি আর ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে ভ্রমণ করেননি।[৬]

জেনি তাঁর পুরো খেলোয়াড় জীবনে, এলাহাবাদে ১৯২৭ সালের অল ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে কলকাতায় ১৯৩৮ সালের মধ্যে ২০টিরও বেশি একক শিরোপা জিতেছেন। তাঁর দখলে সাতবার অল ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার গৌরবও রয়েছে। তিনি কলকাতার সাউথ ক্লাবে অনুষ্ঠিত বেঙ্গল চ্যাম্পিয়নশিপও ছয়বার জিতেছিলেন (১৯২৮ - ১৯৩১, ১৯৩৪, ১৯৩৭)। ১৯৩০ সালে বেকেনহাম ( কেন্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ) ছিল তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য শিরোপা।[৩][৭]

পরিবার সম্পাদনা

তিনি ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায়ের (অ্যাংলো ইন্ডিয়ান) একজন ছিলেন এবং একটি মিশ্র পরিবার থেকে এসেছিলেন। তাঁর বাবা রেলে চাকরি করতেন। জেনি বিয়ে করেছিলেন টেরেন্স বোল্যান্ডকে।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "BENGAL TENNIS. TUESDAY'S MATCHES. MISS SANDISON OFF FORM. (FROM OUR OWN CORRESPONDENT.)" (Subscription)Civil & Military Gazette (Lahore)। Lahore, Pakistan: British Newspaper Archive। পৃষ্ঠা 9। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  2. "A MAID IN MAYFAIR"Advertiser (Adelaide, SA : 1889 - 1931)। trove.nla.gov.au। ১৪ নভেম্বর ১৯২৯। পৃষ্ঠা 15। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ 
  3. "Indian Women Tennis Players at International Level Will Hopes & Dreams Materialise?"www.eng.chauthiduniya.com। Chauthi Duniya। ২০১২-১২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০২০  Archived from original ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে via Wayback Machine on 5 December 2012
  4. Majumdar, Boria; Mangan, J. A. (২০১৩)। Sport in South Asian Society: Past and Present (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 120। আইএসবিএন 978-1-317-99894-5 
  5. Pal, Suvam (২০১৯-০২-০৫)। "Indian tennis: Past perfect, present continuous, future tense"Routledge Handbook of Tennis: History, Culture and Politics। Routledge। পৃষ্ঠা 151–161। আইএসবিএন 9781315533575ডিওআই:10.4324/9781315533575-15 
  6. "Jenny Sandison's GS Performance Timeline & Stats"www.db4tennis.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ 
  7. Archived from original ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে via Wayback Machine on 5 December 2012
  8. Women of India (ইংরেজি ভাষায়)। Publications Division Ministry of Information & Broadcasting। ১৯৫৮। পৃষ্ঠা 201। আইএসবিএন 978-81-230-2284-0