চেন্নাই গাণিতীয় প্রতিষ্ঠান
চেন্নাই গাণিতীয় প্রতিষ্ঠান (ইংরেজি: Chennai Mathematical institute; সংক্ষেপেঃ CMI) হল ভারতের চেন্নাইতে অবস্থিত একটি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৮৯ সালে, SPIC বিজ্ঞান ফাউণ্ডেশনের দ্বারা। অঙ্কশাস্ত্রের উচ্চ পর্যায়ের গবেষণা ছাড়াও এখানে পদার্থবিজ্ঞান, গণিতবিজ্ঞান ও সাংগণনিক বিজ্ঞান-এর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের ব্যবস্থা আছে।[১] এই প্রতিষ্ঠানটি মুখ্যত বীজগাণিতিক জ্যামিতির উপর করা গবেষণার জন্য বিখ্যাত।[২]
ধরন | শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৮৯ |
ডিন | মাধবন মুকুন্দ |
পরিচালক | রাজীব করণদিকার |
Director Emeritus | সি এস শেষাদ্রী |
অবস্থান | , , |
শিক্ষাঙ্গন | Suburban, 5.4 acre |
Acronym | CMI |
ওয়েবসাইট | www.cmi.ac.in |
প্রথমে এই প্রতিষ্ঠানটি চেন্নাইয়ের টি. শহরে ছিল, যদিও পরে সিরুসেরির ক্যাম্পাসে ২০০৫ সালের অক্টোবরে স্থানান্তরিত হয়।[৩]
২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে UGC Act 1956 র Section 3 র অধীনে প্রতিষ্ঠানটি ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়-এর পর্যায় লাভ করে।[৪]
ইতিহাস
সম্পাদনাএই প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে স্কুল অব ম্যাথম্যাটিকস হিসেবে ১৯৮৯ সালে SPIC সায়েন্স ফাউণ্ডেশনের দ্বারা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং এর নাম পরিবর্তন করে SPIC ম্যাথম্যাটিক্যাল ইনষ্টিটিউট করা হয়। ১৯৯৮ সালে পুনরায় এর নাম পরিবর্তন করে বর্তমানের নামটি রাখা হয়।
জন্মলগ্ন থেকেই এখানে গণিত ও সাংগণনিক বিজ্ঞান বিষয়ে পি এইচ ডি ডিগ্রীর ব্যবস্থা ছিল। ১৯৯৮ সালে এখানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যাযে়র পাঠ্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়।[৫]
২০১০ সাল থেকে এখানে এর অধ্যাপকদের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ের গবেষণার জন্য ভারতের ৩০ জন ছাত্রকে ফেলোশিপ প্রদানের প্রক্রিয়াটি আরম্ভ করা হয়।
পাঠ্যক্রম
সম্পাদনাএখানে সাংগণনিক বিজ্ঞান, গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান-এ পি এইচ ডিগ্রীর ব্যবস্থা আছে। সেজন্য এখানে অংশকালীন হিসেবে পি এইচ ডিগ্রীর করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তদুপরি, পদার্থ বিজ্ঞান, গণিত-এর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পাঠ্যক্রমের ব্যবস্থা আছে। প্রত্যেক শ্রেণীর ছাত্রসংখ্যা ৫ থেকে ২৫ এবং সর্বমোট ছাত্র প্রায় ১০০-১২৫; অধ্যাপক ৪০ থেকে ৫০ জন।
ভর্তির প্রক্রিয়া
সম্পাদনাএক সর্বভারতীয় পর্যায়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেকটি বিষয়ের নামভর্তিকরণ প্রক্রিয়া হয়। প্রত্যেক বর্ষের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ-এর ভিতর বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। মে মাসের শেষদিকে প্রবেশিকা পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয় এবং জুনের শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
যেসব ছাত্রছাত্রী সর্বভারতীয় গণিত অলিম্পিয়াড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাদের জন্য গণিত ও সাংগণনিক বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক পাঠ্যক্রমের জন্য সর্বপ্রথম নামভর্তির সুযোগ থাকে। অন্যদিকে, সর্বভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের উত্তীর্ণ সকলের জন্য পদার্থ বিজ্ঞান-এর স্নাতক পর্যায়-এর পাঠ্যক্রমে এই ব্যবস্থা উপলব্ধ। অবশ্য এই সুবিধার জন্য ছাত্ররা মার্চ মাসে নিজে থেকে আবেদন করা জরুরী।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Special Correspondent (২০০৭-০২-০২)। "New Facilities for CMI"। Chennai, India: The Hindu। ২০০৭-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-১৩।
- ↑ Banumathi Krishnaswamy (২০০৯-০৭-১৬)। "Future in the making"। India Today। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Campus"। Chennai Mathematical Institute। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-১৩।
- ↑ "UGC Act-1956" (পিডিএফ)। mhrd.gov.in/। Secretary, University Grants Commission। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Special Correspondent (২০০৪-০৮-০৭)। "Kakodkar cautions against missing research-technology connectivity"। ২০১১-০৬-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-১৩।
- ↑ "CMI Annual Report 2005-2006" (পিডিএফ)।