জালুখালি নদী
জালুখালি নদী বা চলতি নদী বা জালুখালী নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী।[১] নদীটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলা ও দক্ষিণ পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলা এবং বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার একটি নদী।
জালুখালি নদী চলতি নদী | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | বাংলাদেশ ও ভারত |
রাজ্য | মেঘালয় |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | সুনামগঞ্জ জেলা |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় |
মোহনা | সুরমা নদী |
দৈর্ঘ্য | ১৪ কিলোমিটার (৮.৭ মাইল) |
নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪ কিলোমিটার, প্রস্থ ২০১ মিটার এবং অববাহিকার আয়তন ৩০ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক জালুখালি নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৩২।[২]
অন্যান্য তথ্য
সম্পাদনাজালুখালি নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।[২] এই নদীতে ১২ মাস পানিপ্রবাহ থাকে। জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসে কম প্রবাহ থাকে, যার আনুমানিক পরিমাণ ৩০ ঘনসেন্টিমিটার/সেকেন্ড। কিন্তু জুলাই আগস্টে এই পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫০ ঘসেন্টিমিটার/সেকেন্ড পৌঁছায়। নদীটিতে জোয়ার ভাটার প্রভাব নেই। বর্ষায় সাধারণত বন্যা হ্লেই নদীর পাড় ভেসে পার্শ্ববর্তী বাড়িঘর ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়।
উৎপত্তি ও প্রবাহ
সম্পাদনাজালুখালি নদী ভারতের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় হতে উৎপত্তি হয়ে দক্ষিণমুখে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা নদীতে মিলেছে। এই নদীর পাড়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বাজার হলো ঝিনারপুর ও মনিপুর হাট।[৩]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "আন্তঃসীমান্ত_নদী"। বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ ক খ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ১৯১-১৯২। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ২০৭।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |