চেন্নাই বেঙ্গালুরু ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর

চেন্নাই-বেঙ্গালুরু শিল্প করিডোর প্রকল্প ভারত সরকারের একটি আসন্ন বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প।পরিকল্পনা অনুযায়ী করিডোরটি চেন্নাই, শ্রীপেরুম্বুদুর, পন্নাপান্থঙ্গল, রানিপেট, চিত্তুর, ব্যাঙ্গারুপালেম, পালামনের, বাঙ্গারাপেত, হোসকোটে হয়ে বেঙ্গালুরু পৌঁছবে। এই স্থানগুলি থেকে চেন্নাই এন্নোর বন্দরে দ্রুত গতিতে চলমান গতিশীলতার মাধ্যমে দক্ষিণ ভারত ও পূর্ব এশিয়ায় বাণিজ্য বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে।

এটি ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন ট্রাস্ট (এনআইসিডিআইটি) এর অধীনে ভারতের পাঁচটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোরের মধ্যে একটি। [১]

যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্পাদনা

বাজেট বক্তৃতায়, ভারতের অর্থমন্ত্রী জানান জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহায়তায় প্রকল্পটি তিনটি দক্ষিণী রাজ্যের সরকারে সহযোগিতায় সম্পূর্ণ করা হবে। দিল্লি-মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর (ডিএমআইসি) ১০০ কোটি ডলারের পাশাপাশি চেন্নাই-বেঙ্গালুরু ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর মডেল করা হচ্ছে।

সড়ক ও রেল সংযোগ উভয়ই করিডোরের জন্য দুটি প্রধান অবকাঠামো প্রকল্প হিসাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এগুলি হল বেঙ্গালুরু চেন্নাই এক্সপ্রেসওয়ে এবং বেঙ্গালুরু-চেন্নাই ডেডিকেটেড মালবাহী করিডোর

নোড ১: পোনারেরি (তামিলনাড়ু) সম্পাদনা

চেন্নাই বেঙ্গলুরু ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোরের চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য একটি সমন্বিত ইন্টিগ্রেটেড আঞ্চলিক মাস্টার প্ল্যান জেআইসিএ দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে। [১] পোনারেরি নোডের জন্য একটি বিস্তারিত মাস্টার প্ল্যান জেআইসিএ কর্তৃক প্রস্তুত করা হয়েছে। [২]

নোড ২ এবং ৩: তুমাকুরু (কর্ণাটক) এবং কৃষ্ণপত্তনম (অন্ধ্রপ্রদেশ) সম্পাদনা

একটি দরপত্রের অনুরোধ এবং প্রস্তাবের অনুরোধ প্রকল্পটির তুমকুুরু এবং কৃষ্ণপাটনাম নোডের জন্য বিশদ মহা পরিকল্পনা এবং প্রাথমিক প্রকৌশল পরামর্শদানের জন্য বের করা হয়েছিল। [২]

প্রসার সম্পাদনা

কর্ণাটক সরকারের মাঙ্গালোর পর্যন্ত এই করিডোর প্রসারিত করতে সুপারিশ করেছে এবং পূর্ব সমুদ্রবন্দরের সংযোগের বিপরীতে করিডোরটি একটি পশ্চিমে সমুদ্রবন্দর মাঙ্গালোরের সঙ্গে যুক্ত হবে। একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে যেখানে করিডোরের দুই প্রান্তে দুটি সমুদ্র বন্দর থাকবে এবং তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। এছারা উৎপাদন শিল্পের কেন্দ্র করিদোরের মধ্যে স্থাপন করা হবে। মাঙ্গালোরে ভারতের সবচেয়ে বড় পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স, পণ্য পরিবহনে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রধান সমুদ্র বন্দর এবং ভারতের সর্বোচ্চ সাক্ষরতার হার রয়েছে বলে মনে করা হয়। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় রপ্তানির জন্য জাপানি কোম্পানিগুলির জন্য মাঙ্গালোর প্রধান রপ্তানি কেন্দ্র হতে পারে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] [ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ] সাগরমালা প্রকল্প এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষমতা ও অবকাঠামো বৃদ্ধির ফলে এই করিডোরটির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে। [৩][৪]

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Setting up of NICDIT for Industrial Corridors"pib.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২৯ 
  2. "DMICDC - Tenders"www.dmicdc.com। ২০১৭-০৭-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২৯ 
  3. "SagarMala - Sagarmala Reports Ministry of Shipping, GOI, Government of India"sagarmala.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২৯ 
  4. "SagarMala - Projects Under Sagarmala Ministry of Shipping, GOI, Government of India"sagarmala.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২৯