চেরাপুঞ্জি
চেরাপুঞ্জি (ইংরেজি: Cherrapunji; /ˌtʃɛrəˈpʌndʒi,
চেরাপুঞ্জি সোহরা | |
---|---|
নগর | |
ডাকনাম: কমলা দ্বীপ | |
ভারতের মেঘালয়ে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°১৮′ উত্তর ৯১°৪২′ পূর্ব / ২৫.৩° উত্তর ৯১.৭° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
প্রদেশ | মেঘালয় |
জেলা | পূর্ব খাসি পাহাড় জেলা |
উচ্চতা | ১,৪৮৪ মিটার (৪,৮৬৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৪,৮১৬ |
• জনঘনত্ব | ৩৯৭/বর্গকিমি (১,০৩০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | খাসি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
টেলিফোন কোড | ০৩৬৩৭ |
বৃষ্টিপাত | ১১,৭৭৭ মিলিমিটার (৪৬৩.৭ ইঞ্চি) |
ওয়েবসাইট | http://cherrapunjee.gov.in/ |
ইতিহাস
সম্পাদনাখাসি জনগোষ্ঠীর ইতিহাস - সোহরার আদি বাসিন্দা - সম্ভবত ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দিকে খুঁজে পাওয়া যায়। ষোড়শ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে, এই লোকেরা খাসি পাহাড়ে তাদের উপজাতীয় 'সাইয়েম (রাজা বা প্রধান) খয়েরিম' দ্বারা শাসিত হয়েছিল। খাসিয়া পাহাড় ১৮৮৩ সালে তিরোত সিং সাইয়েমের গুরুত্বপূর্ণ সাইয়েমের শেষটি জমা দেওয়ার মাধ্যমে ব্রিটিশ কর্তৃত্বের অধীনে আসে।[ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ]
খাসিয়া সমাজের সমগ্র উপরিকাঠামো যার উপর নির্ভর করে তা হল মাতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] [ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ]
এই শহরের মূল নাম ছিল সোহরা (সোহ-রা), যা ব্রিটিশরা "চেরা" উচ্চারণ করত। এই নামটি শেষ পর্যন্ত একটি অস্থায়ী নাম চেরাপুঞ্জিতে বিকশিত হয়, যার অর্থ 'কমলার দেশ', যা প্রথম ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা পর্যটকরা ব্যবহার করেছিলেন। এটি আবার এর মূল রূপ সোহরা নামকরণ করা হয়েছে।
প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়া সত্ত্বেও, সোহরা তীব্র পানি সংকটের সম্মুখীন হয় এবং বাসিন্দাদের প্রায়ই পানীয় পানির জন্য খুব দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। অত্যধিক বৃষ্টিতে বনে মানুষের আধিপত্যের ফলে উপরের মাটি ধুয়ে যাওয়ার কারণে সেচ ব্যাহত হচ্ছে। এই এলাকায় বৃষ্টির পানি সংগ্রহের কৌশলগুলির সাম্প্রতিক বিকাশ শহর ও এর পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।
শহরের কবরস্থানে ডেভিড স্কট (পূর্ব ভারতে ব্রিটিশ প্রশাসক, ১৮০২-৩১) এর একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে।
ভৌগোলিক অবস্থান
সম্পাদনাচেরাপুঞ্জির অবস্থান ২৫°১৭′০২″ উত্তর ৯১°৪৩′১৬″ পূর্ব / ২৫.২৮৪° উত্তর ৯১.৭২১° পূর্ব । এর গড় উচ্চতা ১৪৮৪ মিটার। খাসি পাহাড়ের দক্ষিণে একটি মালভূমির উপর এটি অবস্থিত। পাশেই রয়েছে বাংলাদেশের সমতল ভূমি। মালভূমিটি চারিপাশের সমতল থেকে গড়ে ৬০০ মিটার উঁচু। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং বৃক্ষ কর্তনের ফলে মালভূমির মাটি বেশ দূর্বল।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে চেরাপুঞ্জি শহরের জনসংখ্যা হল ১০,০৮৬ জন।[১] এর মধ্যে পুরুষ ৪৯% এবং নারী ৫১%। এই শহরের জনসংখ্যার ১৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
এখানে সাক্ষরতার হার ৭৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে চেরাপুঞ্জি এর সাক্ষরতার হার বেশি।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি" (ইংরেজি ভাষায়)। Archived from the original on ১৬ জুন ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১, ২০০৬।