চুক্লেনমুং
চাওফা চ্যু-ক্লেণ-মুং ১৫৩৯ সাল থেকে ১৫৫২ সাল পর্যন্ত আহোম রাজ্য শাসন করা স্বর্গদেউ। গড়গাঁওতে রাজধানী স্থাপন করার জন্য বুরঞ্জীতে তাঁকে গড়গঞা রাজা বলা হয়েছে। তাঁর রাজত্বকালে মাধবদেব এবং শ্রীমন্ত শংকরদেবের জামাতা হরিকে আটক করা হয়েছিল এবং হরিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।[১] এই কারণে শংকরদেব আহোম রাজ্য ছেড়ে কোচ রাজ্যে আশ্রয় নেন।
চাওফা চ্যু-ক্লেণ-মুং | |||||
---|---|---|---|---|---|
চাওফা | |||||
আসামের রাজা | |||||
রাজত্ব | ১৫৩৯ - ১৫৫২ সাল | ||||
| |||||
রাজবংশ | ছ্যু ফৈদ , আহোম রাজবংশ | ||||
ধর্ম | আহোম ধর্ম |
মোহর তৈরি করা তাঁরাই প্রথম আহোম রাজা ছিলেন। মোহরগুলি আটকোণা ছিল এবং আহোম লিপি সেখানে লেখা হত।[২]
সিংহারোহণ সম্পাদনা
স্বর্গদেউ চুহুন্মুঙকে ১৫৩৯ সালের জানুয়ারিতে লগুয়া রতিমনে শুই থাকা অবস্থায় হত্যা করার পরে চুক্লেণমুং রাজ্যপাট পান। কোনো কোনো বুরঞ্জীর মতে এই কার্য চুক্লেণমুঙর অভিসন্ধি মতেই হয়েছিল।[৩] চুক্লেণমুঙ এই অপবাদ সরাতে হত্যাকারী রতিমনের ভাই-কাকাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।[৪]
পিতাকের শাসনকালে ১৫৩২ সালে কোঁওর চুক্লেঙ বঙ্গের সেনাপতি তুর্বকের বিরুদ্ধে পরাজয় বরণ করেন এবং অত্যন্ত আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাঁর স্থানে বরপাত্র গোহাঁই নেতৃত্ব দিয়ে তুর্বককে পরাজিত করেন।[৫]
রাজ্যের পরিসীমা সম্পাদনা
চুক্লেণমুং বার-ভূঞাদের কপিলী নদী উপত্যকা থেকে রাজধানীর কাছে কাছাড়ি রাজ্যর থেকে অধিকার করা অঞ্চলের উপরে শাসন প্রদান করেন। ১৫৪৬ সালে কোচ সেনাপতি চিলারায় আহোম রাজ্য আক্রমণ করেন। রাজার সৎ ভাই গোহাঁই কমলের তৈরি পথ দিয়ে (গোহাঁই কমল আলি) ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পারে তাঁরা পা বাড়িয়ে নারায়ণপুরে (বর্তমানের উত্তর লখিমপুরে) একটি কোঠা তৈরি করে। চুক্লেণমুং কোচদের ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পার থেকে বিতাড়ন করতে সমর্থ হন।[৬]
প্রশাসন সম্পাদনা
চুক্লেণমুং রাজত্বকালে গড়গাঁও পুকুর খনন করেছিলেন এবং নাগা আলি বাঁধিয়েছিলেন।
পাদটিকা সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- Gait, Edward A (১৯০৬), A History of Assam, Calcutta
- Neog, Maheswar (১৯৮০), Early history of the Vaisnava faith and movement in Assam, Delhi: Motilal Banarsidass