জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংক্ষেপে জামুকা) হল বাংলাদেশ সরকারের একটি স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ, যা মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এর সদরদপ্তর বাংলাদেশের ঢাকার মগবাজারে।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল
সংক্ষেপেজামুকা
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
ওয়েবসাইটwww.jamuka.gov.bd

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ দেখাশোনার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল গঠিত হয়। এটি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। ২০১৫ সালে কাউন্সিলের সভায় বীরাঙ্গনাদের (যেসকল নারী ১৯৭১ সালে ধর্ষিত হয়েছে) সংশ্লিষ্ট সকল সুযোগ সুবিধাসহ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই নির্দেশিকা জারি করে। ২০১৭ সালে ১২ জানুয়ারি যাচাই বাছাইয়ের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠনের গেজেট প্রকাশ করে। একই সালের ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কমিটি গঠন করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কাউন্সিলের মহাপরিচালককে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছিল গেজেটভুক্ত সব মুক্তিযোদ্ধাকে পুনরায় যাচাই-বাছাই করার ক্ষমতা আইন অনুযায়ী জামুকার নেই।[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "হাইকোর্টের রুল, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে কমিটি কেন অবৈধ নয়"দৈনিক ভোরের কাগজ। ২৪ জানুয়ারি ২০১৭। ২০১৯-০৩-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২২