জাহাজঘাট

বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা

জাহাজঘাট বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত ঘাটটি নদী বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হত।[১] এটি কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নে ভৈরব নদীর উত্তর তীরে হাসিলবাগ গ্রামে অবস্থিত।[২]

জাহাজঘাট
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা
জাহাজঘাট
জাহাজঘাট
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা
জেলাঝিনাইদহ জেলা
উপজেলাকালীগঞ্জ উপজেলা
আয়তন
 • মোট.৫৮ বর্গকিমি (০.২২ বর্গমাইল)
মাত্রা
 • দৈর্ঘ্য.০২৯ কিলোমিটার (০.০১৮ মাইল)
 • প্রস্থ.০২০ কিলোমিটার (০.০১২ মাইল)

ইতিহাস সম্পাদনা

ষাটের দশকের আগে এই স্থানে বড় বড় মাটির ঢিবি ছিল। ১৯৬১ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ জরিপ করে এবং আশির দশকে খনন কাজ চালায়। বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৯৩ সালে এখানে খনন চালিয়ে মসজিদ ও কবরস্থানের অস্তিত্ব খুঁজে পায়। ১৯৯৫ সালে আবার খনন করার পর আবিস্কৃত হয় একটি বড় জাহাজঘাট, টিকিটঘর ও যাত্রীছাউনি। প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা এটি পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। তখন ভৈরব নদ প্রমত্ত ও চলমান ছিল। এই নদের উপর দিয়ে জাহাজ চলাচল করত ও এই বন্দর দিয়ে বাংলার মসলিন কাপড় বিদেশে রপ্তানি হত। বণিক চাঁদ সওদাগর এই ঘাট ব্যবহার করে বাণিজ্য বসতি স্থাপন করেছিলেন।[১]

নামকরণ সম্পাদনা

প্রাচীনকালে স্থানটি নদী বন্দর বা জাহাজঘাট হিসেবে ব্যবহৃত হত বলে জনশ্রুতি আছে। তাছাড়া সুবিদপুর গ্রামে চাঁদ সওদাগরের দুখানি জাহাজ ডুবে গিয়েছিল। সেই থেকে এই স্থানের নাম জাহাজঘাট।[৩]

বিবরণ সম্পাদনা

আয়তাকৃতির এই ঢিবিটি পূর্ব-পশ্চিমে ২৯ মিটার দীর্ঘ এবং উত্তর-দক্ষিণে ২০ মিটার প্রশস্ত। নদী তল থেকে ঢিবিটি উচ্চতা আনুমানিক ৩ মিটার। জাহাজঘাটের পশ্চিম পাশে একটি ঈদগাহ নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে স্থানীয় জনগণ ঈদের নামাজ আদায় করে। ঢিবির পূর্ব-দক্ষিণে, পূর্ব-পশ্চিমে ও উত্তরে-দক্ষিণে বিস্তৃত দুটি দেয়ালের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "মসলিনের নদী"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ১০ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬ 
  2. "কালীগঞ্জে নদী দখল করে কাটা হচ্ছে পুকুর"দৈনিক স্পন্দন। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "ঝিনাইদহ জেলার ঐতিহ্য"যশোর ইনফো। ১৫ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা