গৌড়স্থান সিকদার পাড়া
এক বা একাধিক অবদানকারী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এই নিবন্ধের বিষয়বস্তু উল্লেখযোগ্যতার সাধারণ নির্দেশাবলী অনুসরণ করে নাই। (এপ্রিল ২০২৪) |
গৌড়স্থান চট্টগ্রাম জেলার ঐতিহাসিক স্থানের মধ্যে একটি। এই গৌড়স্থানে ঐতিহাসিক একটি জায়গা গৌড়স্থান সিকদার পাড়া। গৌড়স্থানে ঐতিহাসিক সিকদার পরিবারের নাম অনুসারে এই জায়গার নাম হয় গৌড়স্থান সিকদার পাড়া।
ইতিহাস সম্পাদনা
মোঘলরা ১৬৬৬ খ্রীষ্টাব্দে বুজুর্গ উমেদ খাঁ নেতৃত্বে চট্টগ্রাম পরিপূর্ণ ভাবে দখলের পর চট্টগ্রামকে মোঘল শাসনের অধীনে নিয়ে আসা হয়। মোঘল সাম্রাজ্যে নিয়ম অনুযায়ী কোনো অঞ্চলে বিজয়ের পর মোঘল কর্মচারীদের ওই অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে নিয়োগ দেওয়া হতো। লোহাগাড়া ইতিহাস থেকে জানা যায় লোহাগাড়া তখন লোহাগাড়া বিভিন্ন পরিবারের আগমন ঘটে। ধারনা করা হয় গৌড়স্থান সিকদার পরিবারের লোকেরা মোঘল সাম্রাজ্যে কাছ থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে ১৬৬৬ সালের পর কোন এক সময় এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে। গৌড়স্থান সিকদার পরিবারের প্রতিষ্ঠা কারী ব্যক্তির নাম যানা যায়নি ।
বৃটিশরা ১৭৬৪ সালে নবাব মীর কাশিমকে পরাজয়ের পর মোঘল সম্রাটের কাছ থেকে বৃটিশরা বাংলার দেওয়ানি লিখে নেয়। এর পর পরগনা নিরিখ আইন সহ অনেক আইন বাতিল করেন এবং খাজনা কয়েক গুণ বৃদ্ধি করেন। পরগনা নিরিখ আইন বাতিল হলে ও প্রজা বিদ্রোহ আশঙ্কায় সিকদার প্রথা চলমান থাকে। কিন্তু নিয়মিত খাজনা আদায় করতে না পেরে অনেক জমিদার, তালুকদারি, সিকদারি নিলামে উঠে যায়। লোহাগাড়া অনেক সিকদারি নিলামে বিক্রি হয়ে যায়। অনেক ব্যক্তি সিকদারি কিনে নিয়ে তাদের নামে সিকদারি প্রতিষ্ঠান করতে শুরু করে। কিন্তু দক্ষ পরিচালনা কারণে লোহাগাড়া কয়েকটি সিকদার পরিবার তাদের সিকদারি টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়। গৌড়স্থানের সিকদার পরিবার ও তাদের দক্ষ পরিচালনার জন্য ১৯৫০ সালে ভূস্বামী প্রথা বিলুপ্তি পর্যন্ত শাসন পরিচালনা করেন। যানা যায় গৌড়স্থান সিকদার পরিবার লোহাগাড়া প্রভাবশালী সিকদার পরিবারের মধ্যে একটি। এই পরিবারের সিকদারি লোহাগাড়া আধুনগর ডলু নদী পর্যন্ত ছিলো। ঐতিহাসিক এই সিকদার পরিবারের কারনে গৌড়স্থান সিকদার পাড়া হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও পরিবার সম্পাদনা
- গৌড়স্থান সিকদার পরিবার
- গৌড়স্থান মিয়াজী পরিবার
- মাওলানা আব্দুল খালেক হুজুর ( প্রতিষ্ঠাতা : গৌড়স্থান আখতারউলুম দাখিল মাদ্রাসা, গৌড়স্থান নতুন বাজার, কেয়াজু পাড়া বাজার, শাহ মজিদিয়া হেফজখানা ও এতিমখানা)
- মাওলানা ফরিদুল আলম ( প্রধান শিক্ষক গৌড়স্থান আখতারউলুম দাখিল মাদ্রাসা, প্রতিষ্ঠাতা ইমাম গাজ্জালীয়া হেফজখানা ও এতিমখানা)
হাটবাজার ও প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা
- গৌড়স্থান নতুন বাজার (গৌড়স্থান সিকদার পাড়া)।
- গৌড়স্থান আধুনিক মাতৃছায়া কেজি স্কুল।
- জিপি গ্রামার কেজি স্কুল।
- শাহ মজিদিয়া রশিদিয়া হেফজ খানা ও এতিমখানা।
- শাহ জব্বারিয়া হেফজখানা ও এতিমখানা।
- ইমাম গাজ্জালী হেফজখানা ও এতিমখানা।
- ইমাম গাজ্জালীয়া দীঘির পাড়।
- গৌড়স্থান ব্রিক মেনুফ্যাকচারিং।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- মোঘল সাম্রাজ্যে বিলুপ্তি অধ্যায় দোহাজারী জামাল উদ্দিন (পৃষ্ঠা:- ২৭)
- পুটিবিলা ইউনিয়ন
- লোহাগাড়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য মোহাম্মদ ইলিয়াছ (পৃষ্ঠা:-৮৪-৮৫)
- গৌড়স্থান
- মোঘল সাম্রাজ্যে
- চট্টগ্রাম
- পরগনা
- Sikdar