জয়ন্তীয়া শক্তিপীঠ

ইতিহাস

জয়ন্তীয়া বাংলাদেশের সিলেট শহর হতে ৩৮ উত্তর-পূর্বে বাউরভাগ গ্রামে অবস্থিত একটি শক্তিপীঠ[১] এ শক্তিপীঠের পীঠাধিষ্ঠাত্রী সতী দেবী জয়ন্তী দেবী নামে পরিচিত এবং ভৈরবের নাম ক্রমদীশ্বর। এই পীঠের সত্যতা অনুসারে এখানে দেবীর বাম উরু পতিত হয়েছিল। তাই এই গ্রামের নাম ও বাউরভাগ অর্থাৎ বাম উরুর ভাগ। এখানে ভক্তি ভরে মায়ের সাধনা করলে মা সেখানে দেখা দেন । এখানে দেবীর মন্দির বলতে জানা যায় যে, চারকোনা অগভীর গর্তের মধ্যে একটি চৌক পাথরের মধ্যে দেবীর পীঠ স্থান অবস্থিত। অনেকের মত অনুসারে দেবী তার ভৈরব ক্রমদীশ্বরের সাথে এই কুন্ডে বিরাজ করেন। মন্দিরের একেবারে কাছাকাছি আরো একটি কুণ্ড আছে। এখানে জল খুবই অল্প হলেও তা খুবই স্বচ্ছ।

এই জল দিয়ে দেবীর পূজা হয়। মন্দিরের থেকে অল্প দূরে আরও একটি শিবলিঙ্গ দেখা যায়। সেখানকার মন্দির জয়ন্তীর রাজা বানিয়ে ছিলেন। প্রথমদিকে স্বপ্নে আদেশ পেয়ে স্থানীয় আদিবাসী মেয়েরা খড়, বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করেছিলেন মন্দির।

তারপর সেখানে ভগবান শিবের পূজা করা হতো। পরে রাজা এখানে মন্দির নির্মাণ করে দেন। এখানে দেবীর বাম পায়ের নিম্নাংশ পড়েছিল বলে ধারণা করেন অনেকেই। কিন্তু কাহিনী অনুসারে জানা যায় যে, এখানে সতীর বাম জঙ্ঘা অথবা বাম ঊরু পতিত হয়েছিল।


হিন্দু ভক্তদের জন্য এটি একটি পবিত্র তীর্থস্থান।

গুরুত্ব সম্পাদনা

সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞের পর সতী মাতা দেহ ত্যাগ করলে মহাদেব সতীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করলে বিষ্ণু দেব সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখন্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত হয় এবং এ সকল স্থানসমূহ শক্তিপীঠ হিসেবে পরিচিতি পায়।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা