চর বিজয়
চর বিজয় বাংলাদেশের অধিভুক্ত বঙ্গোপসাগরের তট হতে বিচ্ছিন্ন একটি ছোট দ্বীপ। স্থানীয় জেলেদের কাছে হাইরের চর নামে পরিচিত।[১][২] আয়তনে প্রায় ৫ হাজার একর যা দৈর্ঘ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের জন্য বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা হতে ৩৫-৪০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে সমুদ্রের গভীরে এর অবস্থান।[২] ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্থানীয় জেলা প্রশাসক দ্বীপটির মালিকানা ঘোষণা করেন এবং সরকারের নির্দেশে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। জেলেদের কাছে পরিচিত 'হাইরের চর' ২০১৭ সালে সাগরে ভ্রমণরত কয়েকজন উৎসাহী পর্যটকের নজরে আসে এবং তাদের উৎসাহে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র দ্বীপটি পরিদর্শনে যান। তখন এ দ্বীপটির নামকরণ করা হয় চর বিজয়।[২]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f3/%E0%A6%9A%E0%A6%B0_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%AF%E0%A6%BC%28%E0%A6%A6-%29.jpeg/220px-%E0%A6%9A%E0%A6%B0_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%AF%E0%A6%BC%28%E0%A6%A6-%29.jpeg)
অবস্থান
সম্পাদনাবাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পটুয়াখালী'র কলাপাড়া উপজেলায়।[১]
নামকরণের তাৎপর্য
সম্পাদনাসরকারিভাবে দ্বীপটি আবিষ্কার ও অধিগ্রহণের ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের 'ডিসেম্বর' মাসে - যে মাসে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে এবং স্বাধীনতা লাভ করে।[১]
জনবসতি
সম্পাদনাজীববৈচিত্র
সম্পাদনাদ্বীপ জুড়ে রয়েছে লাল কাকড়ার অবাধ বিচরণ আর মৎস্যভোজী পাখির সমারোহ। এছাড়া কোন চতুষ্পদ প্রাণীর বসবাস নেই।[৫]
ভূপ্রকৃতি
সম্পাদনাসমতল বালিয়াড়ি। বছরের ছয়মাস সাগরের জলে কিয়দংশ নিমজ্জমান থাকে। শীতকালীন সময়ে ছয় মাস শুষ্ক থাকে।[১][৩]
উন্নয়ন সম্ভাবনা
সম্পাদনাপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চরটির স্থায়ীত্বের জন্য কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয় বনবিভাগ প্রাথমিকভাবে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির প্রায় ২ হাজার গোল, ছইলা, কেওড়া ও সুন্দরী গাছের চারা লাগান। কৃত্রিম বেড়িবাঁধের অভাবে বর্ষা মৌসুমে দ্বীপটি সাগরের জলে ডুবে থাকে এবং শীতকালীন সময়ে বিস্তীর্ণ বালুচরে গুটিকয়েক গুল্ম ছাড়া কোন বৃক্ষ নজরে আসে না। চতুর্দিকে জলরাশি, লাল কাকড়া, পাখির সমারোহ, জমে থাকা পানিতে সামুদ্রিক মাছের অস্তিত্ব, জনবসতিহীনতা, এবং ভৌগলিক অবস্থান গঙ্গামতি বন ও পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার নিকটে হওয়ায় ইতোমধ্যে দ্বীপটি পর্যটকদের মাঝে অাকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।[৫][৪] [৬]
যাতায়াত
সম্পাদনাস্থানীয় জেলেরা মাছধরা নৌকায় যাতায়াত করে থাকে। ভ্রমণকারীদের জন্য কুয়াকাটা পর্যটন এলাকা থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোটে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। [১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "চর বিজয়"। www.patuakhali.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৩।
- ↑ ক খ গ চ্যাটার্জ, পুলক (২ জানুয়ারি ২০১৮)। "কুয়াকাটায় পর্যটনের নতুন আকর্ষণ গভীর সাগরে 'চরবিজয়'"। দৈনিক সমকাল। ৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২৩।
- ↑ ক খ "বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা অনন্য এক ভুবন 'চর বিজয়'"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৩।
- ↑ ক খ "পযর্টনের নতুন সম্ভাবনা পটুয়াখালীর 'চর বিজয়'"। একাত্তর টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৩।
- ↑ ক খ "পাখি ও লাল কাঁকড়ার রাজ্য কুয়াকাটার 'চর বিজয়'"। banglanews24.com। ২০১৯-০১-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৩।
- ↑ কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি। "বঙ্গোপসাগরের বুকে অনন্য এক ভুবন 'চর বিজয়'"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৩।