চপল ভাদূড়ী
চপল ভাদুড়ী বাংলা যাত্রা এবং সম্ভবত ভারতীয় যাত্রাশিল্পের শেষ জীবিত নারীচরিত্রে অভিনয় কারী শিল্পী।[১][২][৩] যাত্রা মূলত মঞ্চ নাটকের গ্রামীণ সংস্করণ। যাত্রায় মেয়েদের আগমনের পূর্বে ছেলেরা নারীসাজে অভিনয় করতেন। চপল ভাদুড়ী তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ২০১০ সালে কৌশিক গাঙ্গুলী পরিচালিত ঋতুপর্ণ ঘোষ অভিনীত আরেকটি প্রেমের গল্প চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
চপল ভাদুড়ী | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৮ (বয়স ৮৪–৮৫) |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৫৫–বর্তমান |
পিতা-মাতা | তারা কুমার ভাদুড়ী (পিতা) প্রভা দেবী (মাতা) |
প্রথম জীবনসম্পাদনা
কলকাতার কালী দত্ত লেনে চপল কুমার ভাদূড়ীর জন্ম। তার পিতা তারা কুমার ভাদুড়ী এবং মা প্রভা দেবী। বাবা মা দুজনেই যাত্রা শিল্পী ছিলেন। তারা তিন ভাই এবং দুই বোন ছিলো। তার ছোট বোন বিখ্যাত অভিনেত্রী ও সংগীত শিল্পী কেতকী দত্ত। মায়ের মৃত্যুর পর সাত বছর বয়সে তার অভিনয় জীবন শুরু হয় শ্রীরঙ্গম যাত্রা'য়। এটার বর্তমান নাম বিশ্বরূপা। এটি উত্তর কলকাতায় অবস্থিত। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিন্দুর ছেলে তে তিনি অপূর্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি আলিবাবা যাত্রা পালায় নারী চরিত্র মর্জিনা হিসেবে অভিনয় করেন।
অভিনয় জীবনসম্পাদনা
যাত্রাসম্পাদনা
তার গলার স্বর খুব চিকন এবং একদম মেয়েদের মত। আলীবাবার মর্জিনা চরিত্রে অভিনয় করার পর তিনি একের পর এক নারী চরিত্রে অভিনয় করতে থাকেন। রাজা দেবিদাস, চাঁদ বিবি, সুলতানা রাজিয়া, মহীয়সী কৈকেয়া প্রভৃতি যাত্রা খ্যাতি অর্জন করে এবং সেই সাথে তিনি চপল কুমারী নামে বাংলা যাত্রাশিল্পের প্রধান নারীর স্থান দখল করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ছিলেন সর্বাধিক পারিশ্রমিক পাওয়া নারী অভিনেত্রী। ষাটের দশকের শেষের দিকে মেয়েরা যাত্রা শিল্পে অভিনয় শুরু করলে চপল ভাদুড়ীর ক্যারিয়ারের পতন শুরু হয়। শেষের দিকে তিনি দেবী মা শীতলার ভূমিকায় অভিনয় করতেন। ২০০৬ সালে তিনি অর্ধ আত্মজৈবনিক পালা রমণীমোহনে অভিনয় করেন যা ছিলো তার প্রথম কোন পূর্ণদৈর্ঘ্য পুরুষচরিত্রে অভিনয়।
চলচ্চিত্রসম্পাদনা
তিনি কৌশিক গাঙ্গুলী পরিচালিত টেলিফিল্ম "'উষ্ণতার জন্য"' এবং চলচ্চিত্র আরেকটি প্রেমের গল্পতে অভিনয় করেছেন।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Actor Chapal Bhaduri – Biography & Professional Life Details"। Kolkata Bengal info। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১২।
- ↑ "Last 'woman' on stage"। India Together। ২১ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Chaterji, Shoma A (২৪ জুন ২০১২)। "The story of Chapal Rani"। The Tribune। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১২।