ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু

রোয়ানু একটি ছোট ঘূর্ণিঝড় যা ২১ মে ২০১৬ বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে এবং ভারতে আংশিক আঘাত হানে।ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শ্রীলংকায় বন্যা হয়। ধারণা করা হয় ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর ব্যাপ্তি ছিল দুটি বাংলাদেশের সমান আকৃতির।[]

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু
ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি স্কেল)
ক্রান্তীয় ঝড় (স্যাফির-সিম্পসন মাপনী)
২১ মে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু বাংলাদেশের নিকটবর্তী হচ্ছে
গঠন১৭ মে ২০১৬
বিলুপ্তি২৩ মে ২০১৬
(২২ মে পরে অবশিষ্টাংশ কম)
সর্বোচ্চ গতি৩-মিনিট স্থিতি: ৮৫ কিমি/ঘণ্টা (৫০ mph)
১-মিনিট স্থিতি: ১১০ কিমি/ঘণ্টা (৭০ mph)
সর্বনিম্ন চাপ৯৮৩ hPa (mbar); ২৯.০৩ inHg
হতাহতমোট ১১৮ জন, ৯৯ জন নিখোঁজ
ক্ষয়ক্ষতি$2.13 বিলিয়ন (২০১৬ $)
প্রভাবিত অঞ্চলবাংলাদেশ, মায়ানমার, ভারতের পূর্ব উপকূল, শ্রীলঙ্কা
২০১৬ উত্তর ভারত মহাসাগরীয় ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের অংশ

নামকরণ

সম্পাদনা

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা অনুযায়ী এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রোয়ানু’। মালদ্বীপ এ নামটি প্রস্তাব করেছিল। রোয়ানু শব্দটিও মালদ্বীপের। এর অর্থ নারিকেলের ছোবড়ার তৈরি দড়ি।[]

 
স্যাফির-সিম্পসন মাপনী অনুযায়ী মানচিত্রে ঝড়টির পথ ও তীব্রতা দেখানো হয়েছে।
মানচিত্রের ব্যাখ্যা
  ক্রান্তীয় নিম্নচাপ (≤৩৮ মাইল প্রতি ঘণ্টা, ≤৬২ কিমি/ঘণ্টা)
  ক্রান্তীয় ঝড় (৩৯–৭৩ মাইল প্রতি ঘণ্টা, ৬৩–১১৮ কিমি/ঘণ্টা)
  শ্রেণী ১ (৭৪–৯৫ মাইল প্রতি ঘণ্টা, ১১৯–১৫৩ কিমি/ঘণ্টা)
  শ্রেণী ২ (৯৬–১১০ মাইল প্রতি ঘণ্টা, ১৫৪–১৭৭ কিমি/ঘণ্টা)
  শ্রেণী ৩ (১১১–১২৯ মাইল প্রতি ঘণ্টা, ১৭৮–২০৮ কিমি/ঘণ্টা)
  শ্রেণী ৪ (১৩০–১৫৬ মাইল প্রতি ঘণ্টা, ২০৯–২৫১ কিমি/ঘণ্টা)
  শ্রেণী ৫ (≥১৫৭ মাইল প্রতি ঘণ্টা, ≥২৫২ কিমি/ঘণ্টা)
  অজানা
ঝড়ের ধরন
  অ-ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় / ছোট নিম্নচাপ/ ক্রান্তীয় গোলযোগ / মৌসুমী নিম্নচাপ

বাংলাদেশে প্রভাব

সম্পাদনা
 
বাংলাদেশ তটরেখা বরাবর ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু অবস্থানের একটি এনিমেশন ছবি

ঘূর্ণিঝড়টির প্রাক্কালে এটি চট্টগ্রাম তটরেখা বরাবর আঘাত হানার সম্ভবনা ছিল ,আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দে স্থানান্তর করার ঘোষণা দেওয়া হয়.[] ঘূর্ণিঝড়টির ফলে ৪ টি দেশের ২০৩ জন নিহত হয়। অনেক মানুষ মারা যায় যখন ঘূর্ণিঝড় এর ফলে অনেক বড় বড় ঢেউ উঠে।[] এখনো ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছে।[]

সরকারি হিসাবে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ায় লক্ষাধিক ঘরবাড়ি তছনছ হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে অধিকাংশ উপকূলীয় জেলার বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে মানুষের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মাছের ঘের ইত্যাদি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।[]

শ্রীলঙ্কায় প্রভাব

সম্পাদনা
 
১৫মে-এ রোয়ানু নিম্নচাপ সৃষ্টি করে।শ্রীলঙ্কা ঘাঢ় মেঘে পুরোপুরি ঢেকে যায়।

ভারতে প্রভাব

সম্পাদনা
 
রোয়ানুর প্রভাবে কলকাতায় বৃষ্টি হচ্ছে

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে রোয়ানু"দৈনিক প্রথম আলো। সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। মে ২১, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-২১ 
  2. "যে কারণে ঘূর্ণিঝড়ের নাম রোয়ানু"দৈনিক ইত্তেফাক। ৪০, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫: ইত্তেফাক গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স লিঃ। ২০ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-২১ 
  3. Reuters। "Cyclone Roanu: Bangladesh moves 2 million people from coast"। The Guardian। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৬ 
  4. "'রোয়ানু'র প্রভাবে চার জেলায় ব্যাপক ক্ষতি"প্রথম আলো। ২১ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৬ 
  5. "Cyclone Roanu claims 21 lives in seven Bangladesh districts"। bd24news.com। ২১ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৬ 
  6. "ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর ক্ষয়ক্ষতি"প্রথম আলো। ২৩ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
পূর্বাভাসের সঙ্কেত
মূল তথ্য

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাভাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি থেকে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু সম্পর্কিত তথ্য ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ জুলাই ২০২১ তারিখে