জগদ্বন্ধু
জগদ্বন্ধু সুন্দর (১৭ই মে ১৮৭১ - ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯২১) একজন বৈষ্ণব ধর্মগুরু, সমাজ-সংস্কারক ও লেখক। নিম্নবর্ণের হিন্দুদের প্রতি বিশেষ সহানূভূতি প্রকাশের কারণে তিনি "জগদ্বন্ধু" উপাধী লাভ করেন এবং এই নামেই বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন।[১] এছাড়াও বৈষ্ণব ধর্মীয় সঙ্গীত বা কীর্তন সংগ্রহ, রচনা এবং পরিবেশনের জন্যও তিনি বিশেষভাবে পরিচিত।
প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দর | |
---|---|
জন্ম | ১৭ই মে ১৮৭১ ডাহাপাড়া, মুর্শিদাবাদ, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯২১ | (বয়স ৫০)
ওয়েবসাইট | http://www.mahanam.org/ |
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি
সম্পাদনা১৮৭১ সালের ১৭ই মে ব্রিটিশ ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার ডাহাপাড়ায় তাঁর পিতার কর্মস্থলে তাঁর জন্ম। তাঁর পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। তাঁর পিতার নাম: দীননাথ চক্রবর্তী এবং মাতার নাম: বামাসুন্দরী দেবী।তাঁর বয়স তখন মাত্র ১৪ মাস তখন তাঁর মা মারা যান।তাঁর ৫ বছর বয়সে তাঁর পিতাও মারা যান।১৯২১ সালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনেই তিঁনি ইহোলোক ত্যাগ করেন।
সংকলন
সম্পাদনাতার রচিত বৈষ্ণব ধর্মীয় সঙ্গীত বা কীর্তন সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো:
- হরিকথা
- চন্দ্রপাত
- ত্রিকাল।
তাঁর কিছু বাণী রয়েছে, তার মধ্যে পাঁচটি উল্লেখযোগ্য হলো- ১। ভ্রষ্টবুদ্ধি হয়ে মাতা-পিতার মনে কষ্ট দিতে নেই। ২। যে সংসারে শান্তি পায় না, সে সংসার ত্যাগ করলেও শান্তি পায় না। ৩। কেউ মূর্খ থাকিও না। মূর্খ আমার কথা বুঝিতে পারিবে না। অজ্ঞানের হরিভক্তি হয় না। ৪। পরচর্চা করর্নে বা অন্তরের স্থান দিও না। পরচর্চা পরনিন্দা ত্যাগ কর। ঘরের দেয়ালে লিখে রেখো, পরচর্চা নিষেধ। ৫। জীবদেহে নিত্যানন্দের বাস। কোন জীবকে আঘাত করলে নিত্যানন্দকে আঘাত করা হয়।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহি:সংযোগ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সমকাল :: মানবকল্যাণে প্রভু জগদ্বন্ধু ::"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৩।