চিত্তধর হৃদয়

নেপালি কবি

চিত্তধর হৃদয় (নেপালি: चित्तधर हृदय, ১৯শে মে ১৯০৬ – ৯ই জুন ১৯৮২)[] চিত্তধর তুলাধর নামেও পরিচিত, হলেন নেপাল ভাষায় মহাকাব্যের প্রণেতা কবি। তিনি বিশ শতকের নেপালের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক ব্যাক্তিত্বদের মধ্যে একজন। ১৯৫৬ সালে নেপালের রাজা মহেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ এই কবিকে "কবি কেশরি" অর্থাৎ কবিদের মধ্যে সিংহ উপাধিতে ভূষিত করেন।[] তিনি মূলত নেপাল ভাষায় লিখলেও নেপালি এবং হিন্দিতেও সাহিত্য রচনা করেন।

কবি কেশরি

চিত্তধর হৃদয়
চিত্তধর হৃদয়: বিংশ শতকের নেপালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক ব্যাক্তিত্বদের মধ্যে একজন।
চিত্তধর হৃদয়: বিংশ শতকের নেপালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক ব্যাক্তিত্বদের মধ্যে একজন।
স্থানীয় নাম
चित्तधर हृदय
জন্মচিত্তধর তুলাধর
(১৯০৬-০৫-১৯)১৯ মে ১৯০৬
নিয়ত তুনছেন
মৃত্যু৯ জুন ১৯৮২(1982-06-09) (বয়স ৭৬)
ছদ্মনামহৃদয়
ভাষানেপাল ভাষা, নেপালি, হিন্দি
জাতীয়তানেপালি
নাগরিকত্বনেপালি
ধরনগদ্য, ফিকশন
সাহিত্য আন্দোলননেপাল ভাষার পুনর্জাগরণ
উল্লেখযোগ্য রচনাসুগত সৌরভ, মিম্মানহপাউ
দাম্পত্যসঙ্গীজ্ঞানপ্রভা কংসকার

নেওয়ারি তথা নেপাল ভাষা ছিল কবি চিত্তধর হৃদয়ের মাতৃভাষা। জাঁকজমকপূর্ণ পৈতৃক ব্যবসার সমৃদ্ধিকে উপেক্ষা করে এবং স্বৈরাচারী সরকারের জেল জুলুমের কষ্টভোগ সত্ত্বেও এই কবি মাতৃভাষার সেবায় তার জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। নেপালি ভাষায় সাহিত্য চর্চায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এই ভাষায় একটি কবিতা লেখার কারণে রানা শাসনতন্ত্র তাকে ১৯৪১ সালে পাঁচ বছরের জেল দেয়।

প্রথম জীবন

সম্পাদনা

১৯০৬ সালের ১৯শে মে কাঠমান্ডুর "নিয়ত তুনছেন"-এ (न्यत तुंछें) একটি লাসা নেওয়ার ব্যবসায়ী পরিবারে চিত্তধর হৃদয়ের জন্ম। জন্মের সময় তার নাম ছিল চিত্তধর তুলাধর[] লাসা নেওয়ার হলো নেওয়ারদের সেই শাখা যারা কয়েক শতক পূর্বে কাঠমান্ডু উপত্যকা এবং তিব্বতের মধ্যে বাণিজ্য করত। তার বাবার নাম ছিল দ্রব্যধর তুলাধর এবং মায়ের ছিল জ্ঞানলক্ষ্মী তুলাধর। তার বোন মতিলক্ষ্মী তুলাধর ছিলেন আধুনিক নেপালের প্রথম মহিলা কবি এবং ছোট গল্প রচয়িতা।[]

ব্যবসায়িক কাজের জন্য তিব্বতের লাসাতে এই পরিবারটির একটি বাড়ি ছিল।[] হৃদয় পারিবারিক পেশায় যোগ না দিয়ে নেপাল ভাষায় সাহিত্যের বিকাশে কাজ করেন। ১৯২০ সালে তিনি জ্ঞানপ্রভা কংসকারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Sugata Saurabha: An Epic Poem from Nepal on the Life of the Buddha by Chittadhar Hridaya"। Oxford Scholarship Online। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১১ 
  2. Sthapit, Arhan (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Oxford publishes Nepali epic in English"The Rising Nepal। ২৪ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  3. Lall, Kesar (2002). Mimmanahpau: Letter from a Lhasa Merchant to his Wife by Chittadhar Hridaya. New Delhi: Robin Books. আইএসবিএন ৮১-৮৭১৩৮-৫৫-৬. Page 5.
  4. LeVine, Sarah and Gellner, David N. (2005). Rebuilding Buddhism: The Theravada Movement in Twentieth-Century Nepal. Harvard University Press. আইএসবিএন ০-৬৭৪-০১৯০৮-৩, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৬৭৪-০১৯০৮-৯. Page 39.
  5. Turin, Mark (২০–২৬ সেপ্টেম্বর ২০০২)। "Lovesick, homesick or simply sick of Tibet"Nepali Times। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১১ 
  6. Bajracharya, Phanindra Ratna (2003). Who's Who in Nepal Bhasa. Kathmandu: Nepal Bhasa Academy. Page 41.