জয়া চাকমা বাংলাদেশের একজন ফুটবল রেফারি ও প্রাক্তন ফুটবলার। তিনি ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ফিফার পঞ্চম নারী রেফারী হিসেবে যুক্ত হন। তিনি ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছর তিনি মেয়েদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করবেন। এ হিসেবে বাংলাদেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারী হিসেবে স্বীকৃতি পান।[১]

জয়া চাকমা
𑄎𑄧𑄠 𑄌𑄋𑄴𑄟𑄳𑄦
জন্ম
জয়া মতি চাকমা

রাঙ্গামাটি, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
পেশারেফারি
পিতা-মাতা
  • সঞ্জীবন চাকমা (পিতা)
  • মালতি চাকমা (মাতা)

জন্ম ও শিক্ষা জীবন সম্পাদনা

জয়া চাকমা বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[২] জয়া চাকমা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্ম জীবন সম্পাদনা

ফুটবল সম্পাদনা

জয়া ২০০৬ সালে রাঙামাটিতে তিন মাসের জন্য ফুটবল ক্যাম্প করেন এবং ঢাকায় মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেন যাতে তার দল জয়ে লাভ করে। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলে খেলার সুযোগ পান। জয়া ঘরোয়া ফুটবলের পাশাপাশি ইন্দো-বাংলা গেমস, এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ বাছাই টুর্নামেন্ট ও ২০১০ এসএ গেমসে অংশ নেন।

রেফারিং সম্পাদনা

জয়া ২০১০ সালে রেফারিংয়ে মনোনিবেশ করেন। ২০১২ সালে দল থেকে বাদ পড়ার পর কিছুকাল বিজেএমসিতে চাকরি করেন। একইবছর বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে নিয়মিত রেফারিং শুরু করেন। এরপর শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও তাজিকিস্তানে একে একে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পান। আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে তিনি ২০১৯ পর্যন্ত অন্তত ১০ বছর ধরে রেফারিং করেন। এরমধ্যে ২০১৫ সালে বার্লিনে আন্তর্জাতিক ফুটবল উৎসবে ১০টি ম্যাচ পরিচালনা করেন। ২০১৯ সালে ঢাকায় সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টের দুটি ম্যাচে রেফারিং করেন। ভারতের সুব্রত কাপে, নেপাল-ভুটান এমনকি এশিয়ার বাইরে ইউরোপে গিয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন জয়া। লেভেল ৩, ২ ও ১ কোর্স শেষ করে বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের রেফারি হন। পরে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা রেফারি হওয়ার ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হন।[৩]

কোচ সম্পাদনা

জয়া বাংলাদেশের ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির নারী ফুটবলের কোচ হিসেবে কাজ করছেন। বিকেএসপির নারী ফুটবল দল ভারতে ‘সুব্রত মুখার্জি গোল্ডকাপ’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তিনি সেরা কোচেরও পুরস্কার পান।[৪]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

জয়ার পিতা সঞ্জীবন চাকমা ছিলেন কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের কর্মকর্তা । মা মালতি চাকমা রাঙামাটিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। সঞ্জীবন চাকমা একসময় ভলিবল খেলতেন। সে দিক থেকে জয়া পরিবারের সূত্রে খেলাধূলায় আগ্রহী হন। জয়ার এক বোন বাংলাদেশ বেতারে উপস্থাপনা করেন অপর বোন কারাতে খেলোয়াড়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Joya, Salma set to become FIFA referees"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৮-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২১ 
  2. "স্বপ্নদুয়ার খুলল, ফিফা রেফারি জয়া-সালমা"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২১ 
  3. "রেফারি জয়ার জয়"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২১ 
  4. BanglaNews24.com। "ফিফা রেফারি জয়া চাকমা"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২১