জাহানিয়াঁ জাহানগশ্ত
মীর সৈয়দ জলালুদ্দীন নকবী বুখারী ( ফার্সি: میر سید جلال الدین نقوی بخاری; 1308-1384), যিনি মখদূম জাহানিয়াঁ জাহানগশ্ত ( ফার্সি: مخدوم جہانیاں جہان گشت নামে বেশি পরিচিত, ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার একজন পঞ্জাবী সুফি ওলি।[১]
জাহানিয়াঁ জাহানগশ্ত | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | মীর সৈয়দ জলালুদ্দীন ৮ ফেব্রুয়ারি ১৩০৮ |
মৃত্যু | ৩ ফেব্রুয়ারি ১৩৮৪ | (বয়স ৭৬)
ধর্ম | ইসলাম |
সম্প্রদায় | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আত্মীয় | জালালুদ্দীন সুরুখ পোশ (দাদা) শাহ জেওনা (ভাতিজা) |
জীবনী
সম্পাদনামখদূম জাহানিয়াঁ জাহানগশ্ত ৮ই ফেব্রুয়ারি ১৩০৮ খ্রিস্টাব্দে (১৪ শাবান ৭০৭ হিজরি ) উচ শরীফে পয়দা হন। তার আব্বা সৈয়দ আহমদ কবীর সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বুখারার জালালুদ্দিন সুরখ-পোষের ছোট সাহেবজাদা এবং নির্বাচিত খলীফা। তার আব্বা সোহরাওয়ার্দীয়া তরীকার রোকনুদ্দীন আবুল ফতেহ সাহেবের মুরীদ ছিলেন।[২][৩]
পরে তাকে জাহানিয়াঁ জাহানগশ্ত খেতাব দেওয়া হয় যেখান থেকে তিনি বিশিষ্টতা অর্জন করেন। তিনি কাজারুন, মিশর, সিরিয়া-ফিলিস্তিন, ইরাক, বলখ, বুখারা, খোরাসান সহ বেশুমার মুল্লুক সফর করেছেন এবং তার জীবনে 36 বার মক্কা সফর করেছেন। তিনি তার সৎচাচা সদরুদ্দীন মহম্মদ গৌছ রহমতুল্লাহি আলাইহির সাহেবজাদীকে শাদী করেছিলেন।[৩][৪]
তিনি নাসেরুদ্দীন চেরাগ-ই-দেহলবীর কাছ থেকে তাঁর খেরকা কবূল করেছিলেন।সুলতান মহম্মদ বিন তুগলক জাহানিয়াঁ জাহানগশ্তকে শায়খুল ইসলাম হিসাবে নিযুক্ত করেন এবং <a href="./সিস্তন_ও_বালুচেস্তন_প্রদেশ" rel="mw:WikiLink" data-linkid="undefined" data-cx="{"userAdded":true,"adapted":true}">সিস্তানে</a> চল্লিশটি খানকাহ প্রদান করেন, কিন্তু তিনি হজ্জের জন্য রওনা হন। সুলতান ফিরুজ শাহ তুগলক ফিরে এলে তাকেও এহতেরাম জানাতেন এবং জাহানিয়াঁ জাহানগশ্ত পর্যায়ক্রমে দিল্লি সফর করতেন। জাহানিয়াঁ জাহানগশ্তও সুলতানের সাথে তার থাট্টা জঙ্গে গিয়েছিলেন এবং সুলতানের দ্বীনী নীতির উপর একটি বড় প্রভাব ছিল।[৩]
তিনি বাংলার পহেলা রাজধানী হযরত পান্ডুয়া পরিদর্শন করেন, যেখানে তিনি বাংলার কওমী আলেম আলাউল হক পাণ্ডুবীর জানাযার এমামতি দেন। ষোড়শ শতাব্দীর ঝনঝানিয়াঁ মসজিদের নামকরণ করা হয় তাঁর সম্মানে।[৫] প্রতি বছর আখি সিরাজ বাঙ্গালীর উরসের সময় জাহানিয়াঁ জাহানগশ্তের ঝান্ডা জলালুদ্দীন তবরেজীর দরগাহ থেকে আখি সিরাজ বাঙ্গালীর দরগাহ নিয়ে যাওয়া হয়।
ওয়ারিশ
সম্পাদনাতার বংশধরেরা নকবী বুখারি খেতাব এস্তেমাল করেন, এবং নওরং জাহানিয়াঁ খান্দানের অন্তর্গত তাদের মাঝে কেউ কেউ সিন্ধুর তান্দো জাহানিয়াঁয় স্থানান্তরিত হয়ে একটি বিশাল কওম তৈরি করে, যখন অন্যরা উপমহাদেশের মধ্যে অন্য অনেক জায়গায় স্থানান্তরিত হয়।[৬][৭][৮][৯]
আরো দেখুন
সম্পাদনা- বিবি জাবিন্দির সমাধি
- সুফিদের তালিকা
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Lawrence, Bruce B. (২০২৩-০৭-২৪)। "Islam in India: The Function of Institutional Sufism in the Islamization of Rajasthan, Gujarat and Kashmir"। Islam in Local Contexts (ইংরেজি ভাষায়)। Brill। পৃষ্ঠা 38। আইএসবিএন 978-90-04-64383-3।
- ↑ Marat-e-Jalali (مرآت جلالی) by Syed Khalil Ahmed Bukhari Hassami, First Edition 1918, Allahabad, Second Edition 1999, Karachi.
- ↑ ক খ গ Bazmee Ansari, A.S. (২০১২)। "D̲j̲alāl al-Dīn Ḥusayn al-Buk̲h̲ārī"। Encyclopaedia of Islam, Second Edition। Brill।
- ↑ Hassami S. K. A. B. Marat-e-Jalali (Red Clothed man from Bukhara) First Edition 1918, Allahabad, Second Edition 1999, Karachi.
- ↑ "Safarnama Makhdoom Jahanian Jahangasht"। নভেম্বর ৯, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৯, ২০২০।
- ↑ "UCH Sharif Trust | Understanding of Culture and Heritage | an Ancient Tradition"। ২০১৬-০৫-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-২৫।
- ↑ "Sufis & Shaykhs - World of Tasawwuf"। Spiritualfoundation.net। ১৪ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৭-১৫।
- ↑ UNESCO World Heritage Centre। "Tomb of Bibi Jawindi, Baha'al-Halim and Ustead and the Tomb and Mosque of Jalaluddin Bukhari - UNESCO World Heritage Centre"। Whc.unesco.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৭-১৫।