ঘূর্ণিঝড় মেঘ
ঘূর্ণিঝড় মেঘ একটি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় যা ২০১৫ সালে সংঘটিত হয়। এটি ইয়েমেনে আঘাতকারী সবথেকে বাজে ঝড় যা সকত্রা দ্বীপে আঘাত হানে। এই একই দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় চপলা এর আগে আঘাত হানে।[১] ঘূর্ণিঝড় মেঘ ৫ নভেম্বর পূর্ব আরব সাগরে গঠিত হয়ে ঘূর্ণিঝড় চপলার পথ অনুসরণ করে। ঝড়টি উত্তরে সরে গিয়ে পশ্চিমে চলা শুরু করে এবং উষ্ণপানির তাপমাত্রায় শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সাত নভেম্বর কেন্দ্রে চোখ গঠন করে পরিপক্ব ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। এটা দ্রুত সকুত্রার উত্তর উপকূলে আঘাত হানে।
অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি স্কেল) | |
---|---|
শ্রেণী ৩ (স্যাফির-সিম্পসন মাপনী) | |
গঠন | ৫ নভেম্বর ২০১৫ |
বিলুপ্তি | ১০ নভেম্বর |
সর্বোচ্চ গতি | ৩-মিনিট স্থিতি: ১৭৫ কিমি/ঘণ্টা (১১০ mph) ১-মিনিট স্থিতি: ২০৫ কিমি/ঘণ্টা (১২৫ mph) |
সর্বনিম্ন চাপ | ৯৬৪ hPa (mbar); ২৮.৪৭ inHg |
হতাহত | ১৮ |
ক্ষয়ক্ষতি | অজানা |
প্রভাবিত অঞ্চল | ওমান, সোমালিয়া, ইয়েমেন |
2015 North Indian Ocean cyclone season অংশ |
নামকরণ
সম্পাদনাএশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা অনুযায়ী এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঘূর্ণিঝড় মেঘ’। ঘূর্ণিঝড় মেঘ নামটি প্রস্তাবকারী দেশ হচ্ছে ভারত।
বর্ণনা
সম্পাদনামেঘ এমনই সময়ে আঘাত করে যখন সকুত্রার অধিবাসীরা পূর্ববর্তী সাইক্লোন চপলার কারণে নিরাপদ আশ্রয় থেকে ফিরতে শুরু করেছে। ভারী বর্ষণ এবং তীব্র বায়ুপ্রবাহে ৫০০ বাড়ি ধ্বংস এবং প্রায় ৩০০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে ৭৫০ টি মাছধরার নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দ্বীপবাসী বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়। সকুত্রা দ্বীপের ১৮ জন মারা যায় এবং ৬০ জন আহত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রিলিফ পণ্য এবং স্বাস্থ্যকর্মীর দল প্রেরণ করে। মেঘের কারণে উত্তর সোমালিয়ায় বজ্রবৃষ্টি হয় ফলে গবাদি পশু মারা যায় এবং অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবশেষে ঝড়টি ইয়েমেনে ক্ষুদ্রবৃষ্টির মাধ্যমে ঝরে পড়ে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Samenow, Jason। "Unprecedented: Second freak tropical cyclone to strike Yemen in the same week"। The Washington Post। The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৬।