গ্রুঞ্জ
গ্রুঞ্জ এক প্রকারের সঙ্গীত ধারা যা অল্টারনেটিভ রক এর উপধারা হিসেবে দেখা হয়। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝিতে ওয়াশিংটন-এ, বিশেষ করে সিয়াটলে এ ধারা বিকাশ লাভ করে। হার্ডকোর পাঙ্ক, হেভি মেটাল ও ইন্ডি রক ধারার গানে থেকে এ ধারার গান অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। গ্রুঞ্জ ধারার গান বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়ে ওঠে হয় ১৯৯০-এর দশকের ১ম ভাগে বিশেষকরে যখন নিরভানা ব্যান্ডের নেভারমাইন্ড ও পার্ল জ্যাম ব্যান্ডের টেন প্রকাশিত হয়। এসব ব্যান্ডের সাফল্য অল্টারনেটিভ রক গানের জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে তোলে ও গ্রুঞ্জকে হার্ডরকের মাঝে জনপ্রিয় করে তোলে।অনেক গ্রুঞ্জ ব্যান্ড জনপ্রিয়তার কারণে অস্বস্তিতে ভোগে ও ব্যান্ডগুলো ভেংগে যেতে থাকে ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে।
গ্রুঞ্জ | |
---|---|
শৈলীগত বূৎপত্তি | অল্টারনেটিভ রক, হার্ডকোর পাঙ্ক, হেভি মেটাল , ইন্ডি রক |
সাংস্কৃতিক বূৎপত্তি | হয়।১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝিতে, ওয়াশিংটন |
প্রথাগত বাদ্যযন্ত্র | ইলেকট্রিক গিটার - বেজ গিটার - ড্রামস - ভোকাল |
অমৌলিক গঠন | পোস্ট গ্রুঞ্জ |
আঞ্চলিক পট | |
সিয়াটল |
উপস্থাপনা
সম্পাদনাগ্রুঞ্জ কনসার্টগুলো বাহুল্যবিবর্জিত থাকতে চায়। কোন ধরনের অতিরিক্ত আলোকসজ্জা, জটিল ও উচ্চ বাজেটের পরিবেশনা তারা এড়াতে চায়। জ্যাক এন্ডিনো ১৯৯৬ সালে হাইপ নামক তথ্যচিত্রে বলেন সিয়াটলের ব্যান্ডগুলো অসংলগ্ন থাকে সরাসরি মঞ্চ পরিবেশনার ক্ষেত্রে, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য বিনোদনদাতা হওয়ার চেয়ে ‘’রক আউট’’ করা। গ্রুঞ্জ ব্যান্ডগুলো মিতব্যয়ী তাদের কাপড় চোপড়ের ক্ষেত্রে।সাবপপ-এর জোনাথন পনিম্যান বলেনঃ ”কাপড়গুলো সস্তা, টেকসই ও এগুলো একধরনের সময়হীন ধরনের। এটা এক ধরনের অতি উজ্জ্বল ১৯৮০-এর দশকের ফ্যাশনের বিপরীতে চলা। মিউজিক সাংবাদিক চার্লস আর ক্রস বলেনঃ ”কার্ট কোবাইন শ্যাম্পু করার ব্যাপারে অলস ছিলেন। “পাঙ্ক ওঅল্টারনেটিভ রকের প্রভাব ছাড়াও ১৯৭০-এর দশকের প্রথমদিকের হেভি মেটাল ব্যান্ডগুলোর দ্বারা গ্রুঞ্জ ব্যান্ডগুলো প্রভাবিত হয়েছে।
বাণিজ্যিক সাফল্য
সম্পাদনাব্ল্যাক সাবাথ ও লেড জেপলিন ব্যান্ডের প্রভাব ছিল লক্ষণীয়। গ্রুঞ্জ ব্যান্ডগুলোর আন্ডারগ্রাউন্ড জনপ্রিয়তার অনেক বাইরের ব্যান্ড এসে সিয়াটলে ভীড় করছিল মূল সাউন্ডটা পেতে। মাডহানি ব্যান্ডের স্টীভ টার্নার বলেন যে এটা ছিল খুবই খারাপ একটা ব্যাপার। এর প্রতিক্রিয়ায় নিরভানা ও টাড ব্যান্ডসহ আরও অনেক ব্যান্ড তাদের সাউন্ড নানাভাবে পরিবর্তন করতে থাকে। ১৯৯১ সালের ক্রিসমাসে নিরভানার ৪০০০০০ কপি অ্যালবাম বিক্রি হয় এবং তখন এমটিভিতে টানা তাদের গানের ভিডিও ‘’স্মেলস লাইক টিন স্পিরিট’’ প্রচারিত হচ্ছিল। ১৯৯২ সালের জানুয়ারি মাসে নেভারমাইন্ড পপ সুপারস্টার মাইকেল জ্যাকসনের ডেঞ্জেরাস অ্যালবামকে ১ম অবস্থান থেকে সরিয়ে দেয়। নেভারমাইন্ড অ্যালবামের বাণিজ্যিক সাফল্য সবাইকে চমকে দেয়। এরপর সাউন্ড গার্ডেন ও পার্ল জ্যাম ব্যান্ডও বাণিজ্যিক সাফল্য পায় এবং ১৯৯২ সালে বিলবোর্ডের ১ম ১০০টি অ্যালবামের তালিকায় তাদের গান জায়গা করে নেয়। বড় বড় রেকর্ড কোম্পানিগুলো তখন সিয়াটলের ব্যান্ডগলোর সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে থাকে। নিরভানা ও পার্ল জ্যামের পরিবর্তি অ্যালবামও বিলবোর্ডে জায়গা করে নেয়। কিন্তু এ ধরনের জনপ্রিয়তা এই ব্যান্ডগুলোকে আস্বস্তিতে ফেলে দেয় যা তারা চায়নি এতটা। ফ্যাশন হাউজগুলো নানা ধরনের গ্রুঞ্জ ফ্যাশিন চালু করে ও বিশেষ মূল্যছাড়ে কাপড় বিক্রি করতে থাকে। সবাই গ্রুঞ্জ-এর ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠে। পরবর্তীকালে নানা কারণে গ্রুঞ্জ-এর জনপ্রিয়তা কমতে থাকে।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- allmusic.com
- archive.org
- ew.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে
সঙ্গীত বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |