জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান

জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশের একটি জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান। ১৯৯০ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি ইনস্টিটিউট স্কুল অব পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন এবং এশিয়া প্যাসিফিক কনসোর্টিয়াম ফর পাবলিক হেলথের সদস্যভুক্ত।[৩]

জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান
National Institute of Preventive and Social Medicine
অন্যান্য নাম
নিপসম
স্থাপিত১৯৭৪[১]
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচালকঅধ্যাপক বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ[২]
অবস্থান
মহাখালী, ঢাকা
ওয়েবসাইটwww.nipsom.gov.bd

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ঢাকার মহাখালীতে নিপসম প্রতিষ্ঠিত হয়। এর শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয় ১৯৭৮ সাল থেকে।[১][৩]

প্রশাসন সম্পাদনা

প্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক শীর্ষ আধিকারিক। এছাড়া নিপসমে ১২টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ স্ব স্ব বিভাগের শিক্ষা ও প্রশাসনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪]

কার্যক্রম সম্পাদনা

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য চারটি। ১. শিক্ষাদান, ২. প্রশিক্ষণ, ৩. গবেষণা ও ৪. পরামর্শ প্রদান।[১]

শিক্ষা সম্পাদনা

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ১২টি বিভাগে শিক্ষাদান করে থাক যার মধ্যে রয়েছে, জীব পরিসংখ্যান, কমিউনিটি মেডিসিন, চিকিৎসা কীটতত্ত্ব, রোগতত্ত্ব, পরিবেশ ও পেশাগত স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য শিক্ষা, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, অনুজীববিদ্যা, পুষ্টিবিজ্ঞান ও প্রাণরসায়ন, জনশক্তি, জনস্বাস্থ্য ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা এবং পরজীবীবিদ্যা।[৩] প্রতিষ্ঠানটিতে ৯টি বিষয়ে এমপিএইচ(১৮ মাস মেয়াদী) এবং একটি বিষয়ে এমফিল কোর্স(২৪ মাস মেয়াদী) চালু আছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিকেল অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স বিভাগটি ১৯৯৯ সালে আলাদা করে এই প্রতিষ্ঠানের আওতাভূক্ত করা হয়।[৩] নিপসম ১৯৭৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৯৮২ সালে লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিসৃষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হয়। ২০০৬ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।[১]

গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদনা

জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন (ISSN 1012-8697) নিপসমের ষাণ্মাসিক গবেষণা প্রকাশনা।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "About – NIPSOM" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০২-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৫ 
  2. "ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন"Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৫ 
  3. বায়েজীদ আকতার (২০১২)। "নিপসম"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  4. "ADMINISTRATION – NIPSOM" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৫ 
  5. "Journal of preventive and social medicine: JOPSOM: a bi-annual..."ResearchGate (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৫