চিন্তামণিশ্বর শিবমন্দির
চিন্তামণিশ্বর শিবমন্দির ভারতের ওড়িশা রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরে অবস্থিত একটি হিন্দুমন্দির [১]। পুরাতন স্টেশন বাজারের কাছে কটক-পুরী রাস্তার শাখা হিসেবে চিন্তামণিশ্বর রাস্তা অবস্থিত। এই রাস্তাতেই চিন্তামণিশ্বর মন্দিরের অবস্থান। মন্দিরটি পূর্বমুখী এবং অধিষ্ঠাতা দেবতা হচ্ছে যোনীপিঠের উপর শিবলিঙ্গ।
চিন্তামণিশ্বর শিবমন্দির | |
---|---|
![]() | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
উৎসবসমূহ | শিবরাত্রি, শিব বিবাহ, জলাশয়, রুদ্রাভিষেক। |
অবস্থান | |
অবস্থান | ভুবনেশ্বর |
রাজ্য | ওড়িশা |
দেশ | ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২০°১৫′০০″ উত্তর ৮৫°৫০′২০″ পূর্ব / ২০.২৫০০০° উত্তর ৮৫.৮৩৮৮৯° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | রেখা দেউল শৈলী |
সম্পূর্ণ হয় | ১৪ শতক |
বর্ণনাসম্পাদনা
মন্দিরটি ১৪ শতক সময়কার। স্থানীয় জনশ্রুতি অনুযায়ী মন্দিরটি কেশরীগণ নির্মাণ করেন। শিবরাত্রি, শিববিবাহ, জলাশয়, রুদ্রাভিষেক সহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান এই মন্দিরে পালিত হয়। এছাড়া বিবাহ ও পৈতাধারণ উৎসব পালিত হয়।
স্থাপত্যশৈলীসম্পাদনা
মন্দিরটির বিমান রেখাক্রমে অবস্থিত। নিচ থেকে উপর পর্যন্ত মন্দিরটি বড়, গান্দি এবং মস্তক অংশে
পূর্বদিকের কুলুঙ্গিতে চার হাত যুক্ত কার্তিকেয় মূর্তি স্থাপিত। তার প্রধান বামহাতে বারদামুদ্রা এবং উপরের ডান হাতে ময়ুরের মাথা ধরে আছেন। উপরের বাম হাতে তীর ধরা। দক্ষিণের কুলুঙ্গিতে চারহাতযুক্ত গণেশমূর্তি আছে যার প্রধান বাম হাতে অক্ষমালা এবং বাম হাতে মোদক পাত্র ধরা। তার উপরের ডান হাতে অঙ্কুশ এবং বাম হাতে ভাঙা দাঁত ধরা। উত্তরের কুলুঙ্গিতে দেবী পার্বতী অবস্থান করছেন।
তল জঙ্ঘ ও উপর জঙ্গ যথাক্রমে খাখড়া মুন্ডি ও পিধা মুন্ডি দিয়ে সাজানো। মন্দিরটি আধুনিক সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা আছে যার পরিমাপ ৪০.০০ বর্গমিটার, উচ্চতা ১.৮০ মিটার ও পুরুত্ব ০.২০ মিটার। চৌকাঠের ডান পাশে চারহাত যুক্ত গণেশ আছে যার নিচের বাম ও ডান হাতে যথাক্রমে পরশু ও অক্ষমালা ধরা এবং উপরের বাম ও ডান হাতে যথাক্রমে মোদকপাত্র ও ভাঙা দাঁত ধরা।
চিন্তামণিশ্বর পুকুরসম্পাদনা
মন্দির সীমানার মধ্যে মন্দির পুকুর অবস্থিত। স্থানীয় জনসাধারণের ধারণা পুকুরটি কেশরীগণ খনন করেছে। কার্তিক পূর্ণিমা এবং শ্রাবণ পূর্ণিমার মত উৎসবাদি এখানে পালিত হয়। পুকুরটি আয়তাকার যার দৈর্ঘ্য ২২.৪০ মিটার এবং প্রস্থ ১১.২০ মিটার ও গভীরতা ৩.০০ মিটার। পুকুরটিতে ভুগর্ভস্থ জলধারা থেকে পানি যোগ হওয়ায় সারাবছর পানির স্তর একই থাকে। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য পূর্বাংশের দেয়ালে একটি নির্গমনপথ আছে।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Lesser Known Monuments of Bhubaneswar by Dr. Sadasiba Pradhan (আইএসবিএন ৮১-৭৩৭৫-১৬৪-১)
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- Pradhan, Sadasiba (২০০৯)। Lesser Known Monuments Of Bhubaneswar। Bhubaneswar: Lark Books। আইএসবিএন 81-7375-164-1।