জেঠাগ্রাম
জেঠাগ্রাম পূর্ব বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের একটি গ্রাম। চরিত্রবান আলেম সৈয়দ আবদুল হাকিম এই গ্রামে বাস করতেন এবং লোকদের শিক্ষিত করেছিলেন। এটি সর্বাধিক সুন্দর, শান্ত, শীতল, বায়ুচরিত, স্বচ্ছ এবং পাখির চিরচেনা অঞ্চল। এই গ্রামটি ঘিরে রয়েছে সুন্দর ধানের ক্ষেত, পুকুর, ডিঘি এবং জঙ্গল। বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজ ও মৎস্যজীবনে নিযুক্ত। উচ্চ শিক্ষিত লোকেরাও এই অঞ্চলে বসবাস করেন। আধুনিক শিক্ষার জন্য রয়েছে বিদ্যালয়, মসজিদ, ইসলামী বিজ্ঞান স্কুল, মন্দির। হিন্দু এবং মুসলমানগণ অনেক আগে থেকেই এই গ্রামে সম্মানের সাথে জীবনযাপন করছে।
জেঠাগ্রাম | |
---|---|
গ্রাম | |
বাংলাদেশের স্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°০৮′৩১.৭″ উত্তর ৯১°১২′১৯.৩″ পূর্ব / ২৪.১৪২১৩৯° উত্তর ৯১.২০৫৩৬১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা |
জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, জেঠাগ্রামে ৮২২ টি পরিবার এবং ৪৪,২২৭ জন মানুষ বসবাস করে।[১]
শিক্ষা সম্পাদনা
'জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়' গ্রামের মাঝখানে যা কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে শিক্ষার মান অনুসরণ করে। 'জেঠগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়' এবং 'জেঠগ্রাম হাফিজিয়া মাদ্রাসা' পূর্বদিকে। প্রচলিত ইসলামী শিক্ষার জন্যও রয়েছে প্রচুর মসজিদ রয়েছে।
ব্যাকরণ সম্পাদনা
জেঠাগ্রাম নামটি 'জেঠা' থেকে উদ্ভূত এর অর্থ চাচা। এই গ্রামটি প্রচুর পুকুরের জন্য সুপরিচিত। আগে এটি পানপাতার জন্য সুপরিচিত ছিল। বৃহত্তর জেঠাগ্রামে রয়েছে জেঠাগ্রাম, শূচিউড়া, ডিঘর এবং চৈয়রকুড়ি।
দরদালান সম্পাদনা
-
কনতোর দিঘি -
ধানের চারা -
ধানের ক্ষেতের পাশে আম-বাগান -
সাহেব বাড়ি পুকুর -
ধানক্ষেত -
কাঁঠালগাছ -
গ্রামবাসীদের ঘর কাঠামো
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "Population Census 2011: Brahmanbaria Table C-01" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১১, ২০১৪।